বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ‘সমাধান দুইবার হয়ে যাওয়ার’ যে দাবি করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, তার সঙ্গে একমত নন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর ওই দাবি করে ইসহাক দার বলেন, “এই ইস্যুটির সমাধান আসলে দুইবার হয়েছে। একবার ১৯৭৪ সালে, আবার ২০০০ এর শুরুর দিকে, যখন জেনারেল (পারভেজ) মোশাররফ এখানে এসেছিলেন। তিনি গোটা পাকিস্তান জাতির পক্ষ থেকে গোটা বাংলাদেশ জাতির উদ্দেশ্যে কথাটা বলেছিলেন।”
তার বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ একমত কি-না, এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি অবশ্যই একমত না। একমত হলে তো সমস্যাটা সমাধান হয়ে যেত তাদের মত করে, তাই না? আমি তো বললাম আপনাকে যে, আমরা আমাদের অবস্থানটা বলেছি, উনারা উনাদের অবস্থানটা বলেছেন।”
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগের মধ্যে ঢাকা সফর করছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
দুদেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের আলোচনায় একাত্তরের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার পাওনা পরিশোধ এবং আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরানোর অমীমাংসিত বিষয়গুলো সামনে আসে।
১৯৭১ সালে নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের হাতে ৩০ লাখ মানুষ নিহত এবং ৩ লাখ নারী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এখনও পাকিস্তান ৩০ লাখ মানুষ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেনি, রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমাও চায়নি। ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ বাংলাদেশ সফরে এসে সাধারণভাবে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছিলেন কেবল।
গত এপ্রিলে ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে। রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও বিষয়টি তোলার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
তবে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের দাবি করেন, অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগেই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে আপনার প্রশ্ন… দেখুন, প্রিয় ভাই, ১৯৭৪ সালে ইস্যুটি লিখিতভাবে সমাধান হয়েছে। এই ডকুমেন্টটি ঐতিহাসিক এবং দুই দেশের কাছেই আছে। আর তারপর, যখন জেনারেল মোশাররফ এখানে এসেছিলেন; খুব খোলামেলা এবং অকপটে তিনি এই ইস্যুটি তুলে ধরেছিলেন। এবং আমি মনে করি, পরিবারের মধ্যে, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো কিছুর একবার সমাধান হলে, সেটা হয়ে গেছে।”
প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ চুক্তি এবং আরও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, সংস্কৃতি বিনিময়, ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার (বাসস ও এপিপিসি) মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সঙ্গে পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের (আইএসএসআই) সহযোগিতা।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আপনারা নিশ্চয় প্রত্যাশা করেন না যে ৫৪ বছরের সমস্যা, আজকের একদিনের মিটিংয়ে… সমাধান হবে। আমরা পরস্পরের অবস্থানটা তুলে ধরেছি। আমি আপনাদেরকে এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা পরস্পরের অবস্থান তুলে ধরেছি।”
অমীমাংসিত তিন বিষয় সমাধানে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করার বিষয়ে একমত হওয়ার কথাও তুলে ধরেন তৌহিদ। তিনি বলেন, “আমরা তিনটি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছি। দুই পক্ষই একটি বিষয় ঠিক করেছি যে, এই জিনিসগুলোকে আমাদেরকে সমাধান করতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যাতে খুব স্মুদলি এগোতে পারে এজন্য এদেরকে পিছনে ফেলতে হবে। আমরা এ নিয়ে কথা বলব এবং চেষ্টা করব এই ইস্যুগুলি যেন আগামীতে কোনো এক পর্যায়ে সমাধান হয়।”
অমীমাংসিত বিষয়ে দুই দেশের অবস্থান একই কি-না—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “আনরিজলভড ইস্যুতে দুই দেশে তাদের নিজেদের অবস্থানটাই পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
তাহলে পাকিস্তান নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে একমত কি-না, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “না। আপনি এটা বলতে পারেন না। আমি বলেছি যে, নিজ নিজ অবস্থান ব্যক্ত করেছি। শুধু একটি অগ্রগতি মনে করি আমি, সেটা হল আমরা দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে এই বিষয়গুলো আলোচনা করে সমাধান করা প্রয়োজন, যাতে করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগুলো বাধা হয়ে না আসে।”
চীন ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মের কারণে ধারাবাহিক বৈঠক হচ্ছে কি-না—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “না।” তিনি জানান, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক গত সরকারের আমলে ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ।
তিনটি বিষয়ে পাকিস্তান কী অবস্থান জানিয়েছে—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “তাদের অবস্থান তাদেরকে যেটুকু জিজ্ঞেস করেছেন, তারা বলেছে- ওটুকুই। আমি সেটা কিছু বলতে চাই না।”
বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা চাই হিসাবপত্র হোক, পাওনা টাকার সমাধান হোক। আমরা চাই গণহত্যার ব্যাপারে তারা দুঃখ প্রকাশ করুক, মাফ চাক। এবং আটকেপড়া মানুষগুলিকে ফেরত নিক।”
তিনি আরও জানান, আটকেপড়া মানুষদের ব্যাপারে একটি হাই কোর্টের রায় আছে এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বিষয়টি তুলে ধরছে। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
‘গণহত্যা’ শব্দটি বৈঠকে ব্যবহার করা হয়েছে কি-না—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “এ ধরনের স্পেসিফিকে না যাওয়াই ভালো। তবে বাংলাদেশের অবস্থান খুব শক্তভাবে ব্যক্ত করেছি।”
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ‘সমাধান দুইবার হয়ে যাওয়ার’ যে দাবি করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, তার সঙ্গে একমত নন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর ওই দাবি করে ইসহাক দার বলেন, “এই ইস্যুটির সমাধান আসলে দুইবার হয়েছে। একবার ১৯৭৪ সালে, আবার ২০০০ এর শুরুর দিকে, যখন জেনারেল (পারভেজ) মোশাররফ এখানে এসেছিলেন। তিনি গোটা পাকিস্তান জাতির পক্ষ থেকে গোটা বাংলাদেশ জাতির উদ্দেশ্যে কথাটা বলেছিলেন।”
তার বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ একমত কি-না, এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি অবশ্যই একমত না। একমত হলে তো সমস্যাটা সমাধান হয়ে যেত তাদের মত করে, তাই না? আমি তো বললাম আপনাকে যে, আমরা আমাদের অবস্থানটা বলেছি, উনারা উনাদের অবস্থানটা বলেছেন।”
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগের মধ্যে ঢাকা সফর করছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
দুদেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের আলোচনায় একাত্তরের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার পাওনা পরিশোধ এবং আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরানোর অমীমাংসিত বিষয়গুলো সামনে আসে।
১৯৭১ সালে নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাদের হাতে ৩০ লাখ মানুষ নিহত এবং ৩ লাখ নারী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এখনও পাকিস্তান ৩০ লাখ মানুষ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেনি, রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমাও চায়নি। ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ বাংলাদেশ সফরে এসে সাধারণভাবে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছিলেন কেবল।
গত এপ্রিলে ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানকে। রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও বিষয়টি তোলার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
তবে সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের দাবি করেন, অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগেই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে আপনার প্রশ্ন… দেখুন, প্রিয় ভাই, ১৯৭৪ সালে ইস্যুটি লিখিতভাবে সমাধান হয়েছে। এই ডকুমেন্টটি ঐতিহাসিক এবং দুই দেশের কাছেই আছে। আর তারপর, যখন জেনারেল মোশাররফ এখানে এসেছিলেন; খুব খোলামেলা এবং অকপটে তিনি এই ইস্যুটি তুলে ধরেছিলেন। এবং আমি মনে করি, পরিবারের মধ্যে, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো কিছুর একবার সমাধান হলে, সেটা হয়ে গেছে।”
প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ চুক্তি এবং আরও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, সংস্কৃতি বিনিময়, ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার (বাসস ও এপিপিসি) মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সঙ্গে পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের (আইএসএসআই) সহযোগিতা।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আপনারা নিশ্চয় প্রত্যাশা করেন না যে ৫৪ বছরের সমস্যা, আজকের একদিনের মিটিংয়ে… সমাধান হবে। আমরা পরস্পরের অবস্থানটা তুলে ধরেছি। আমি আপনাদেরকে এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা পরস্পরের অবস্থান তুলে ধরেছি।”
অমীমাংসিত তিন বিষয় সমাধানে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করার বিষয়ে একমত হওয়ার কথাও তুলে ধরেন তৌহিদ। তিনি বলেন, “আমরা তিনটি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছি। দুই পক্ষই একটি বিষয় ঠিক করেছি যে, এই জিনিসগুলোকে আমাদেরকে সমাধান করতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যাতে খুব স্মুদলি এগোতে পারে এজন্য এদেরকে পিছনে ফেলতে হবে। আমরা এ নিয়ে কথা বলব এবং চেষ্টা করব এই ইস্যুগুলি যেন আগামীতে কোনো এক পর্যায়ে সমাধান হয়।”
অমীমাংসিত বিষয়ে দুই দেশের অবস্থান একই কি-না—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “আনরিজলভড ইস্যুতে দুই দেশে তাদের নিজেদের অবস্থানটাই পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
তাহলে পাকিস্তান নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে একমত কি-না, এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “না। আপনি এটা বলতে পারেন না। আমি বলেছি যে, নিজ নিজ অবস্থান ব্যক্ত করেছি। শুধু একটি অগ্রগতি মনে করি আমি, সেটা হল আমরা দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে এই বিষয়গুলো আলোচনা করে সমাধান করা প্রয়োজন, যাতে করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগুলো বাধা হয়ে না আসে।”
চীন ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মের কারণে ধারাবাহিক বৈঠক হচ্ছে কি-না—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “না।” তিনি জানান, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক গত সরকারের আমলে ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ।
তিনটি বিষয়ে পাকিস্তান কী অবস্থান জানিয়েছে—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “তাদের অবস্থান তাদেরকে যেটুকু জিজ্ঞেস করেছেন, তারা বলেছে- ওটুকুই। আমি সেটা কিছু বলতে চাই না।”
বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা চাই হিসাবপত্র হোক, পাওনা টাকার সমাধান হোক। আমরা চাই গণহত্যার ব্যাপারে তারা দুঃখ প্রকাশ করুক, মাফ চাক। এবং আটকেপড়া মানুষগুলিকে ফেরত নিক।”
তিনি আরও জানান, আটকেপড়া মানুষদের ব্যাপারে একটি হাই কোর্টের রায় আছে এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বিষয়টি তুলে ধরছে। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
‘গণহত্যা’ শব্দটি বৈঠকে ব্যবহার করা হয়েছে কি-না—এমন প্রশ্নে তৌহিদ বলেন, “এ ধরনের স্পেসিফিকে না যাওয়াই ভালো। তবে বাংলাদেশের অবস্থান খুব শক্তভাবে ব্যক্ত করেছি।”