প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ‘দেশ ও রাজনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে’ স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে দল নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
যুক্তরাজ্যে চ্যাথাম হাউজের রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক সংলাপে তিনি একথা বলেন।
সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আওয়ামী লীগ কি আদৌ রাজনৈতিক দল? যদি তারা রাস্তায় তরুণদের গুলি করে হত্যা করতে পারে, মানুষকে গুম করতে পারে, টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে কি এটাকে এখনো রাজনৈতিক দল বলা যায়? এটা বিতর্কের বিষয়, কোনো সিদ্ধান্ত নয়।”
তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগ করলে সারাদেশে মানুষ উদযাপন করছিল, ‘অবশেষে আমরা মুক্ত’। আমরা ভাবেছিলাম ৫ আগস্টই সবকিছুর ইতি, কিন্তু পালিয়ে যাওয়া দলগুলো এখনও বিদেশ থেকে একই কাজ করে যাচ্ছে, মানুষকে উসকে দিচ্ছে।”
মে মাসে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে আইন সংশোধন করে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের পথ তৈরি করে ইউনূসের সরকার।
ইউনুস জানান, “আমরা রাস্তায় নিরাপদ বোধ করি না, কারণ আন্দোলনের নেতাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
তবে তিনি বলেন, “আমরা তাদের নিষিদ্ধ করিনি। যতক্ষণ না বিচার শেষ হচ্ছে, আমরা কিছুই করিনি। বিচার পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য রাখা উচিত নয়।”
নির্বাচন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, “এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। সময় ঠিক আছে, জনগণ প্রস্তুত। আমরা নতুন বাংলাদেশের জন্য ভোট দিতে যাচ্ছি।”
---
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ‘দেশ ও রাজনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে’ স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে দল নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
যুক্তরাজ্যে চ্যাথাম হাউজের রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক সংলাপে তিনি একথা বলেন।
সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আওয়ামী লীগ কি আদৌ রাজনৈতিক দল? যদি তারা রাস্তায় তরুণদের গুলি করে হত্যা করতে পারে, মানুষকে গুম করতে পারে, টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে কি এটাকে এখনো রাজনৈতিক দল বলা যায়? এটা বিতর্কের বিষয়, কোনো সিদ্ধান্ত নয়।”
তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগ করলে সারাদেশে মানুষ উদযাপন করছিল, ‘অবশেষে আমরা মুক্ত’। আমরা ভাবেছিলাম ৫ আগস্টই সবকিছুর ইতি, কিন্তু পালিয়ে যাওয়া দলগুলো এখনও বিদেশ থেকে একই কাজ করে যাচ্ছে, মানুষকে উসকে দিচ্ছে।”
মে মাসে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে আইন সংশোধন করে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের পথ তৈরি করে ইউনূসের সরকার।
ইউনুস জানান, “আমরা রাস্তায় নিরাপদ বোধ করি না, কারণ আন্দোলনের নেতাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
তবে তিনি বলেন, “আমরা তাদের নিষিদ্ধ করিনি। যতক্ষণ না বিচার শেষ হচ্ছে, আমরা কিছুই করিনি। বিচার পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য রাখা উচিত নয়।”
নির্বাচন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, “এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। সময় ঠিক আছে, জনগণ প্রস্তুত। আমরা নতুন বাংলাদেশের জন্য ভোট দিতে যাচ্ছি।”
---