বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণসহ বিরোধী দলগুলোর বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার ‘আত্মঘাতী’ খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার একগুয়েমী দেখে মনে হচ্ছে তিনি দেশ এবং জনগণকে ধ্বংস করেই তবে বিদায় নিবেন।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা শেখ হাসিনার ক্ষমতালিপ্সা মেটাতে দেশের সম্মান নষ্ট করছেন, তাদেরকে অচিরেই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’ তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই পাতানো সিলমোহরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেউ মীরজাফরের উত্তরসূরি হবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কোনো সহযোগিতা করবেন না। ভোটাররা ভোটদান থেকে বিরত থাকুন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যাহার করুন।
শেখ হাসিনা দেশে আবারও বাকশাল কায়েম করতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টাইম ম্যাগাজিনও শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থাকে ভয়াবহ বাকশাল ২.০ বলে আখ্যায়িত করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে পঁচাত্তরের মতো শ্লোগান দিচ্ছে, এক নেতা এক দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আর্শীবাদ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই কারো। কি ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে তা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট। শেখ হাসিনা যাদের প্রধান বিরোধীদল বানিয়েছেন সেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, ‘সরকার আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপির সাচ্চা কাউকে হালুয়া রুটির লোভে রাজদলে হায়ার করতে পারেনি। গুটিকয় উচ্ছিষ্ট, পূর্ব থেকেই দল বিতাড়িত কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগানোর দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, এমপি হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা জনগণের কাছে না গিয়ে গণভবনের দিকে ছুটছে। তারা কেউ সরকার গঠনের কথা ভাবছেন না, হাস্যকরভাবে আকুতি জানাচ্ছেন সংসদে যাওয়ার জন্য। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চলছে ক্ষোভ বিক্ষোভ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে পারে ওবায়দুল কাদেরের এমন গোয়েন্দা তথ্যের দাবি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আসন্ন তামাশার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কাহিনী ও নাটিকা রচনা করবেন তার আভাস পাওয়া যায় এ সমস্ত কথায়।”
এ সময় রিজভি প্রশ্ন রাখেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের উৎস কি সুধা ভবন নাকি গণভবন?’
ওই দিন গুম, হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করার কথা বিএনপির।
ভিডিও বার্তায় রিজভী যোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। আর তো নিচে নামার পথ নেই। তার জীবনে এর চেয়ে সংকটাপন্ন সময় আর দেখেননি। দেশের এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নির্বাচনের নামে সিলমোহর দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণসহ বিরোধী দলগুলোর বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার ‘আত্মঘাতী’ খেলায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার একগুয়েমী দেখে মনে হচ্ছে তিনি দেশ এবং জনগণকে ধ্বংস করেই তবে বিদায় নিবেন।’
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা শেখ হাসিনার ক্ষমতালিপ্সা মেটাতে দেশের সম্মান নষ্ট করছেন, তাদেরকে অচিরেই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’ তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই পাতানো সিলমোহরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেউ মীরজাফরের উত্তরসূরি হবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কোনো সহযোগিতা করবেন না। ভোটাররা ভোটদান থেকে বিরত থাকুন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যাহার করুন।
শেখ হাসিনা দেশে আবারও বাকশাল কায়েম করতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টাইম ম্যাগাজিনও শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থাকে ভয়াবহ বাকশাল ২.০ বলে আখ্যায়িত করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে পঁচাত্তরের মতো শ্লোগান দিচ্ছে, এক নেতা এক দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আর্শীবাদ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই কারো। কি ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে তা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট। শেখ হাসিনা যাদের প্রধান বিরোধীদল বানিয়েছেন সেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, ‘সরকার আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপির সাচ্চা কাউকে হালুয়া রুটির লোভে রাজদলে হায়ার করতে পারেনি। গুটিকয় উচ্ছিষ্ট, পূর্ব থেকেই দল বিতাড়িত কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগানোর দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, এমপি হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা জনগণের কাছে না গিয়ে গণভবনের দিকে ছুটছে। তারা কেউ সরকার গঠনের কথা ভাবছেন না, হাস্যকরভাবে আকুতি জানাচ্ছেন সংসদে যাওয়ার জন্য। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চলছে ক্ষোভ বিক্ষোভ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে পারে ওবায়দুল কাদেরের এমন গোয়েন্দা তথ্যের দাবি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আসন্ন তামাশার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা কাহিনী ও নাটিকা রচনা করবেন তার আভাস পাওয়া যায় এ সমস্ত কথায়।”
এ সময় রিজভি প্রশ্ন রাখেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের উৎস কি সুধা ভবন নাকি গণভবন?’
ওই দিন গুম, হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করার কথা বিএনপির।
ভিডিও বার্তায় রিজভী যোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। আর তো নিচে নামার পথ নেই। তার জীবনে এর চেয়ে সংকটাপন্ন সময় আর দেখেননি। দেশের এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নির্বাচনের নামে সিলমোহর দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।