জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রোববার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী জানান, বৈঠকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, মইনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া ও ইমরান সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্যরা বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও মো. আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে শুক্রবার ২৪টি রাজনৈতিক দল মতামত জানিয়েছে। রোববার নাগরিক ঐক্য ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও মতামত জমা দেয়, ফলে মোট ২৬টি দল মতামত প্রদান করেছে। গণঅধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট এখনও মতামত পাঠায়নি।
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশন ১৬৬টি সুপারিশ উপস্থাপন করে এবং দুই ধাপে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের আলোচনা শেষে ৮৪টির মতো প্রস্তাবে দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য স্থাপন করা সম্ভব হয়।
দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে ১৬ অগাস্ট জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। মতামত পাওয়ার পর সনদের সমন্বিত খসড়ার ওপর মাসের শেষ সপ্তাহে দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করার কথা রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন চায়, জুলাই সনদ ‘সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে’ কার্যকর হোক এবং আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না রাখুক। সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশ বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য আইনের সঙ্গে ভিন্ন হলেও প্রাধান্য পাবে। এছাড়া অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও কমিশন সংশ্লিষ্টরা এই সনদে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখতে বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রোববার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী জানান, বৈঠকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, মইনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া ও ইমরান সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্যরা বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও মো. আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে শুক্রবার ২৪টি রাজনৈতিক দল মতামত জানিয়েছে। রোববার নাগরিক ঐক্য ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও মতামত জমা দেয়, ফলে মোট ২৬টি দল মতামত প্রদান করেছে। গণঅধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট এখনও মতামত পাঠায়নি।
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশন ১৬৬টি সুপারিশ উপস্থাপন করে এবং দুই ধাপে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের আলোচনা শেষে ৮৪টির মতো প্রস্তাবে দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য স্থাপন করা সম্ভব হয়।
দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে ১৬ অগাস্ট জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। মতামত পাওয়ার পর সনদের সমন্বিত খসড়ার ওপর মাসের শেষ সপ্তাহে দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করার কথা রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন চায়, জুলাই সনদ ‘সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে’ কার্যকর হোক এবং আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না রাখুক। সনদের বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশ বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য আইনের সঙ্গে ভিন্ন হলেও প্রাধান্য পাবে। এছাড়া অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও কমিশন সংশ্লিষ্টরা এই সনদে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখতে বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল।