হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন শেষ না হতেই বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসুচীর অংশ হিসাবে মানববন্ধনের আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। আজ রবিবার হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার পইল রোডে সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হওয়া এ মানববন্ধন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
মানববন্ধন শেষ না হতেই বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে।এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে পুলিশ পিছু হটে একটি রড-সিমেন্টের দোকানে আশ্রয় নেয়। ওই দোকানেও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশদের উদ্ধার করে। এরপর আবারও শুরু হয় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষ ।
ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে দুই টেলিভিশন সাংবাদিক ও পুলিশসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি আমীর হামজা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ চোখে গুরুতর আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ ১৫ পুলিশ ও বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বিএনপির মানববন্ধনের খবর সংগ্রহ করতে যান নীরঞ্জন গোস্বামী ও আমীর হামজা। তখন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে এই সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষনিক তাদেরকে হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইজনের শরীরে ১০টির অধিক গুলি লেগেছে। এর মধ্যে মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভর চোখে বেশি আঘাত লেগেছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান- বিএনপির মানববন্ধন শেষে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ পুলিশের আরো ১০/১৫ সদস্য আহত হয়েছে পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওই এলাকায় বর্তমানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি শহরের শায়েস্তানগরে একটি মানববন্ধন করে। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার শিপার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান প্রতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সাবেক এমপি শেখ সুজাত, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ মুশফিকসহ হাজারো নেতাকর্মী। শান্তিপূর্ণভাবেই মানববন্ধন সমাপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার শিপা। সমাপ্ত ঘোষণা দেবার পরই একদল দুর্বৃত্ত পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তারা আমাদের নেতাকর্মী নন। তবে এই সংঘর্ষে বিএনপির প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন শেষ না হতেই বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসুচীর অংশ হিসাবে মানববন্ধনের আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। আজ রবিবার হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার পইল রোডে সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হওয়া এ মানববন্ধন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
মানববন্ধন শেষ না হতেই বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে।এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে পুলিশ পিছু হটে একটি রড-সিমেন্টের দোকানে আশ্রয় নেয়। ওই দোকানেও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশদের উদ্ধার করে। এরপর আবারও শুরু হয় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষ ।
ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে দুই টেলিভিশন সাংবাদিক ও পুলিশসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন। মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি আমীর হামজা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নীরঞ্জন গোস্বামী শুভ চোখে গুরুতর আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ ১৫ পুলিশ ও বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বিএনপির মানববন্ধনের খবর সংগ্রহ করতে যান নীরঞ্জন গোস্বামী ও আমীর হামজা। তখন বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে এই সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষনিক তাদেরকে হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইজনের শরীরে ১০টির অধিক গুলি লেগেছে। এর মধ্যে মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নীরঞ্জন গোস্বামী শুভর চোখে বেশি আঘাত লেগেছে। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান- বিএনপির মানববন্ধন শেষে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তিনিসহ পুলিশের আরো ১০/১৫ সদস্য আহত হয়েছে পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওই এলাকায় বর্তমানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি শহরের শায়েস্তানগরে একটি মানববন্ধন করে। জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার শিপার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান প্রতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সাবেক এমপি শেখ সুজাত, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ মুশফিকসহ হাজারো নেতাকর্মী। শান্তিপূর্ণভাবেই মানববন্ধন সমাপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাম্মী আক্তার শিপা। সমাপ্ত ঘোষণা দেবার পরই একদল দুর্বৃত্ত পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তারা আমাদের নেতাকর্মী নন। তবে এই সংঘর্ষে বিএনপির প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।