সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আপিল শুনানির সুযোগ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত দেন এবং শুনানির জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জয়নুল আবেদীন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, “আপিল বিভাগ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায়, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটাই করা হবে।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিলে তা কবে থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানি নেওয়া হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সুজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের চারটি আবেদনের ওপর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং এটি জাতীয় সংসদে ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাই কোর্ট রিট খারিজ করে, যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে।
রিটের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে আপিলের শুনানি হয় এবং আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যায়।
পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, এবং অন্যান্য চারজন ব্যক্তি এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এছাড়া ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। পরবর্তীতে নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও এ বিষয়ে আবেদন করেন।
সব আবেদন একসঙ্গে শুনে সর্বোচ্চ আদালত বুধবার নতুন করে আপিল শুনানির জন্য ২১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছে।
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আপিল শুনানির সুযোগ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত দেন এবং শুনানির জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জয়নুল আবেদীন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, “আপিল বিভাগ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায়, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে, সেটাই করা হবে।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিলে তা কবে থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানি নেওয়া হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সুজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের চারটি আবেদনের ওপর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং এটি জাতীয় সংসদে ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাই কোর্ট রিট খারিজ করে, যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে।
রিটের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে আপিলের শুনানি হয় এবং আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও বাতিল হয়ে যায়।
পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, এবং অন্যান্য চারজন ব্যক্তি এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এছাড়া ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। পরবর্তীতে নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও এ বিষয়ে আবেদন করেন।
সব আবেদন একসঙ্গে শুনে সর্বোচ্চ আদালত বুধবার নতুন করে আপিল শুনানির জন্য ২১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছে।