যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে খুব ভালো করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বলেছে, তারা নির্বাচন হতে দেবে না। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিধিনিষেধ দেবে।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিক নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা বিধিনিষেধ সরকার কীভাবে দেখছে—এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে খুব ভালো করেছে। তারা বলেছে, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিধিনিষেধ দেবে। সরকার বলেছে, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। বাধা দিতে চাই না।’
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, প্রধান বিরোধী দল বলছে, তারা নির্বাচন হতে দেবে না। তার মানে কীভাবে হতে দেবে না? একটাই পথ—ভায়োলেন্স (সহিংসতা)। ভিসা বিধিনিষেধ জারি হয়েছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের জন্য। বিধিনিষেধের তালিকায় তো অপজিশনের (বিরোধী দল) নামও আছে।
এই ভিসা বিধিনিষেধ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, বাণিজ্যের সঙ্গে এই ভিসা বিধিনিষেধের কোনো সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়নি। সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও যুক্তরাজ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেটা যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকা সফর করে যাওয়া ইইউর প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গত বুধবার চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইইউর পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সংবিধান মেনে নির্বাচন করব। আমাদের নির্বাচন কমিশন শতভাগ স্বাধীন। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমরাও সেটাই চাই।’
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে খুব ভালো করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বলেছে, তারা নির্বাচন হতে দেবে না। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিধিনিষেধ দেবে।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিক নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা বিধিনিষেধ সরকার কীভাবে দেখছে—এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করে খুব ভালো করেছে। তারা বলেছে, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিধিনিষেধ দেবে। সরকার বলেছে, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। বাধা দিতে চাই না।’
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, প্রধান বিরোধী দল বলছে, তারা নির্বাচন হতে দেবে না। তার মানে কীভাবে হতে দেবে না? একটাই পথ—ভায়োলেন্স (সহিংসতা)। ভিসা বিধিনিষেধ জারি হয়েছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের জন্য। বিধিনিষেধের তালিকায় তো অপজিশনের (বিরোধী দল) নামও আছে।
এই ভিসা বিধিনিষেধ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, বাণিজ্যের সঙ্গে এই ভিসা বিধিনিষেধের কোনো সম্পর্ক নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়নি। সাড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও যুক্তরাজ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেটা যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকা সফর করে যাওয়া ইইউর প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গত বুধবার চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইইউর পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সংবিধান মেনে নির্বাচন করব। আমাদের নির্বাচন কমিশন শতভাগ স্বাধীন। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমরাও সেটাই চাই।’