জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের অপসারণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এর জন্য অপেক্ষায় আছে সংগঠনটি। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণের আগ পর্যন্ত তাকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ২৬ মে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে অপসারণের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেননি বা তাকে অপসারণ করেনি সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিন্তু বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপে এরইমধ্যে আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহ আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমাদের যৌক্তিক এই দাবি বাস্তবায়নে প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টিকারী, প্রসেস টেম্পারিং ও সবার অগোচরে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মূল কাঠামো ধ্বংসের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এই চেয়ারম্যানের হাতে প্রকৃত সংস্কার কার্যক্রম হুমকির মুখে। এ কারণে আমরা আশা করছি সরকার অবিলম্বে এ বিষয়ে চূডান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মে রাতে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজস্ব সংস্কারের লক্ষ্যে সরকারের এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। কারণ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করবে না বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করবে। রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের আগ পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির পরপরই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। ওইদিন থেকে সকল দপ্তরে পূর্ণোদ্যমে কাজ চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঐক্য পরিষদ জানায়, আমাদের দ্বিতীয় দাবি অর্থাৎ, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিটি এখনও পূরণ হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার চরম সংকট সৃষ্টি হওয়ায় তাকে অপসারণের দাবির ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ঘোষিত লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
জারিকৃত অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার শুরু থেকে প্রতিটি ধাপে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন ও চরম অসহযোগিতা করেছেন এবং সরকারকে ভবিষ্যৎ রাজস্ব কাঠামো নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আশা ও আকাক্সক্ষার কথা জানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী প্রশাসনের এই কর্মকর্তা তার পূর্ববর্তী পদে থাকাবস্থায় ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ জুলাই পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে কর ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অডিট কার্যক্রম বন্ধ করেন। এছাড়াও, নজিরবিহীনভাবে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে অযৌক্তিক এবং অপরিকল্পিতভাবে ভ্যাট হর বাড়ানোর মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেন। তিনি (চেয়ারম্যান) বিভিন্ন উপায়ে সরকারের সঙ্গে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের গঠনমূলক ও সার্থক আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিসমূহের বিষয়ে সরকারকে শুরু থেকেই বিভ্রান্ত করে সরকারের সঙ্গে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টা করে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতিকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করেছেন। তার অবস্থান অতি নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রমূলক না হলে এই সমস্যা অনেক আগেই সুরাহা হয়ে যেত।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের অপসারণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এর জন্য অপেক্ষায় আছে সংগঠনটি। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণের আগ পর্যন্ত তাকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ২৬ মে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে অপসারণের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেননি বা তাকে অপসারণ করেনি সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিন্তু বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি। সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপে এরইমধ্যে আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহ আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমাদের যৌক্তিক এই দাবি বাস্তবায়নে প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টিকারী, প্রসেস টেম্পারিং ও সবার অগোচরে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মূল কাঠামো ধ্বংসের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এই চেয়ারম্যানের হাতে প্রকৃত সংস্কার কার্যক্রম হুমকির মুখে। এ কারণে আমরা আশা করছি সরকার অবিলম্বে এ বিষয়ে চূডান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মে রাতে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজস্ব সংস্কারের লক্ষ্যে সরকারের এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। কারণ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করবে না বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করবে। রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের আগ পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির পরপরই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। ওইদিন থেকে সকল দপ্তরে পূর্ণোদ্যমে কাজ চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঐক্য পরিষদ জানায়, আমাদের দ্বিতীয় দাবি অর্থাৎ, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিটি এখনও পূরণ হয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার চরম সংকট সৃষ্টি হওয়ায় তাকে অপসারণের দাবির ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ঘোষিত লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
জারিকৃত অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার শুরু থেকে প্রতিটি ধাপে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন ও চরম অসহযোগিতা করেছেন এবং সরকারকে ভবিষ্যৎ রাজস্ব কাঠামো নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আশা ও আকাক্সক্ষার কথা জানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী প্রশাসনের এই কর্মকর্তা তার পূর্ববর্তী পদে থাকাবস্থায় ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ জুলাই পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে কর ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অডিট কার্যক্রম বন্ধ করেন। এছাড়াও, নজিরবিহীনভাবে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে অযৌক্তিক এবং অপরিকল্পিতভাবে ভ্যাট হর বাড়ানোর মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেন। তিনি (চেয়ারম্যান) বিভিন্ন উপায়ে সরকারের সঙ্গে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের গঠনমূলক ও সার্থক আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিসমূহের বিষয়ে সরকারকে শুরু থেকেই বিভ্রান্ত করে সরকারের সঙ্গে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টা করে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতিকে দীর্ঘায়িত ও জটিল করেছেন। তার অবস্থান অতি নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রমূলক না হলে এই সমস্যা অনেক আগেই সুরাহা হয়ে যেত।