গ্রেড ও পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আগামী ৩০ অগাস্ট এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটির অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান জানান, গত মে মাসের শেষ দিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, “কিন্তু কয়েক মাস পার হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা ৩০ অগাস্ট মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
এর আগে ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন সহকারী শিক্ষকরা। তার আগে ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। পরবর্তীতে ২৯ মে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছেন প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার।
এর মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। একাদশ গ্রেডের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এতে প্রধান শিক্ষকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সহকারী শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানান।
পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গত ২৮ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষক পদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার অনুমোদন দেয়।
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
গ্রেড ও পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আগামী ৩০ অগাস্ট এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটির অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান জানান, গত মে মাসের শেষ দিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, “কিন্তু কয়েক মাস পার হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা ৩০ অগাস্ট মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
এর আগে ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন সহকারী শিক্ষকরা। তার আগে ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। পরবর্তীতে ২৯ মে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর কর্মসূচি ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছেন প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার।
এর মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। একাদশ গ্রেডের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এতে প্রধান শিক্ষকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সহকারী শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানান।
পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গত ২৮ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষক পদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার অনুমোদন দেয়।