তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল।
এর আগে, ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করে আদালত। ওইদিন কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বুধবার বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
মির্জা আব্বাসের হয়ে এ মামলা লড়েছেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী ও শাহীনূর ইসলাম অনি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
প্রায় সাড়ে ১৬ বছর আগে আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গিতপূর্ণ’ সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় মির্জা আব্বাসের সাজা প্রত্যাশা করছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, “রায়ে তো তার সাজা হওয়ার কথা। বিচারক জানেন কি হবে।“ আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুলের প্রত্যাশা, তার মক্কেল খালাস পাবেন।
যুক্তিতর্কে এ আইনজীবী দাবি করেন, মির্জা আব্বাসের সম্পদ গোপন করার দরকার নেই। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তার কোনো সম্পদ নেই। রাজারবাগ, শাজাহানপুরে মির্জা আব্বাস পৈত্রিক সূত্রে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে এই বিএনপি নেতার। একই সঙ্গে ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে।
এ মামলায় বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। মির্জা আব্বাস নিজে, একজন আইনজীবী, ঢাকা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় রিমান্ডের পর দুদকের এ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
সাফাই সাক্ষ্যে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, কৃষি পেশাজীবী থেকে তার আগের প্রজন্ম ব্যবসায়ী পরিবার হয়ে ওঠে। মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাজার থেকে রাজারবাগের কাছের ফ্লাইওভার পযর্ন্ত তার এবং পরিবারের জায়গা।
‘ধনাঢ্য পরিবার থেকে এসেছেন’ দাবি মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, তাকে বাঁকা পথে সম্পদ অর্জন করতে হয়নি। তার চাচা শহীদের নামে শহীদবাগের নামকরণ করা হয়। ঢাকার বিখ্যাত মাজেদ সরদার তার এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তার চাচা বিডি মেম্বার ও পাকিস্তান আমলে ইউনিয়ন পরিষদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনীতিতে তার চাচার হাত ধরেই প্রবেশ।
গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওইদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন।
এরপর গত ১৫ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাফাই সাক্ষী দেন মির্জা আব্বাস। এরপর দুদক তাকে জেরা করে। পরে মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল।
এর আগে, ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করে আদালত। ওইদিন কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বুধবার বিচারক রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
মির্জা আব্বাসের হয়ে এ মামলা লড়েছেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, মহিউদ্দিন চৌধুরী ও শাহীনূর ইসলাম অনি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
প্রায় সাড়ে ১৬ বছর আগে আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গিতপূর্ণ’ সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় মির্জা আব্বাসের সাজা প্রত্যাশা করছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, “রায়ে তো তার সাজা হওয়ার কথা। বিচারক জানেন কি হবে।“ আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুলের প্রত্যাশা, তার মক্কেল খালাস পাবেন।
যুক্তিতর্কে এ আইনজীবী দাবি করেন, মির্জা আব্বাসের সম্পদ গোপন করার দরকার নেই। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তার কোনো সম্পদ নেই। রাজারবাগ, শাজাহানপুরে মির্জা আব্বাস পৈত্রিক সূত্রে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে এই বিএনপি নেতার। একই সঙ্গে ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে।
এ মামলায় বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। মির্জা আব্বাস নিজে, একজন আইনজীবী, ঢাকা ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর শাহজাহানপুর থানার একটি নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় রিমান্ডের পর দুদকের এ মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
সাফাই সাক্ষ্যে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, কৃষি পেশাজীবী থেকে তার আগের প্রজন্ম ব্যবসায়ী পরিবার হয়ে ওঠে। মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাজার থেকে রাজারবাগের কাছের ফ্লাইওভার পযর্ন্ত তার এবং পরিবারের জায়গা।
‘ধনাঢ্য পরিবার থেকে এসেছেন’ দাবি মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, তাকে বাঁকা পথে সম্পদ অর্জন করতে হয়নি। তার চাচা শহীদের নামে শহীদবাগের নামকরণ করা হয়। ঢাকার বিখ্যাত মাজেদ সরদার তার এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তার চাচা বিডি মেম্বার ও পাকিস্তান আমলে ইউনিয়ন পরিষদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনীতিতে তার চাচার হাত ধরেই প্রবেশ।
গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওইদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন।
এরপর গত ১৫ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো সাফাই সাক্ষী দেন মির্জা আব্বাস। এরপর দুদক তাকে জেরা করে। পরে মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।