৫০০ বাংলাদেশিকে বৃত্তি এবং ১০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তান
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছেন যে- বিশ্বাস, তার সফর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার করবে। আরও সফর বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে বলেও তিনি আশা করছেন। তিনি তার ৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরকে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে ইসহাক দার তার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া পোস্টে এসব আশাবাদের কথা বলেন। গত শনিবার দুপুরে ঢাকা এসেছিলেন ইসহাক দার। গতকাল রোববার রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
বাংলাদেশ সফরের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ইসহাক দার। বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রাতরাশ বৈঠক করেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে। এছাড়াও ইসহাক দার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে দেখতে তাদের বাসায় যান। সফরের প্রথম দিনে ইসহাক দার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির তিনটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
সোমবার,(২৫ আগস্ট ২০২৫) এক্সে ইসহাক দার লিখেছেন, সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে ৩৬ ঘণ্টার একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফর শেষ করেছেন তিনি। সফরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ
সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, বুদ্ধিজীবী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইসহাক দার বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উভয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পূর্ণ মিল ছিল। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন। আলোচনায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়, বিশেষ করে সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি ছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এ সফর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন গতি দেবে। সব খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সফর বিনিময় আরও বাড়বে।
৫০০ বাংলাদেশিকে বৃত্তি ও ১০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে
উচ্চশিক্ষার জন্য ৫ বছরে ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ১০০ সরকারি কর্মকর্তার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। গতকাল রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে দেয়া একটি পোস্টে এ তথ্য জানায়।
ফেইসবুক পেইজে বলা হয়েছে, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরে ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ নলেজ করিডোর’ চালু করতে পেরে পাকিস্তান আনন্দিত। এ প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বৃত্তির এক-চতুর্থাংশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রদান করা হবে। এছাড়া, একই সময়ে ১০০ জন বাংলাদেশি সরকারি কর্মচারীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বার্তায় আরও জানানো হয়, পাকিস্তান কারিগরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা বৃত্তি ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৫০০ বাংলাদেশিকে বৃত্তি এবং ১০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তান
সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছেন যে- বিশ্বাস, তার সফর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার করবে। আরও সফর বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে বলেও তিনি আশা করছেন। তিনি তার ৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরকে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে ইসহাক দার তার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া পোস্টে এসব আশাবাদের কথা বলেন। গত শনিবার দুপুরে ঢাকা এসেছিলেন ইসহাক দার। গতকাল রোববার রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
বাংলাদেশ সফরের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ইসহাক দার। বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রাতরাশ বৈঠক করেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে। এছাড়াও ইসহাক দার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে দেখতে তাদের বাসায় যান। সফরের প্রথম দিনে ইসহাক দার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির তিনটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
সোমবার,(২৫ আগস্ট ২০২৫) এক্সে ইসহাক দার লিখেছেন, সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে ৩৬ ঘণ্টার একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ সফর শেষ করেছেন তিনি। সফরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ
সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, বুদ্ধিজীবী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইসহাক দার বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উভয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পূর্ণ মিল ছিল। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন। আলোচনায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়, বিশেষ করে সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি ছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এ সফর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন গতি দেবে। সব খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সফর বিনিময় আরও বাড়বে।
৫০০ বাংলাদেশিকে বৃত্তি ও ১০০ সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে
উচ্চশিক্ষার জন্য ৫ বছরে ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ১০০ সরকারি কর্মকর্তার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। গতকাল রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে দেয়া একটি পোস্টে এ তথ্য জানায়।
ফেইসবুক পেইজে বলা হয়েছে, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরে ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ নলেজ করিডোর’ চালু করতে পেরে পাকিস্তান আনন্দিত। এ প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বৃত্তির এক-চতুর্থাংশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রদান করা হবে। এছাড়া, একই সময়ে ১০০ জন বাংলাদেশি সরকারি কর্মচারীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বার্তায় আরও জানানো হয়, পাকিস্তান কারিগরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা বৃত্তি ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।