রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বার্মার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান অব্যাহত রাখার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এছাড়া বার্মা থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাই।”
যুক্তরাষ্ট্র এমন দিনে এ প্রশংসা জানাল, যেদিন কক্সবাজারে তিন দিনের ‘স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলন থেকে প্রস্তাব ও বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযানের পর মাত্র কয়েক মাসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই ক্যাম্পে অবস্থান করছিল আরও চার লাখ। ফলে উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে। জাতিসংঘ সে সময় এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করে। যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞকে জেনোসাইড বা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মায়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেও এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। ২০১৯ সালে দুটি উদ্যোগ নেওয়া হলেও রোহিঙ্গাদের আস্থাহীনতায় তা ব্যর্থ হয়। এরপর করোনা মহামারি ও মায়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তোলে।
বাংলাদেশ সরকার বারবার বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মায়ানমারের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বার্মার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান অব্যাহত রাখার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এছাড়া বার্মা থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাই।”
যুক্তরাষ্ট্র এমন দিনে এ প্রশংসা জানাল, যেদিন কক্সবাজারে তিন দিনের ‘স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলন থেকে প্রস্তাব ও বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযানের পর মাত্র কয়েক মাসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই ক্যাম্পে অবস্থান করছিল আরও চার লাখ। ফলে উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে। জাতিসংঘ সে সময় এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করে। যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞকে জেনোসাইড বা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মায়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেও এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। ২০১৯ সালে দুটি উদ্যোগ নেওয়া হলেও রোহিঙ্গাদের আস্থাহীনতায় তা ব্যর্থ হয়। এরপর করোনা মহামারি ও মায়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তোলে।
বাংলাদেশ সরকার বারবার বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মায়ানমারের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।