alt

রাজনীতি

তিনশ’ আসনে প্রার্থী ২,৭৪১ জন, অধিকাংশ আসনে আ’লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ আসনেই স্বতন্ত্র (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা; অনেক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একাধিক।

ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী বেশকিছু নেতার আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ১১ জন। জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি আছেন ৬১ জন; এদের মধ্যে ৫২ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চারজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন সদস্য এবং চারজন পৌর মেয়র।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আগেই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই দলগুলো শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের তথ্যমতে, সারাদেশে সংসদীয় তিনশ’ আসনে মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ত্রিশটি দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সে হিসেবে, বর্জন করছে বিএনপিসহ চৌদ্দটি দল। ইসি বলছে, জেলা নির্বাচন অফিসগুলোর সব তথ্য ঢাকায় আসার পর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন মনে করে, তফসলি অনুযায়ী যেহেতু মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ; এ সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।

তাহলে বিএনপিকে ছাড়াই কি নির্বাচন হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা আপনারা বুঝে নেন।’

প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা ধরে নিয়ে এবার ভোটের পরিকল্পনা সাজিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সংসদীয় তিনশ’ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৬২টি। গড়ে প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা এগারো; যারা প্রত্যেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দিয়ে ফরম নেন। মনোনয়ন দেয়া হয় একজন। তবে বঞ্চিত দশজনই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।

বিএনপি না এলে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে এমন ধারণায় নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে ‘ডামি প্রার্থী’ দাঁড় করানোর একটা কৌশল নিয়ে আলোচনা ছিল। শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ধরনের নির্দেশ আসার কথা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যেও এসেছে।

আওয়ামী লীগ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় থাকবে এমন আলোচনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পরায় অধিকাংশ আসনে এক বা একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করেছেন এমন ৭২ জন সংসদ সদস্যকে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। স্থানীয় সূত্র বলছে, এদের অনেকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথী হবেন বলে আলোচনা আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ১১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছেন ৫৪ জন, যারা নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন।

বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর পাওয়া গেলেও সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কিনা, বৃহস্পতিবার তা নিশ্চত করা যায়নি।

গাজীপুর-১ আসনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল।

গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল নৌকার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন এবং মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।

গাজীপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী ও এমপি অ্যাডভোকেট রহমত আলীর মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রুমানা আলী টুসি।

গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলম আহমেদ। তিনি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের ভাগিনা।

গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। এ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস আখতারউজ্জামান।

নরসিংদী-১ (সদর) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (হিরু)। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, মো. জাকারিয়া, মো. আক্তারুজ্জামান।

নরসিংদী-২ আসন (পলাশ) থেকে আলতামাশ কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। নরসিংদী-২ আসনে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দৈনিক ‘সংবাদ’ এর সাবেক প্রধান সম্পাদক প্রয়াত আহমদুল কবিরের বড় ছেলে আলতামাশ কবির।

এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলীপ) আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন। তার ছোট ভাই কামরুল আশরাফ খান (পোটন) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে বর্তমান এমপি জহিরুল হক ভুঁঞা মোহন বাদ পড়েছেন। এই আসনের সাবেক সাবেক এমপি প্রয়াত রবিউল আওয়াল খান কিরণের ছেলে ফজলে রাব্বি খানেকে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরজুল ইসলাম মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী মোহসিনা জান্নত রিমি, মো. মাসুম মৃধা, এ কে ফজলুল হক, ফেরদৌসী ইসলাম।

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনে বর্তমান এমপি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র তুলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এইচ আসলাম সানি, মো. মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান (বীরু), মো. খোকন মাহমুদ নির্ঝর।

নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনেও পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি রাজি উদ্দিন আহমেদ (রাজু)। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য রিয়াদ আহমেদ, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানুর রহমান, মো. সোলায়মান খন্দকার।

হবিগঞ্জ-২ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। হবিগঞ্জ-১-এ স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। সুনামগঞ্জ-৪-এ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল কবির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন; সুনামগঞ্জ-৫-এ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

লালমনিরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরাজুল হক। কুমিল্লা-৬-এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন।

সিরাজগঞ্জ-৫-এ মনোনয়নপত্র তুলেছেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস। পটুয়াখালী-২ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এভিআর বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হাসীব আলম তালুকদার। সিরাজগঞ্জ-৩-এ মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফুল আলম খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল হালিম খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায়। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আবদুল আজিজ।

বরগুনা-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, শেরপুর-১-এ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন এবং ঢাকা-৫ আসনে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এস এম আরিফুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান।

খুলনা-১ আসনে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায় এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবেদ আলী শেখ। খুলনা-৩-এ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান; খুলনা-৪-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং বর্তমান স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজভী আলম এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা; খুলনা-৫ থেকে ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন; খুলনা-৬ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান।

রংপুর জেলার ৬টি আসনের মধ্যে রংপুর-৪ আসন ছাড়া বাকী ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রচারণায় নামবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জোটের সঙ্গে আসন বণ্টন করেনি আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পর আসন সমন্বয় করা হবে। আসন বুঝে না পেয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরিকরা।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জোটের আসন নিয়ে শরীকদের ‘হতাশ করবে না’। তিনি বলেন, ‘১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এই সময়ে জোটের মধ্যে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট, কোনো প্রকার নিজেদের মধ্যে আসন বন্টনের সুযোগ আছে যথেষ্ট। জোট তো আমরা ভেঙে দিইনি, জোট আছে।’

তবে ইলেকটেবল (নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য) নয়, এমন প্রার্থী আওয়ামী লীগ কেন মনোনয়ন দেবে- এই প্রশ্ন রেখে কাদের আরও বলেন, ‘যাকে টেনে তোলা যাবে না, ক্রেন দিয়ে তোলা যাবে না, এরকম ক্যান্ডিডেট আমরা কেন দিতে যাব?’

কারফিউ প্রত্যাহার করুন, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে নিন : ফখরুল

‘নিষ্ক্রিয়, ব্যর্থদের তালিকা যেন সঠিক হয়’-দাবি আ’লীগ তৃণমূলের

ছবি

খোঁজখবর নিচ্ছি, সত্য বেরিয়ে আসবে : কাদের

পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে : কাদের

‘আপনারা ফেইল করেছেন’, রংপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৭৫৮ : পুলিশ

ছবি

বিএনপি কার্যালয়ে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাতজনের রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয় : মির্জা ফখরুল

ছবি

নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসে তালা, চারপাশে পুলিশের অবস্থান

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কারো শেখানো বুলি বলছেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

দুই দফা বৈঠক করেও আন্দোলনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারেনি বিএনপির হাইকমান্ড

ছবি

যৌক্তিক দাবি কখনোই উপেক্ষিত হয়নি: ওবায়দুল কাদের

ছবি

জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবে গণতন্ত্রী পার্টি: ডা. শাহাদাত

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই বরদাশত করা হবে নাঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ছবি

শেখ হাসিনা চীন হতে শূন্য হাতে ফিরেছেন : রিজভী

ছবি

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ও বক্তব্য সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিরোধী: ওবায়দুল কাদের

ছবি

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

ছবি

স্বাধীনতাবিরোধীরা এ আন্দোলনের সঙ্গে মিশে গেছে বলে আমি আপনি সবাই বুঝে গেছি : আিইনমন্ত্রী

ছবি

কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি জামায়াতের সন্তানেরা মাঠে নেমেছে - মাইনুল হোসেন নিখিল

ছবি

সরকার মেধাবী জাতি গঠনে অনাগ্রহী: আমির খসরু

ছয় বছর আগের মামলায় ছয় যুবদল নেতার কারাদণ্ড

ছবি

জবি : অভিযুক্তদের প্রটোকলেই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি

ছবি

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বললেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীমের চাঁদাবাজির মামলা তদন্তে সিআইডি, প্রতিবেদন ২২ জুলাই

ছবি

কোটার সিদ্ধান্ত সরকারের নয়, আদালতের: ওবায়দুল কাদের

ছবি

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১

ছবি

প্রশ্নফাঁস ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ : জবি শাখার বিরুদ্ধে কাল তদন্তে নামছে কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি

ছবি

কোটা এবং পেনশনবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে: ফখরুল

ছবি

এখন কারো গায়ে চুলকায়, কারো অন্তরে জ্বালা: কাদের

ছবি

দেশের পক্ষে কথা বলার কোনও সরকার এখানে নেই : গণতন্ত্র মঞ্চ

ছবি

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, জবি শাখার তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

ছবি

অচল হয়ে পড়েছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ছবি

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

যারা সহিংসতাকে উস্কে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ: কাদের

ছবি

অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে বিক্ষোভকারীরা

ছবি

"জাহাঙ্গীর আলমকে ছাড়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা"

tab

রাজনীতি

তিনশ’ আসনে প্রার্থী ২,৭৪১ জন, অধিকাংশ আসনে আ’লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ আসনেই স্বতন্ত্র (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা; অনেক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একাধিক।

ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী বেশকিছু নেতার আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য ১১ জন। জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি আছেন ৬১ জন; এদের মধ্যে ৫২ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চারজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন সদস্য এবং চারজন পৌর মেয়র।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আগেই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই দলগুলো শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের তথ্যমতে, সারাদেশে সংসদীয় তিনশ’ আসনে মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ত্রিশটি দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সে হিসেবে, বর্জন করছে বিএনপিসহ চৌদ্দটি দল। ইসি বলছে, জেলা নির্বাচন অফিসগুলোর সব তথ্য ঢাকায় আসার পর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন মনে করে, তফসলি অনুযায়ী যেহেতু মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ; এ সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।

তাহলে বিএনপিকে ছাড়াই কি নির্বাচন হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা আপনারা বুঝে নেন।’

প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা ধরে নিয়ে এবার ভোটের পরিকল্পনা সাজিয়েছে আওয়ামী লীগ।

সংসদীয় তিনশ’ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৩৬২টি। গড়ে প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা এগারো; যারা প্রত্যেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দিয়ে ফরম নেন। মনোনয়ন দেয়া হয় একজন। তবে বঞ্চিত দশজনই নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।

বিএনপি না এলে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে এমন ধারণায় নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে ‘ডামি প্রার্থী’ দাঁড় করানোর একটা কৌশল নিয়ে আলোচনা ছিল। শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ধরনের নির্দেশ আসার কথা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বক্তব্যেও এসেছে।

আওয়ামী লীগ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় থাকবে এমন আলোচনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পরায় অধিকাংশ আসনে এক বা একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে জয়লাভ করেছেন এমন ৭২ জন সংসদ সদস্যকে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। স্থানীয় সূত্র বলছে, এদের অনেকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথী হবেন বলে আলোচনা আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ১১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছেন ৫৪ জন, যারা নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন।

বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর পাওয়া গেলেও সবাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কিনা, বৃহস্পতিবার তা নিশ্চত করা যায়নি।

গাজীপুর-১ আসনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল।

গাজীপুর-২ আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল নৌকার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন এবং মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।

গাজীপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত মন্ত্রী ও এমপি অ্যাডভোকেট রহমত আলীর মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রুমানা আলী টুসি।

গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলম আহমেদ। তিনি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদের ভাগিনা।

গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। এ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস আখতারউজ্জামান।

নরসিংদী-১ (সদর) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (হিরু)। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, মো. জাকারিয়া, মো. আক্তারুজ্জামান।

নরসিংদী-২ আসন (পলাশ) থেকে আলতামাশ কবির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। নরসিংদী-২ আসনে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দৈনিক ‘সংবাদ’ এর সাবেক প্রধান সম্পাদক প্রয়াত আহমদুল কবিরের বড় ছেলে আলতামাশ কবির।

এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলীপ) আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন। তার ছোট ভাই কামরুল আশরাফ খান (পোটন) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে বর্তমান এমপি জহিরুল হক ভুঁঞা মোহন বাদ পড়েছেন। এই আসনের সাবেক সাবেক এমপি প্রয়াত রবিউল আওয়াল খান কিরণের ছেলে ফজলে রাব্বি খানেকে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরজুল ইসলাম মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী মোহসিনা জান্নত রিমি, মো. মাসুম মৃধা, এ কে ফজলুল হক, ফেরদৌসী ইসলাম।

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনে বর্তমান এমপি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র তুলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এইচ আসলাম সানি, মো. মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান (বীরু), মো. খোকন মাহমুদ নির্ঝর।

নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনেও পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি রাজি উদ্দিন আহমেদ (রাজু)। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য রিয়াদ আহমেদ, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানুর রহমান, মো. সোলায়মান খন্দকার।

হবিগঞ্জ-২ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। হবিগঞ্জ-১-এ স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। সুনামগঞ্জ-৪-এ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল কবির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন; সুনামগঞ্জ-৫-এ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

লালমনিরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরাজুল হক। কুমিল্লা-৬-এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন।

সিরাজগঞ্জ-৫-এ মনোনয়নপত্র তুলেছেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস। পটুয়াখালী-২ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এভিআর বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হাসীব আলম তালুকদার। সিরাজগঞ্জ-৩-এ মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফুল আলম খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল হালিম খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায়। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আবদুল আজিজ।

বরগুনা-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, শেরপুর-১-এ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন এবং ঢাকা-৫ আসনে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এস এম আরিফুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান।

খুলনা-১ আসনে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায় এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবেদ আলী শেখ। খুলনা-৩-এ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান; খুলনা-৪-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং বর্তমান স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজভী আলম এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা; খুলনা-৫ থেকে ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন; খুলনা-৬ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান।

রংপুর জেলার ৬টি আসনের মধ্যে রংপুর-৪ আসন ছাড়া বাকী ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে প্রচারণায় নামবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জোটের সঙ্গে আসন বণ্টন করেনি আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পর আসন সমন্বয় করা হবে। আসন বুঝে না পেয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরিকরা।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জোটের আসন নিয়ে শরীকদের ‘হতাশ করবে না’। তিনি বলেন, ‘১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এই সময়ে জোটের মধ্যে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট, কোনো প্রকার নিজেদের মধ্যে আসন বন্টনের সুযোগ আছে যথেষ্ট। জোট তো আমরা ভেঙে দিইনি, জোট আছে।’

তবে ইলেকটেবল (নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য) নয়, এমন প্রার্থী আওয়ামী লীগ কেন মনোনয়ন দেবে- এই প্রশ্ন রেখে কাদের আরও বলেন, ‘যাকে টেনে তোলা যাবে না, ক্রেন দিয়ে তোলা যাবে না, এরকম ক্যান্ডিডেট আমরা কেন দিতে যাব?’

back to top