শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যেই কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার, জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে গঠিত নতুন সরকারের অংশ হওয়ার কোনো ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তার নেই।
তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে সফলভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এর বাইরে আমাদের আর কোনো ভূমিকা নেই।”
বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, চ্যাথাম হাউসে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনূস। আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারের অংশ হতে চান? এর জবাবে ইউনূস সাফ জানিয়ে দেন, “কোনোভাবেই না, একেবারেই না। আমি মনে করি, আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যই সেটাতে আগ্রহী হবেন না।”
আলোচনার সভাপতিত্ব করেন চ্যাথাম হাউজের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রনওয়েন ম্যাডক্স।
‘সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হতে যাচ্ছে’
সভায় নির্বাচন বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। ম্যাডক্স জানতে চান, “এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আপনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছেন, অথচ তারা অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। অনেকেই বলছে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। আপনি কী বলবেন?”
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি বারবার বলেছি—এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। সময়টা উপযুক্ত, মানুষ প্রস্তুত। প্রায় ১৭ বছর পর আমরা সত্যিকারের নির্বাচন করতে যাচ্ছি। তরুণ প্রজন্ম, যারা এই সময়ে ভোটার হয়েছেন, তাদের প্রথমবার ভোট দেওয়ার সুযোগ হবে। আমরা তাদের স্বপ্নকে সম্মান জানাতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচন শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, এটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ। আমরা পুরোনো বাংলাদেশকে বিদায় দিতে চাই।”
‘জুলাই সনদই হবে নির্বাচনের ভিত্তি’
নির্বাচনের কাঠামো প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “এই নির্বাচনের ভিত্তি হবে ‘জুলাই সনদ’। সব রাজনৈতিক দল এই সনদের সুপারিশগুলোতে একমত হয়েছে। চার্টারে স্বাক্ষরের পর সেই ভিত্তিতে নির্বাচন হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নির্বাচনটি সঠিকভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। জনগণ যেন সেই নির্বাচনের ওপর আস্থা রাখতে পারে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
---
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যেই কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার, জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তী মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে গঠিত নতুন সরকারের অংশ হওয়ার কোনো ইচ্ছা বা পরিকল্পনা তার নেই।
তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে সফলভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এর বাইরে আমাদের আর কোনো ভূমিকা নেই।”
বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, চ্যাথাম হাউসে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ইউনূস। আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারের অংশ হতে চান? এর জবাবে ইউনূস সাফ জানিয়ে দেন, “কোনোভাবেই না, একেবারেই না। আমি মনে করি, আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যই সেটাতে আগ্রহী হবেন না।”
আলোচনার সভাপতিত্ব করেন চ্যাথাম হাউজের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রনওয়েন ম্যাডক্স।
‘সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হতে যাচ্ছে’
সভায় নির্বাচন বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। ম্যাডক্স জানতে চান, “এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আপনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছেন, অথচ তারা অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। অনেকেই বলছে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। আপনি কী বলবেন?”
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি বারবার বলেছি—এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। সময়টা উপযুক্ত, মানুষ প্রস্তুত। প্রায় ১৭ বছর পর আমরা সত্যিকারের নির্বাচন করতে যাচ্ছি। তরুণ প্রজন্ম, যারা এই সময়ে ভোটার হয়েছেন, তাদের প্রথমবার ভোট দেওয়ার সুযোগ হবে। আমরা তাদের স্বপ্নকে সম্মান জানাতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচন শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, এটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ। আমরা পুরোনো বাংলাদেশকে বিদায় দিতে চাই।”
‘জুলাই সনদই হবে নির্বাচনের ভিত্তি’
নির্বাচনের কাঠামো প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “এই নির্বাচনের ভিত্তি হবে ‘জুলাই সনদ’। সব রাজনৈতিক দল এই সনদের সুপারিশগুলোতে একমত হয়েছে। চার্টারে স্বাক্ষরের পর সেই ভিত্তিতে নির্বাচন হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, নির্বাচনটি সঠিকভাবে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। জনগণ যেন সেই নির্বাচনের ওপর আস্থা রাখতে পারে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
---