পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে চাকরি খুঁজছিলেন দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে তাকে আটকে রেখে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের কাছে। এ ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারসহ পেশাদার অপহরণকারী চক্রের ৫ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, দুটি সিসি ক্যামেরা এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার,(৩০ মে ২০২৫) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরবর্তীতে ২৮ মে রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
বিষয়টি অপহৃত ছাত্রীর মা উত্তরা পশ্চিম থানাকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের ত্বরিত পদক্ষেপে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৮ মে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ সময় তাদের সহযোগী কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা একটি পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বয়সের কিশোরীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে তাদের আটকে রেখে বিভিন্ন নগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করতেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন।
কলেজছাত্রীকে উদ্ধার অভিযান তত্ত্বাবধান করেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অপহৃত মেয়েটি রাজধানীর একটি কলেজে পড়েন। গত সোমবার বিকেলে তাকে উত্তরার ১১ নম্বরে সেক্টরের ১০/বি সড়কের একটি ভবনের দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান তার পূর্বপরিচিত মাসুম পারভেজ। এরপর সেখানে আটকে রেখে মেয়েটির নগ্ন ভিডিও ও ছবি তোলা হয়। পরদিন মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই ভিডিও কলেজছাত্রীর মায়ের মুঠোফোনে পাঠিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান এবং মেয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান।
তিনি বলেন, এখানে অপহৃতদের মাদক সেবনে বাধ্য করা হতো। এ ছাড়া বায়িং হাউজে নিয়োগ দেয়া মেয়েদের দিয়েও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করতেন চক্রের সদস্যরা। এসব ভিডিও দিয়ে তাদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হতো। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা বায়িং হাউজের কর্মী। অপহরণ চক্রে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে চাকরি খুঁজছিলেন দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে তাকে আটকে রেখে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের কাছে। এ ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারসহ পেশাদার অপহরণকারী চক্রের ৫ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা, দুটি সিসি ক্যামেরা এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার,(৩০ মে ২০২৫) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরবর্তীতে ২৮ মে রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
বিষয়টি অপহৃত ছাত্রীর মা উত্তরা পশ্চিম থানাকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের ত্বরিত পদক্ষেপে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৮ মে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ সময় তাদের সহযোগী কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা একটি পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বয়সের কিশোরীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে তাদের আটকে রেখে বিভিন্ন নগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করতেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন।
কলেজছাত্রীকে উদ্ধার অভিযান তত্ত্বাবধান করেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অপহৃত মেয়েটি রাজধানীর একটি কলেজে পড়েন। গত সোমবার বিকেলে তাকে উত্তরার ১১ নম্বরে সেক্টরের ১০/বি সড়কের একটি ভবনের দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যান তার পূর্বপরিচিত মাসুম পারভেজ। এরপর সেখানে আটকে রেখে মেয়েটির নগ্ন ভিডিও ও ছবি তোলা হয়। পরদিন মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই ভিডিও কলেজছাত্রীর মায়ের মুঠোফোনে পাঠিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান এবং মেয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান।
তিনি বলেন, এখানে অপহৃতদের মাদক সেবনে বাধ্য করা হতো। এ ছাড়া বায়িং হাউজে নিয়োগ দেয়া মেয়েদের দিয়েও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করতেন চক্রের সদস্যরা। এসব ভিডিও দিয়ে তাদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হতো। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা বায়িং হাউজের কর্মী। অপহরণ চক্রে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।