আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮৯টি ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটি আশা করছে, দলের মনোনীত ‘শতাধিক প্রার্থী’ নির্বাচনে অংশ নেবেন।
জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুল্লাহিল কাইয়ুম সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলমান রয়েছে। ১৮৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ৯৩ জন নিশ্চিত করেছেন তারা নির্বাচন করবেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’
জোট থেকে ছাড় চায় ৫ আসনে
আওয়ামী লীগ নেতৃতাধীন মহাজোটের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনে অংশ নেয় জাসদ। কিন্তু এবারও এখনও জোটের বিষয়টি ‘ঝুলে’ আছে। তবে জাসদ নেতারা আশা করছেন, জোট থেকে তাদের প্রার্থীদের ‘ছাড় দেয়া’ হবে।
জাসদের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কাছে ৫টি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালাচ্ছে। তবে এখনও তাদের জোটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এখনও জোটের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমাদের সভাপতির আসনে প্রার্থী দেয়নি তারা। তবে এটা যে আমাদের সভাপতির সম্মানে ছাড় দেয়া হয়েছে তাও পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা সভাপতির আসনসহ মোট ৫টি আসনে ছাড় চাচ্ছি। তা নাহলে আমরা জোটের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি।’
ইনুর আসনে আ’লীগ নেতার প্রার্থী ঘোষণায় ‘সন্দেহ’
কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এবারও এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি জোট প্রধান আওয়ামী লীগ।
ধারণা করা হচ্ছে, ইনুকে ‘ছাড় দেয়ার জন্য’ আসনটি ফাঁকা রেখেছে দলটি। যথারীতি এই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন ইনু।
তবে আসনটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমাও দেন।
তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এখন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে এবার ইনুর সামনে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে জাসদ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে। নেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভও। জাসদের দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংবাদকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তারা ‘সহজভাবে’ দেখছেন না।
তবে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আশা করেছেন, আসনটিতে তিনিই মহাজোটের প্রার্থী হবেন। জোটগতভাবে মনোনয়ন ফয়সালা হলে সবাইকে নিয়ে তিনি নির্বাচনের মাঠে নামবেন।
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮৯টি ফরম বিক্রি করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটি আশা করছে, দলের মনোনীত ‘শতাধিক প্রার্থী’ নির্বাচনে অংশ নেবেন।
জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদুল্লাহিল কাইয়ুম সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলমান রয়েছে। ১৮৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ৯৩ জন নিশ্চিত করেছেন তারা নির্বাচন করবেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’
জোট থেকে ছাড় চায় ৫ আসনে
আওয়ামী লীগ নেতৃতাধীন মহাজোটের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনে অংশ নেয় জাসদ। কিন্তু এবারও এখনও জোটের বিষয়টি ‘ঝুলে’ আছে। তবে জাসদ নেতারা আশা করছেন, জোট থেকে তাদের প্রার্থীদের ‘ছাড় দেয়া’ হবে।
জাসদের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কাছে ৫টি আসনে ছাড় পেতে আলোচনা চালাচ্ছে। তবে এখনও তাদের জোটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এখনও জোটের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমাদের সভাপতির আসনে প্রার্থী দেয়নি তারা। তবে এটা যে আমাদের সভাপতির সম্মানে ছাড় দেয়া হয়েছে তাও পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা সভাপতির আসনসহ মোট ৫টি আসনে ছাড় চাচ্ছি। তা নাহলে আমরা জোটের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি।’
ইনুর আসনে আ’লীগ নেতার প্রার্থী ঘোষণায় ‘সন্দেহ’
কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এবারও এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি জোট প্রধান আওয়ামী লীগ।
ধারণা করা হচ্ছে, ইনুকে ‘ছাড় দেয়ার জন্য’ আসনটি ফাঁকা রেখেছে দলটি। যথারীতি এই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন ইনু।
তবে আসনটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমাও দেন।
তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এখন দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে এবার ইনুর সামনে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে জাসদ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের ‘সন্দেহ’ তৈরি হয়েছে। নেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভও। জাসদের দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংবাদকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তারা ‘সহজভাবে’ দেখছেন না।
তবে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আশা করেছেন, আসনটিতে তিনিই মহাজোটের প্রার্থী হবেন। জোটগতভাবে মনোনয়ন ফয়সালা হলে সবাইকে নিয়ে তিনি নির্বাচনের মাঠে নামবেন।