প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ভিত্তিতে’ বিদ্যমান বহুমাত্রিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও জোরদারের অঙ্গীকার করা হয়।
চুক্তি
সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের আর আগে থেকে ভিসা নিতে হবে না।
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)
দুই দেশের বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন।
দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা।
দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের (আইএসএসআই) মধ্যে সহযোগিতা।
আলোচনার বিষয়
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বহুমুখী ও ঐতিহাসিক, যা আরও এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে অতীতের অমীমাংসিত বিষয়, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আলোচনা হয়। উভয় দেশই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে এক বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (সাফটা) কাঠামোর আওতায় পাকিস্তানের বাজারে বস্ত্র, জ্বালানি, ওষুধ, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবেশাধিকার চাওয়া হয়। পাকিস্তানও বাংলাদেশে জ্বালানি রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম-করাচি শিপিং সার্ভিস নিয়মিত করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পায়। উড়োজাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দুটি এয়ারলাইন্সকে প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং সরাসরি ফ্লাইট চালুর কার্যক্রম চলছে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও পর্যটনে সহায়ক হবে।
এছাড়া উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানো, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। চিকিৎসা শিক্ষা, ওষুধ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও উভয় দেশ একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক সহযোগিতা, বিশেষ করে সার্ক সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ভিত্তিতে’ বিদ্যমান বহুমাত্রিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও জোরদারের অঙ্গীকার করা হয়।
চুক্তি
সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের আর আগে থেকে ভিসা নিতে হবে না।
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)
দুই দেশের বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন।
দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা।
দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের (আইএসএসআই) মধ্যে সহযোগিতা।
আলোচনার বিষয়
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বহুমুখী ও ঐতিহাসিক, যা আরও এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে অতীতের অমীমাংসিত বিষয়, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আলোচনা হয়। উভয় দেশই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে এক বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (সাফটা) কাঠামোর আওতায় পাকিস্তানের বাজারে বস্ত্র, জ্বালানি, ওষুধ, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবেশাধিকার চাওয়া হয়। পাকিস্তানও বাংলাদেশে জ্বালানি রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম-করাচি শিপিং সার্ভিস নিয়মিত করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পায়। উড়োজাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে দুটি এয়ারলাইন্সকে প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং সরাসরি ফ্লাইট চালুর কার্যক্রম চলছে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও পর্যটনে সহায়ক হবে।
এছাড়া উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানো, বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। চিকিৎসা শিক্ষা, ওষুধ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও উভয় দেশ একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক সহযোগিতা, বিশেষ করে সার্ক সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে।