ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত সড়ক পরিহার করে বিকল্প স্থানে সভা-সমাবেশ আয়োজনের অনুরোধ করেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। জনদুর্ভোগকে এড়াতে সভা সমাবেশ করার জন্য তিনি ৯১টি স্থানও প্রস্তাব করেছেন।
গতকাল শনিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভায় ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর পুলিশের প্রস্তুতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন,‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিএমপির সর্বোচ্চ সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে।’
যান চলাচলের স্থানে সভা-সমাবেশ না করে সুবিধাজনক বিকল্প স্থানে কর্মসূচি আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষু রোগী যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না। একজন পরীক্ষার্থী সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারে না। তাই এহেন অবস্থা থেকে উত্তরণ অত্যন্ত জরুরি।’
সেজন্য পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ১৫টি, তেজগাঁও বিভাগের ১২টি, লালবাগ বিভাগের ১৭টি, ওয়ারী বিভাগের ১৪টি, গুলশান বিভাগের ৮টি, মিরপুর বিভাগের ১১টি, উত্তরা বিভাগের ১০টি এবং রমনা বিভাগের ৪টি স্থানকে সভা সমাবেশ আয়োজনের সম্ভাব্য বিকল্প স্থান হিসেবে তুলে ধরা হয় সভায়। তবে ৯১টি স্থানের বিস্তারিত তালিকা মহানগর পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হয়নি। কোন কোন রাজনৈতিক দল সভায় অংশ নিয়েছে, সে তথ্য নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভার আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক নেতাদের নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট, মাদক বিস্তার, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে পুলিশকে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ‘ঢাকা মহানগরের প্রত্যেকটি নাগরিক যেন নিরাপদে, শান্তিতে বসবাস করতে পারেন এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের কাছে আশা ব্যক্ত করেন এবং নির্বাচন সামনে রেখে যে কোনো ধরনের নাশকতার বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) মো. সরওয়ার সভায় বলেন, ‘কেবল পুলিশ নয়, ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিকসংক্রান্ত বিষয়ে ২৫টি বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। সবার সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে যানজট পরিস্থিতি উন্নত করা সম্ভব।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ সভায় বলেন, দীর্ঘদিন পর দেশে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর ‘মানমর্যাদা পুনরুদ্ধারে’ একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত সড়ক পরিহার করে বিকল্প স্থানে সভা-সমাবেশ আয়োজনের অনুরোধ করেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। জনদুর্ভোগকে এড়াতে সভা সমাবেশ করার জন্য তিনি ৯১টি স্থানও প্রস্তাব করেছেন।
গতকাল শনিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অনুরোধ করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভায় ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর পুলিশের প্রস্তুতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন,‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিএমপির সর্বোচ্চ সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন থাকবে।’
যান চলাচলের স্থানে সভা-সমাবেশ না করে সুবিধাজনক বিকল্প স্থানে কর্মসূচি আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে গর্ভবতী নারী, মুমূর্ষু রোগী যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না। একজন পরীক্ষার্থী সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারে না। তাই এহেন অবস্থা থেকে উত্তরণ অত্যন্ত জরুরি।’
সেজন্য পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ১৫টি, তেজগাঁও বিভাগের ১২টি, লালবাগ বিভাগের ১৭টি, ওয়ারী বিভাগের ১৪টি, গুলশান বিভাগের ৮টি, মিরপুর বিভাগের ১১টি, উত্তরা বিভাগের ১০টি এবং রমনা বিভাগের ৪টি স্থানকে সভা সমাবেশ আয়োজনের সম্ভাব্য বিকল্প স্থান হিসেবে তুলে ধরা হয় সভায়। তবে ৯১টি স্থানের বিস্তারিত তালিকা মহানগর পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হয়নি। কোন কোন রাজনৈতিক দল সভায় অংশ নিয়েছে, সে তথ্য নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভার আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক নেতাদের নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট, মাদক বিস্তার, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে পুলিশকে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ‘ঢাকা মহানগরের প্রত্যেকটি নাগরিক যেন নিরাপদে, শান্তিতে বসবাস করতে পারেন এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের কাছে আশা ব্যক্ত করেন এবং নির্বাচন সামনে রেখে যে কোনো ধরনের নাশকতার বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) মো. সরওয়ার সভায় বলেন, ‘কেবল পুলিশ নয়, ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিকসংক্রান্ত বিষয়ে ২৫টি বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। সবার সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে যানজট পরিস্থিতি উন্নত করা সম্ভব।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ সভায় বলেন, দীর্ঘদিন পর দেশে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর ‘মানমর্যাদা পুনরুদ্ধারে’ একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।