ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ব্রাজিল বাংলাদেশকে কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে’ শিরোনামে যে খবর প্রচারিত হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করলে প্রাণিসম্পদ খাতের ‘উন্নয়ন ব্যাহত হবে’ পাশাপাশি ক্ষুরারোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ, তড়কা, যক্ষ্মাসহ নানান জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য ও প্রাণী স্বাস্থ্যে মারাত্মক হুমকি
মঙ্গলবার,(২৬ আগস্ট ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। ভ্রান্ত ও যাচাইকৃত নয়- এমন সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত কেবল মাংস উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, দারিদ্র্য নিরসন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক খামারি এবং ৬ লক্ষাধিক মৌসুমি খামারি কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশের শতভাগ কোরবানির পশুর চাহিদা দেশীয়ভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিপ্ততর প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, উৎপাদন উপকরণ বিতরণ, বাজার সংযোগ এবং ভ্যালু চেইন উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া দেশীয় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা, টিকা সরবরাহ ও পশু চিকিৎসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, মাংস একটি অতি-পচনশীল প্রাণিজাত পণ্য হওয়ায় এর গুণগত মান বজায় ও নিরাপদ রাখতে প্রক্রিয়াজাত থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর কোল্ড চেইন অবকাঠামো অপরিহার্য। বাংলাদেশে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হিমায়িত মাংস সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থা যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি। কোল্ড চেইনের দুর্বলতা মাংসের গুণগত মান নষ্ট করে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিওএইচও) নীতি মেনে চলে। তবে স্যানিটারি এবং ফাইটোস্যানিটারি (এসপিএস) ও বাণিজ্যের প্রযুক্তিগত বাধা (টিবিটি) চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশ জনস্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা, পশুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে শর্তারোপ করতে পারে। দেশের খামারি ও উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও সরকারের নীতিগত সহায়তায় বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে রোগমুক্ত অঞ্চল তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে।
বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। পাশাপাশি ক্ষুরারোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ, পিপিআর, তড়কা, বিএসই, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষ্মা, ব্রুসেলোসিস, সালমোনেলা ও ই-কোলাইয়ের মতো জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য ও প্রাণী স্বাস্থ্যে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা এবং জনগণকে নিরাপদ ও মানসম্মত মাংস সরবরাহে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ব্রাজিল বাংলাদেশকে কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে’ শিরোনামে যে খবর প্রচারিত হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করলে প্রাণিসম্পদ খাতের ‘উন্নয়ন ব্যাহত হবে’ পাশাপাশি ক্ষুরারোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ, তড়কা, যক্ষ্মাসহ নানান জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য ও প্রাণী স্বাস্থ্যে মারাত্মক হুমকি
মঙ্গলবার,(২৬ আগস্ট ২০২৫) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। ভ্রান্ত ও যাচাইকৃত নয়- এমন সংবাদ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত কেবল মাংস উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, দারিদ্র্য নিরসন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক খামারি এবং ৬ লক্ষাধিক মৌসুমি খামারি কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশের শতভাগ কোরবানির পশুর চাহিদা দেশীয়ভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিপ্ততর প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, উৎপাদন উপকরণ বিতরণ, বাজার সংযোগ এবং ভ্যালু চেইন উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া দেশীয় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা, টিকা সরবরাহ ও পশু চিকিৎসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, মাংস একটি অতি-পচনশীল প্রাণিজাত পণ্য হওয়ায় এর গুণগত মান বজায় ও নিরাপদ রাখতে প্রক্রিয়াজাত থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর কোল্ড চেইন অবকাঠামো অপরিহার্য। বাংলাদেশে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হিমায়িত মাংস সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থা যথাযথভাবে গড়ে ওঠেনি। কোল্ড চেইনের দুর্বলতা মাংসের গুণগত মান নষ্ট করে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিওএইচও) নীতি মেনে চলে। তবে স্যানিটারি এবং ফাইটোস্যানিটারি (এসপিএস) ও বাণিজ্যের প্রযুক্তিগত বাধা (টিবিটি) চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশ জনস্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তা, পশুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে শর্তারোপ করতে পারে। দেশের খামারি ও উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও সরকারের নীতিগত সহায়তায় বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে রোগমুক্ত অঞ্চল তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে।
বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। পাশাপাশি ক্ষুরারোগ, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ, পিপিআর, তড়কা, বিএসই, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষ্মা, ব্রুসেলোসিস, সালমোনেলা ও ই-কোলাইয়ের মতো জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য ও প্রাণী স্বাস্থ্যে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা এবং জনগণকে নিরাপদ ও মানসম্মত মাংস সরবরাহে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।