দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের শাটডাউন কর্মসূচি বুধবার,(২৫ জুন ২০২৫) চতুর্থ দিন চলছে। শিক্ষার্থীরা নগরীর লালবাগ এলাকায় অবস্থিত কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
তবে সেনাবাহিনী জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা এবং অনার্স ও মাস্টার পরীক্ষার ভর্তি ও ফরম ফিলাপের ব্যাপারে ছাড় দিলেও শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সশরীরে না আসা পর্যন্ত এবং তাদের দাবির ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছে, প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানো অব্যাহত থাকবে, সেই সঙ্গে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল সেনাবাহিনী ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে জানান তারা তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা ৬ শিক্ষার্থীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকায় তার কাছে এসে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আলোচনা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সেই সঙ্গে কলেজে প্রবেশপথসহ অবৈধ স্থাপনা দ্রুত অপসারণ করার ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কলেজে এসে তাদের দাবি বাস্তবায়নে ঘোষণা না দেয়া শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হচ্ছে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সব সুবিধা, ফ্যান, বেঞ্চ, পর্যাপ্ত আলো, হোয়াইট বোর্ড ইত্যাদি নিশ্চিত করা, প্রতি বিভাগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনার ব্যবস্থা করা, তা ক্লাসে প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করা, মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জারিকৃত উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ নির্বাচন করা, কলেজে নতুন বিভাগ সংযোজন করা, বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভুগোল, গণযোগাযোগ, ফুডল্যাব এবং দেশের চাহিদাভিত্তিক পছন্দের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, শতাব্দী ভবনে ক্লাস শুরু করা এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অ্যাকাডেমিক ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আইডি কার্ড নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার জন্য দ্রুত কলেজের গেইটের কাছে পুলিশ বক্স নির্মাণ, অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ, ছাত্রী বিশ্রামাগারের সব সুবিধা প্রদানসহ ২১ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের শাটডাউন কর্মসূচি বুধবার,(২৫ জুন ২০২৫) চতুর্থ দিন চলছে। শিক্ষার্থীরা নগরীর লালবাগ এলাকায় অবস্থিত কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
তবে সেনাবাহিনী জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা এবং অনার্স ও মাস্টার পরীক্ষার ভর্তি ও ফরম ফিলাপের ব্যাপারে ছাড় দিলেও শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সশরীরে না আসা পর্যন্ত এবং তাদের দাবির ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছে, প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানো অব্যাহত থাকবে, সেই সঙ্গে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল সেনাবাহিনী ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে জানান তারা তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা ৬ শিক্ষার্থীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকায় তার কাছে এসে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আলোচনা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সেই সঙ্গে কলেজে প্রবেশপথসহ অবৈধ স্থাপনা দ্রুত অপসারণ করার ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কলেজে এসে তাদের দাবি বাস্তবায়নে ঘোষণা না দেয়া শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হচ্ছে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সব সুবিধা, ফ্যান, বেঞ্চ, পর্যাপ্ত আলো, হোয়াইট বোর্ড ইত্যাদি নিশ্চিত করা, প্রতি বিভাগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনার ব্যবস্থা করা, তা ক্লাসে প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করা, মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জারিকৃত উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ নির্বাচন করা, কলেজে নতুন বিভাগ সংযোজন করা, বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভুগোল, গণযোগাযোগ, ফুডল্যাব এবং দেশের চাহিদাভিত্তিক পছন্দের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, শতাব্দী ভবনে ক্লাস শুরু করা এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অ্যাকাডেমিক ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আইডি কার্ড নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার জন্য দ্রুত কলেজের গেইটের কাছে পুলিশ বক্স নির্মাণ, অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ, ছাত্রী বিশ্রামাগারের সব সুবিধা প্রদানসহ ২১ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।