মাদক ও দুর্নীতিকে ‘দেশের শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ দুটিকে এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “মাদক ও দুর্নীতি আমরা কন্ট্রোলে আনতে পারিনি। নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যা সমাধান করা যাবে না।”
অনুষ্ঠানে ৩২টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভারতে মাদকের ছোট ছোট কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে শুধু আমাদের দেশে পাচার করার জন্যই। এসব ফেনসিডিলের কারখানার বিষয়ে তাদেরকে বললে তারা অস্বীকার করে।”
এক সাংবাদিক পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ইয়াবা আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, “অন্য দেশের একটা বাহিনী ও তারা পুরো নির্ভর করে এটার উপরেই। এটা থেকে তারা আয় করে ঘর সংসার সব চালাচ্ছে। এসব বন্ধের ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গডফাদারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মাদকের জায়গায় যারা গডফাদার, তারা তারকা হোটেলে বসে থাকে। তারা আমাদের কারও না কারো সাথে চা খেয়ে থাকে। মাদক বহনকারীদের ধরে লাভ নাই, যেভাবেই হোক গডফাদারদের ধরতে হবে।”
কক্সবাজারের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বলেন, “এখন অনেক বদি হয়ে গেছে।”
রাজধানীর বিভিন্ন বারে অভিযানের প্রসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের সীমিত লোকজন নিয়ে নিয়মিত অভিযান চলছে।”
বারগুলো থেকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অর্থ নেন—এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখানে আমাদের অফিসাররা আছে, সংবাদ মাধ্যমের লোকজন আছে, অন্যান্য গোষ্ঠীর লোকজন আছে। সবাই মিলে এটা চলে।”
বনানীতে পরপর দুটি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, “যে সব জায়গায় আমরা অভিযান চালিয়েছি, পরে দেখা গেল সেখানে অনেক গোষ্ঠী, সমাজে যারা বসবাস করে... তারাই। তাদের সাথেই আমাদের যুদ্ধ।”
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “উচ্চ শ্রেণীরা আমাদের সাথে ঘোরাফেরা করছে। এই শ্রেণীর দিকে আমাদের টার্গেট বেশি করতে হবে।”
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
মাদক ও দুর্নীতিকে ‘দেশের শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ দুটিকে এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “মাদক ও দুর্নীতি আমরা কন্ট্রোলে আনতে পারিনি। নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যা সমাধান করা যাবে না।”
অনুষ্ঠানে ৩২টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভারতে মাদকের ছোট ছোট কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে শুধু আমাদের দেশে পাচার করার জন্যই। এসব ফেনসিডিলের কারখানার বিষয়ে তাদেরকে বললে তারা অস্বীকার করে।”
এক সাংবাদিক পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ইয়াবা আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, “অন্য দেশের একটা বাহিনী ও তারা পুরো নির্ভর করে এটার উপরেই। এটা থেকে তারা আয় করে ঘর সংসার সব চালাচ্ছে। এসব বন্ধের ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গডফাদারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মাদকের জায়গায় যারা গডফাদার, তারা তারকা হোটেলে বসে থাকে। তারা আমাদের কারও না কারো সাথে চা খেয়ে থাকে। মাদক বহনকারীদের ধরে লাভ নাই, যেভাবেই হোক গডফাদারদের ধরতে হবে।”
কক্সবাজারের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বলেন, “এখন অনেক বদি হয়ে গেছে।”
রাজধানীর বিভিন্ন বারে অভিযানের প্রসঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের সীমিত লোকজন নিয়ে নিয়মিত অভিযান চলছে।”
বারগুলো থেকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অর্থ নেন—এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখানে আমাদের অফিসাররা আছে, সংবাদ মাধ্যমের লোকজন আছে, অন্যান্য গোষ্ঠীর লোকজন আছে। সবাই মিলে এটা চলে।”
বনানীতে পরপর দুটি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, “যে সব জায়গায় আমরা অভিযান চালিয়েছি, পরে দেখা গেল সেখানে অনেক গোষ্ঠী, সমাজে যারা বসবাস করে... তারাই। তাদের সাথেই আমাদের যুদ্ধ।”
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “উচ্চ শ্রেণীরা আমাদের সাথে ঘোরাফেরা করছে। এই শ্রেণীর দিকে আমাদের টার্গেট বেশি করতে হবে।”