দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও সম্প্রতি দেখা মিলছে নানান স্বাদের রানী মাছের।
আষাঢ়ের মাঝামাঝি থেকে কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওর ও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে রানী মাছ ধরা পড়তো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ মাছের খুব একটা দেখা নেই বললেই চলে। জেলেরা জানায়, অন্য বছরের চেয়ে এ বছর রানী মাছ আরও কম পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওর ও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে অন্য দেশীয় মাছের সঙ্গে রানী মাছ ধরা পড়তো।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ মাছের খুব একটা দেখা মিলছে না। অন্য বছরের চেয়ে বছর রানী মাছ একেবারেই কম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় অবস্থিত বিশাল জলাভূমি হলো হাকালুকি হাওর। এটি এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমিও বটে। এর আয়তন প্রায় ১৮,১১৪ হেক্টর; যার মধ্যে ৪,৪০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে ছোট-বড় বিল। একসময় এসব জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে নানা প্রজাতির দেশি মাছ মিলতো। তার মধ্যে এই অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষন হলো রাণী মাছ। কালক্রমে এই মাছে বংশবৃদ্ধি নেই বললেই চলে।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, আগামীতে এ প্রজাতির মাছ একেবারেই না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ জাতীয় মাছের বংশ বিস্তার বা রক্ষায় মৎস্য বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। যার ফলে হাকালুকি হাওর, বিল, জলাশয়ের সুস্বাদু দেশীয় প্রজাতির রানী মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এ ব্যাপারে জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসার মনিরুজ্জামান খান জানান, হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে ২৩ জাতের দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ঐ জাতীয় মাছের বংশ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়, নতুন প্রজন্মের অনেকেই ঐসব মাছ সম্পর্কে জানতে পারছে না। তার মধ্যে একটি হচ্ছে রানী মাছ। সুস্বাদু এ রানী মাছ হাকালুকি হাওরসহ সিলেট বিভাগের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত ছিল। খেতেও সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে বেশী দামে এ মাছ কিনতে আগ্রহী ছিলেন।
বড়লেখা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, সিলেটের কিছু কিছু হাওরে মাঝে-মধ্যে ‘রাণী মাছ’ দেখা গেলেও বাস্তবতায় এটি প্রায় বিলুপ্ত। শুষ্ক মৌসুমে হাকালুকি হাওরে বিলগুলোর পানি সম্পূর্ণ সেচে মাছ ধরা হয় বলে মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হয়। রাণী মাছ বিলুপ্তির এটিই প্রধান কারণ বলে মনে করেন বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
তাদের মতে, মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে যদি ‘রাণী মাছের’ পোনা উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে সম্পূর্ণ বিলুপ্তির হাত থেকে এই প্রজাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় জেলেরা রানী মাছ রক্ষা ও বংশ বিস্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও সম্প্রতি দেখা মিলছে নানান স্বাদের রানী মাছের।
আষাঢ়ের মাঝামাঝি থেকে কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওর ও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে রানী মাছ ধরা পড়তো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ মাছের খুব একটা দেখা নেই বললেই চলে। জেলেরা জানায়, অন্য বছরের চেয়ে এ বছর রানী মাছ আরও কম পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওর ও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে অন্য দেশীয় মাছের সঙ্গে রানী মাছ ধরা পড়তো।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে এ মাছের খুব একটা দেখা মিলছে না। অন্য বছরের চেয়ে বছর রানী মাছ একেবারেই কম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় অবস্থিত বিশাল জলাভূমি হলো হাকালুকি হাওর। এটি এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমিও বটে। এর আয়তন প্রায় ১৮,১১৪ হেক্টর; যার মধ্যে ৪,৪০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে ছোট-বড় বিল। একসময় এসব জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে নানা প্রজাতির দেশি মাছ মিলতো। তার মধ্যে এই অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষন হলো রাণী মাছ। কালক্রমে এই মাছে বংশবৃদ্ধি নেই বললেই চলে।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, আগামীতে এ প্রজাতির মাছ একেবারেই না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ জাতীয় মাছের বংশ বিস্তার বা রক্ষায় মৎস্য বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। যার ফলে হাকালুকি হাওর, বিল, জলাশয়ের সুস্বাদু দেশীয় প্রজাতির রানী মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এ ব্যাপারে জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসার মনিরুজ্জামান খান জানান, হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে ২৩ জাতের দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ঐ জাতীয় মাছের বংশ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়, নতুন প্রজন্মের অনেকেই ঐসব মাছ সম্পর্কে জানতে পারছে না। তার মধ্যে একটি হচ্ছে রানী মাছ। সুস্বাদু এ রানী মাছ হাকালুকি হাওরসহ সিলেট বিভাগের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত ছিল। খেতেও সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে বেশী দামে এ মাছ কিনতে আগ্রহী ছিলেন।
বড়লেখা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, সিলেটের কিছু কিছু হাওরে মাঝে-মধ্যে ‘রাণী মাছ’ দেখা গেলেও বাস্তবতায় এটি প্রায় বিলুপ্ত। শুষ্ক মৌসুমে হাকালুকি হাওরে বিলগুলোর পানি সম্পূর্ণ সেচে মাছ ধরা হয় বলে মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হয়। রাণী মাছ বিলুপ্তির এটিই প্রধান কারণ বলে মনে করেন বড়লেখা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
তাদের মতে, মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে যদি ‘রাণী মাছের’ পোনা উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে সম্পূর্ণ বিলুপ্তির হাত থেকে এই প্রজাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় জেলেরা রানী মাছ রক্ষা ও বংশ বিস্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।