ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে প্রশংসা ও ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গাজীপুরে একটি সংসদীয় আসন বাড়ানোয় বিএনপি নেতারা ইসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আর আসন কমানোয় বাগেরহাট এবং সীমানা পরিবর্তনে নারায়ণগঞ্জবাসী তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার,(২৬ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা অঞ্চলের আসনগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ইসি সচিব আখতার আহমেদ শুনানিতে সঞ্চালনা করেন। গাজীপুরের প্রতিনিধিরা দাবি-আপত্তির শুনানিতে এসে ছোটখাটো অভিযোগ থাকলেও তা উপেক্ষা করে ইসির প্রশংসা করেন। শুনানিতে গাজীপুর জেলার আসনসংখ্যা পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি করার প্রস্তাবে ইসিকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান স্থানীয় প্রতিনিধিরা।
শুনানিতে বিএনপি নেতা এ কে এম ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল গাজীপুরে আসন বাড়ানোর। আপনারা (ইসি) গাজীপুরবাসীর প্রতি যে বদান্যতা দেখিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’ ইসি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যে কোনো ন্যায়সঙ্গত বিষয়ে ইসির পাশে থেকে সহায়তা করার আশ্বাস দেন মিলন। ইসির প্রশংসায় মিলন বলেন, ‘সিইসি ও অন্য যে নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে রয়েছেন, তারা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় এক নম্বরে রয়েছেন।’
শুনানি থেকে বেরিয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন আজকের শুনানিতে বিভিন্ন আসনে থানা, ওয়ার্ড সংযোজনের দাবি দাবি জানিয়েছেন। বাকি সবাই ইসির পক্ষে ছিলাম। আসন বাড়ানোয় আমরা কমিশনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’
তবে গাজীপুরের চিত্রের বিপরীত ছিল বাগেরহাট ও নারায়ণগঞ্জের শুনানিতে। গতকাল সোমবার বাগেরহাটের আসনসংখ্যা চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব করায় ইসির কঠোর সমালোচনা করেন সেখানকার প্রতিনিধিরা।
আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ-৩) আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘এর ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছে।’ সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হলে আগামী নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আইনজীবী মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত পাঁচ আসনের ভিতরে তিনটি থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সিদ্ধিররগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ সদর এখন বন্দরের একাংশ। তিনটি থানা নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সোনারগাঁয়ের সঙ্গে থাকতে। ২০০৮ সালে সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে আসন ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩, তেমনি করতে হবে।’
গত ৩০ জুলাই ইসি ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে। এতে ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হলেও মোট ৮৩টি আসন নিয়ে আপত্তি জমা পড়ে। ২৪ আগস্ট শুরু হওয়া এই শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত চলবে এবং এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে প্রশংসা ও ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গাজীপুরে একটি সংসদীয় আসন বাড়ানোয় বিএনপি নেতারা ইসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আর আসন কমানোয় বাগেরহাট এবং সীমানা পরিবর্তনে নারায়ণগঞ্জবাসী তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার,(২৬ আগস্ট ২০২৫) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা অঞ্চলের আসনগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ইসি সচিব আখতার আহমেদ শুনানিতে সঞ্চালনা করেন। গাজীপুরের প্রতিনিধিরা দাবি-আপত্তির শুনানিতে এসে ছোটখাটো অভিযোগ থাকলেও তা উপেক্ষা করে ইসির প্রশংসা করেন। শুনানিতে গাজীপুর জেলার আসনসংখ্যা পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি করার প্রস্তাবে ইসিকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান স্থানীয় প্রতিনিধিরা।
শুনানিতে বিএনপি নেতা এ কে এম ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল গাজীপুরে আসন বাড়ানোর। আপনারা (ইসি) গাজীপুরবাসীর প্রতি যে বদান্যতা দেখিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’ ইসি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যে কোনো ন্যায়সঙ্গত বিষয়ে ইসির পাশে থেকে সহায়তা করার আশ্বাস দেন মিলন। ইসির প্রশংসায় মিলন বলেন, ‘সিইসি ও অন্য যে নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে রয়েছেন, তারা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় এক নম্বরে রয়েছেন।’
শুনানি থেকে বেরিয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন আজকের শুনানিতে বিভিন্ন আসনে থানা, ওয়ার্ড সংযোজনের দাবি দাবি জানিয়েছেন। বাকি সবাই ইসির পক্ষে ছিলাম। আসন বাড়ানোয় আমরা কমিশনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’
তবে গাজীপুরের চিত্রের বিপরীত ছিল বাগেরহাট ও নারায়ণগঞ্জের শুনানিতে। গতকাল সোমবার বাগেরহাটের আসনসংখ্যা চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব করায় ইসির কঠোর সমালোচনা করেন সেখানকার প্রতিনিধিরা।
আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ-৩) আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘এর ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছে।’ সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হলে আগামী নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আইনজীবী মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত পাঁচ আসনের ভিতরে তিনটি থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সিদ্ধিররগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ সদর এখন বন্দরের একাংশ। তিনটি থানা নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সোনারগাঁয়ের সঙ্গে থাকতে। ২০০৮ সালে সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে আসন ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩, তেমনি করতে হবে।’
গত ৩০ জুলাই ইসি ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে। এতে ৩৯টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হলেও মোট ৮৩টি আসন নিয়ে আপত্তি জমা পড়ে। ২৪ আগস্ট শুরু হওয়া এই শুনানি আগামীকাল পর্যন্ত চলবে এবং এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।