রাজধানীর পল্লবীতে দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার গাউস মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌদি আরব প্রবাসী এ যুবক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই মো. সেলিম হোসেন আসামিকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করেন। গাউস স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি
দোলার মেসেঞ্জার
থেকে তার মায়ের মেসেঞ্জারে দুইজনের রক্তাক্ত ছবি আসে
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম পার্থ ভদ্র তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দম্পতি নিহতের ঘটনায় পাপ্পুর বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পল্লবী থানায় মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে বলেন, পাপ্পু বরগুনায় ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার স্ত্রী দোলা উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আইনে স্নাতকোত্তর পড়ছিলেন। তিনি ভাড়া বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। মাঝে মধ্যে পাপ্পু বাসায় আসা-যাওয়া করত। গত সোমবার পাপ্পু বরগুনা থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে স্ত্রীর কাছে আসে। এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার দুপুর ২টা ৭ মিনিটের দিকে দোলার ম্যাসেঞ্জার থেকে তার মায়ের ম্যাসেঞ্জারে দুইজনের রক্তাক্ত ছবি আসে। পাপ্পুর শ্যালক মো. শাওনুর রহমান মোবাইলে দুইজনের রক্তাক্ত ছবি দেখতে পান।
‘শাওনুর মোবাইল হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোলার ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে ভিডিও কল আসে। সে (শাওনুর) কল রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে অন্য পাশ থেকে জানতে চায়, তোমার নাম কি শাওন? হ্যাঁ বললে গাউস ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের দুইজনের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মৃতদেহ দেখায় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে পাপ্পু কী হয়? তখন শাওনুর জানায়, পাপ্পু তার বোন জামাই। তখন গাউস স্বীকার করে, সে দুইজনকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ হয়নি। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খুনের সঠিক কারণ এখনও জানতে পারিনি। তদন্ত করে সব জানা যাবে।’ রাত ৯ টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় পাপ্পুর বাবার সঙ্গে। ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দোলা ঢাকা থেকে লেখাপড়া করত। তার সঙ্গে অন্য ছেলের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন আসামি ওই বাসায় যায়। শুনেছি সে গেটের সামনে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে।
বাড়ির মালিক গেট খুলে দেয়। ওই বাসায় গিয়ে নক করে। ‘আমার ছেলে দরজা খুলে দেয়। সামনে পাইছে আর তাকে খুন করছে। বুকের ওপর ছুরি মারছে। আর মেয়েটাকে ইচ্ছেমতো কোপায়ছে। মেয়েটার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গেট বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে নিরপরাধ, সে কিছু জানতো না। আমার একমাত্র ছেলে, আর ছেলে নাই, আর কিছু নাই।’ তিনি বলেন, ‘শুনেছি গাউসের বাড়ি গোপালগঞ্জে, সৌদি আরব থাকত। দোলার সঙ্গে তার দুই বছরের সম্পর্ক। সে নাকি ওই ছেলের অনেক টাকা-পয়সা নষ্ট করছে। আমার ছেলে কিছু জানতো না। জানলে তো সে আসত না।’
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীতে দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার গাউস মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌদি আরব প্রবাসী এ যুবক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই মো. সেলিম হোসেন আসামিকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করেন। গাউস স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি
দোলার মেসেঞ্জার
থেকে তার মায়ের মেসেঞ্জারে দুইজনের রক্তাক্ত ছবি আসে
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম পার্থ ভদ্র তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দম্পতি নিহতের ঘটনায় পাপ্পুর বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পল্লবী থানায় মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে বলেন, পাপ্পু বরগুনায় ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার স্ত্রী দোলা উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আইনে স্নাতকোত্তর পড়ছিলেন। তিনি ভাড়া বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। মাঝে মধ্যে পাপ্পু বাসায় আসা-যাওয়া করত। গত সোমবার পাপ্পু বরগুনা থেকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে স্ত্রীর কাছে আসে। এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার দুপুর ২টা ৭ মিনিটের দিকে দোলার ম্যাসেঞ্জার থেকে তার মায়ের ম্যাসেঞ্জারে দুইজনের রক্তাক্ত ছবি আসে। পাপ্পুর শ্যালক মো. শাওনুর রহমান মোবাইলে দুইজনের রক্তাক্ত ছবি দেখতে পান।
‘শাওনুর মোবাইল হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোলার ম্যাসেঞ্জার আইডি থেকে ভিডিও কল আসে। সে (শাওনুর) কল রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে অন্য পাশ থেকে জানতে চায়, তোমার নাম কি শাওন? হ্যাঁ বললে গাউস ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের দুইজনের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মৃতদেহ দেখায় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে পাপ্পু কী হয়? তখন শাওনুর জানায়, পাপ্পু তার বোন জামাই। তখন গাউস স্বীকার করে, সে দুইজনকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ হয়নি। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। খুনের সঠিক কারণ এখনও জানতে পারিনি। তদন্ত করে সব জানা যাবে।’ রাত ৯ টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় পাপ্পুর বাবার সঙ্গে। ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দোলা ঢাকা থেকে লেখাপড়া করত। তার সঙ্গে অন্য ছেলের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন আসামি ওই বাসায় যায়। শুনেছি সে গেটের সামনে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে।
বাড়ির মালিক গেট খুলে দেয়। ওই বাসায় গিয়ে নক করে। ‘আমার ছেলে দরজা খুলে দেয়। সামনে পাইছে আর তাকে খুন করছে। বুকের ওপর ছুরি মারছে। আর মেয়েটাকে ইচ্ছেমতো কোপায়ছে। মেয়েটার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গেট বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে নিরপরাধ, সে কিছু জানতো না। আমার একমাত্র ছেলে, আর ছেলে নাই, আর কিছু নাই।’ তিনি বলেন, ‘শুনেছি গাউসের বাড়ি গোপালগঞ্জে, সৌদি আরব থাকত। দোলার সঙ্গে তার দুই বছরের সম্পর্ক। সে নাকি ওই ছেলের অনেক টাকা-পয়সা নষ্ট করছে। আমার ছেলে কিছু জানতো না। জানলে তো সে আসত না।’