রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন না: আলী রীয়াজ, অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনী প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির আওতায় থাকবে না
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি)’ প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত কমিটির কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে তারা থাকবেন না।
বুধবার,(২৫ জুন ২০২৫) ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির অন্তর্ভুক্ত হবে না। এই কমিটি হবে সাত সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে সভাপতি থাকবেন নিম্নকক্ষর স্পিকার।
প্রস্তাবিত কমিটিতে থাকবেন
প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার (নিম্নকক্ষ), স্পিকার (উচ্চকক্ষ), বিরোধীদলীয়
নেতা, প্রধান বিরোধীদল ছাড়া অন্য বিরোধীদলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন), প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার।
দলগুলোকে ছাড় দেয়ার আহ্বান
বেলা সাড়ে ১১টায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনার শুরু হয়। এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, তিনি আশা করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। আলোচনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনায় ক্ষেত্রবিশেষে অগ্রগতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে মতপার্থক্য থাকলেও তারা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। কমিশনের বৈঠক ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে পরস্পরের মধ্যে কথা বলছেন। এটি একটি ইতিবাচক দিক।
বুধবার আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন না: আলী রীয়াজ, অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনী প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির আওতায় থাকবে না
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি)’ প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত কমিটির কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে তারা থাকবেন না।
বুধবার,(২৫ জুন ২০২৫) ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের স্পিকার অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির অন্তর্ভুক্ত হবে না। এই কমিটি হবে সাত সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে সভাপতি থাকবেন নিম্নকক্ষর স্পিকার।
প্রস্তাবিত কমিটিতে থাকবেন
প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার (নিম্নকক্ষ), স্পিকার (উচ্চকক্ষ), বিরোধীদলীয়
নেতা, প্রধান বিরোধীদল ছাড়া অন্য বিরোধীদলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন), প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার।
দলগুলোকে ছাড় দেয়ার আহ্বান
বেলা সাড়ে ১১টায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনার শুরু হয়। এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, তিনি আশা করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। আলোচনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনায় ক্ষেত্রবিশেষে অগ্রগতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে মতপার্থক্য থাকলেও তারা আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। কমিশনের বৈঠক ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে পরস্পরের মধ্যে কথা বলছেন। এটি একটি ইতিবাচক দিক।
বুধবার আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।