বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। সেখানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আফরোজা আব্বাসের এ অভিযোগ তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য, বলেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এটা তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’ এ হামলার ঘটনায় তিনি দেশবাসীর কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে বিচার চান।
সরকারদলীয় লোকজন মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে দাবি করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি, ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকারদলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এ হামলা করেছে।
গতকাল সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছেন বলেও অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায়ও আছে, রাস্তায়ও আছে। কিন্তু এটার জন্য হয়তো আমাদের ছেলেদের (ছাত্রদল-যুবদল) দোষারোপ করা হবে।
এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, আর ভাই মামলা তো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এ সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না।
মির্জা আব্বাসের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম বলেন, সকাল আটটার দিকে মির্জা আব্বাসের বাড়ির ভেতরে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে। পরে পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার আজ এক বিবৃতিতে জানান, মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে সকাল আটটার দিকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে।
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস। সেখানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আফরোজা আব্বাসের এ অভিযোগ তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য, বলেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এটা তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’ এ হামলার ঘটনায় তিনি দেশবাসীর কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে বিচার চান।
সরকারদলীয় লোকজন মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে দাবি করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি, ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকারদলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এ হামলা করেছে।
গতকাল সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছেন বলেও অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায়ও আছে, রাস্তায়ও আছে। কিন্তু এটার জন্য হয়তো আমাদের ছেলেদের (ছাত্রদল-যুবদল) দোষারোপ করা হবে।
এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, আর ভাই মামলা তো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এ সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না।
মির্জা আব্বাসের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম বলেন, সকাল আটটার দিকে মির্জা আব্বাসের বাড়ির ভেতরে দুটি ককটেল ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে। পরে পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার আজ এক বিবৃতিতে জানান, মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে সকাল আটটার দিকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে।