খেলার মাঠ থেকে রাজনীতিতে আসা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বছরে সাড় পাঁচ কোটি টাকার বেশি আয় করেন বলে তথ্য দিয়েছেন মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায়।
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব তার পেশার ঘরে লিখেছেন কেবল ক্রিকেটের কথা। আবার ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ত্রিশ কোটি টাকার বেশি।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মাগুরায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া সাকিবের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামায় বার্ষিক আয়, অস্থাবর সম্পত্তি, ঋণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করা হলেও ব্যয়ের কোনো খাত দেখানো হয়নি বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।
সাকিব তার হলফনামায় বার্ষিক গড় আয় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা; এর মধ্যে ক্রিকেট থেকে আয়ের পরিমাণ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৯ টাকা।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে সাকিব ব্যাংক জমা দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা। এছাড়া ২৪ হাজার ২৬১ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা থাকার তথ্যও সাকিব দিয়েছেন।
হলফনামায় বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারে সাকিবের ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা বিনিয়োগ আছে। সোনা আছে ২৫ ভরি। তিনি আসবাপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী দেখিয়েছেন ১৩ লাখ টাকার।
জামানতের বিপরীতে সাকিবের ঋণ দেখানো হয়েছে ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৩৮২ টাকা। ইর্স্টান ব্যাংকের কাছে ঋণের অংক ১ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা। এছাড়া আয় থেকে ব্যাংক আমানত দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাবিক জানিয়েছেন তিনি বিবিএ পাস করেছেন। আর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ‘ক্রিকেটার’।
মাগুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় যান সাকিব। সে সময় হাজারো হাজার নেতাকর্মী ও ক্রিকেট অনুরাগী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানায়।
এরপর মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভায় যোগ দেন সাকিব। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় সাকিবকে।
নির্বাচনের আচরণ বিধি না মেনে প্রচার শুরুর নির্দিষ্ট তারিখের আগেই জনসংযোগ, শোভাযাত্রা করায় সাকিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আদালতে হাজির হয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হয় সাকিব।
প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, “২৯ তারিখে আমি মাগুরায় আসলে আমার ভক্তসহ শহরবাসী আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ ঘটনার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।
“আমি নির্বাচনি আইনের প্রতি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীল। তবে নির্বাচনে এই প্রথম ও নতুন। আগামীতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমি দৃষ্টি রাখব।”
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
খেলার মাঠ থেকে রাজনীতিতে আসা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বছরে সাড় পাঁচ কোটি টাকার বেশি আয় করেন বলে তথ্য দিয়েছেন মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায়।
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব তার পেশার ঘরে লিখেছেন কেবল ক্রিকেটের কথা। আবার ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ত্রিশ কোটি টাকার বেশি।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মাগুরায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া সাকিবের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামায় বার্ষিক আয়, অস্থাবর সম্পত্তি, ঋণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করা হলেও ব্যয়ের কোনো খাত দেখানো হয়নি বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।
সাকিব তার হলফনামায় বার্ষিক গড় আয় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ২৬২ টাকা; এর মধ্যে ক্রিকেট থেকে আয়ের পরিমাণ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৯ টাকা।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে সাকিব ব্যাংক জমা দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৬ টাকা। এছাড়া ২৪ হাজার ২৬১ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা থাকার তথ্যও সাকিব দিয়েছেন।
হলফনামায় বলা হয়েছে, শেয়ার বাজারে সাকিবের ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৪ টাকা বিনিয়োগ আছে। সোনা আছে ২৫ ভরি। তিনি আসবাপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী দেখিয়েছেন ১৩ লাখ টাকার।
জামানতের বিপরীতে সাকিবের ঋণ দেখানো হয়েছে ৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৩৮২ টাকা। ইর্স্টান ব্যাংকের কাছে ঋণের অংক ১ কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৬৩ টাকা। এছাড়া আয় থেকে ব্যাংক আমানত দেখিয়েছেন ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৩ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাবিক জানিয়েছেন তিনি বিবিএ পাস করেছেন। আর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ‘ক্রিকেটার’।
মাগুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় যান সাকিব। সে সময় হাজারো হাজার নেতাকর্মী ও ক্রিকেট অনুরাগী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সাকিবকে অভ্যর্থনা জানায়।
এরপর মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভায় যোগ দেন সাকিব। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় সাকিবকে।
নির্বাচনের আচরণ বিধি না মেনে প্রচার শুরুর নির্দিষ্ট তারিখের আগেই জনসংযোগ, শোভাযাত্রা করায় সাকিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আদালতে হাজির হয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হয় সাকিব।
প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, “২৯ তারিখে আমি মাগুরায় আসলে আমার ভক্তসহ শহরবাসী আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ ঘটনার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।
“আমি নির্বাচনি আইনের প্রতি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীল। তবে নির্বাচনে এই প্রথম ও নতুন। আগামীতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমি দৃষ্টি রাখব।”