ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জটিল পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ করে রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হলেও বিমান চলাচল বন্ধ, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে অর্থ পাঠানোর সীমাবদ্ধতা এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানিয়েছেন, “তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকায় প্রথমে তাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের তহবিল ব্যবহার করে প্রাথমিক ব্যয় মেটানো হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “অর্থ পাঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো কিছুই সহজ নয়। আমাদের কূটনৈতিক চ্যানেল এবং বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির মধ্যে ১০০ জন সরিয়ে নেওয়ার জন্য দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হটলাইনে যোগাযোগ করেছেন। তাদের সঙ্গে দূতাবাসের ৪০ জন কর্মীকেও নিরাপদ স্থানে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এরইমধ্যে ইরানের রেডিও টেলিভিশনের বাংলা বিভাগে কাজ করা ৮ জন বাংলাদেশি কর্মী একটি ইসরায়েলি হামলার সময় ভবনে থাকলেও তারা অক্ষত রয়েছেন। তবে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি ভবন এবং রাষ্ট্রদূতের বাসভবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় সেখান থেকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সরকার তেহরান থেকে কিছুটা দূরত্বে নিরাপদ এলাকায় থাকা এবং তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করছে। ভবিষ্যতে তারা যদি তুরস্ক কিংবা পাকিস্তানে আশ্রয় নিতে চান, সেদিকেও সহায়তা করা হবে বলে জানান সচিব। তবে যুদ্ধের এই সময়ে ইরান ত্যাগ করে দেশে ফেরার পথ এখনো খোলা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ সময়ে তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সম্ভব হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে, এই সংকট তত বাড়বে।
পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হলে তা বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে বলেও সতর্ক করেন পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক। তিনি বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের রেমিটেন্স, জ্বালানি ও শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জটিল পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ করে রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হলেও বিমান চলাচল বন্ধ, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে অর্থ পাঠানোর সীমাবদ্ধতা এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানিয়েছেন, “তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকায় প্রথমে তাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের তহবিল ব্যবহার করে প্রাথমিক ব্যয় মেটানো হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “অর্থ পাঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো কিছুই সহজ নয়। আমাদের কূটনৈতিক চ্যানেল এবং বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির মধ্যে ১০০ জন সরিয়ে নেওয়ার জন্য দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হটলাইনে যোগাযোগ করেছেন। তাদের সঙ্গে দূতাবাসের ৪০ জন কর্মীকেও নিরাপদ স্থানে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এরইমধ্যে ইরানের রেডিও টেলিভিশনের বাংলা বিভাগে কাজ করা ৮ জন বাংলাদেশি কর্মী একটি ইসরায়েলি হামলার সময় ভবনে থাকলেও তারা অক্ষত রয়েছেন। তবে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি ভবন এবং রাষ্ট্রদূতের বাসভবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় সেখান থেকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে সরকার তেহরান থেকে কিছুটা দূরত্বে নিরাপদ এলাকায় থাকা এবং তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করছে। ভবিষ্যতে তারা যদি তুরস্ক কিংবা পাকিস্তানে আশ্রয় নিতে চান, সেদিকেও সহায়তা করা হবে বলে জানান সচিব। তবে যুদ্ধের এই সময়ে ইরান ত্যাগ করে দেশে ফেরার পথ এখনো খোলা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ সময়ে তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সম্ভব হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে, এই সংকট তত বাড়বে।
পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হলে তা বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে বলেও সতর্ক করেন পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক। তিনি বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের রেমিটেন্স, জ্বালানি ও শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”