নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন প্রার্থী।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি)বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “৪৮ জনের মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র ও ১৪ দলেরও সদস্য রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি আমরা।”
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ৪৮ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নতুন মুখ। ১৪ দলীয় দলের শরিকদের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টির কানন আরা বেগমকে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনে এমপি করে নিচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন এবং মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে– এরকম অন্তত তিনজন সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার টিকেট পেয়েছেন।
সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে ১ হাজার ৫৪৯ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন এবার। মনোনয়ন ফরমের মূল্য ছিল ৫০ হাজার টাকা।
৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়।
১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়ে না।
এবার ৫০ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যাদের মনোনয়ন দিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার অনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংসদ কতটা কার্যকর হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সংসদ কেন কার্যকর হবে না? বাধাটা কোথায়? একটা ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে। যেখানে টার্ন আউট ফোরটি ওয়ান প্লাস। বিরোধীদলের ভূমিকা জাতীয় পার্টি অলরেডি তাদের কার্যক্রম সংসদে শুরু করেছে।
“বিরোধী দল আছে, এমনকি স্বতন্ত্ররা প্রয়োজনে তারা মনে করলে সরকারের সমালোচনাও তারা করতে পারে। সমালোচনার জন্য স্বতন্ত্ররা আছেন, বিরোধী তো আছেই। তাই সংসদ কার্যকর হওয়ার পথে কোনো অন্তরায় বা বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না।”
বিএনপির আন্দোলনে ডাকের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “এটা আষাঢ়ের তর্জন গর্জন। তাদের আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান ছিল না। এখনো নেই। তাদেরও সাবজেকটিভ প্রিপারেশন ছিল না। সুসংগঠনগত যে প্রস্তুতি সে প্রস্তুতিতে তারা নেতিবাচক রাজনীতির দ্বারা ভুল করেছে। ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে।”
বিএনপিকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা মুখে যা বলছে, কার্যক্ষেত্রে তারা তা দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। মানুষ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হয়। মানুষ তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি।”
নিবন্ধন বাতিল করে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে যুবলীগ ইসিতে যে আবেদন করেছে, সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো কিছু ভাবছে না বলে জানান কাদের।
তিনি বলেন, “যুবলীগ আমাদের একটা সংগঠন। তাদের স্বতন্ত্র একটা সত্তা রয়েছে। তারা দাবি করতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করলে বলতাম।
আমাদের কোনো নেতা এ বিষয়টি অবতারণা করেনি। আমাদের উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে গেল বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে, তাতে কী আমরাও ওর সঙ্গে লাফাব? তারা তাদেরটা বলুক। যুবলীগ যুবলীগের চিন্তা থেকে বলছে, আমরা যুবলীগ চাইলে তো একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না, বিষয়টা তো মূল দল আওয়ামী লীগ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।”
রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন প্রার্থী।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি)বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “৪৮ জনের মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র ও ১৪ দলেরও সদস্য রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি আমরা।”
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ৪৮ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নতুন মুখ। ১৪ দলীয় দলের শরিকদের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টির কানন আরা বেগমকে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনে এমপি করে নিচ্ছে।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন এবং মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে– এরকম অন্তত তিনজন সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার টিকেট পেয়েছেন।
সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে ১ হাজার ৫৪৯ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন এবার। মনোনয়ন ফরমের মূল্য ছিল ৫০ হাজার টাকা।
৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়।
১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়ে না।
এবার ৫০ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যাদের মনোনয়ন দিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার অনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংসদ কতটা কার্যকর হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সংসদ কেন কার্যকর হবে না? বাধাটা কোথায়? একটা ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে। যেখানে টার্ন আউট ফোরটি ওয়ান প্লাস। বিরোধীদলের ভূমিকা জাতীয় পার্টি অলরেডি তাদের কার্যক্রম সংসদে শুরু করেছে।
“বিরোধী দল আছে, এমনকি স্বতন্ত্ররা প্রয়োজনে তারা মনে করলে সরকারের সমালোচনাও তারা করতে পারে। সমালোচনার জন্য স্বতন্ত্ররা আছেন, বিরোধী তো আছেই। তাই সংসদ কার্যকর হওয়ার পথে কোনো অন্তরায় বা বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না।”
বিএনপির আন্দোলনে ডাকের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “এটা আষাঢ়ের তর্জন গর্জন। তাদের আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান ছিল না। এখনো নেই। তাদেরও সাবজেকটিভ প্রিপারেশন ছিল না। সুসংগঠনগত যে প্রস্তুতি সে প্রস্তুতিতে তারা নেতিবাচক রাজনীতির দ্বারা ভুল করেছে। ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে।”
বিএনপিকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা মুখে যা বলছে, কার্যক্ষেত্রে তারা তা দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। মানুষ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হয়। মানুষ তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি।”
নিবন্ধন বাতিল করে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে যুবলীগ ইসিতে যে আবেদন করেছে, সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো কিছু ভাবছে না বলে জানান কাদের।
তিনি বলেন, “যুবলীগ আমাদের একটা সংগঠন। তাদের স্বতন্ত্র একটা সত্তা রয়েছে। তারা দাবি করতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করলে বলতাম।
আমাদের কোনো নেতা এ বিষয়টি অবতারণা করেনি। আমাদের উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে গেল বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে, তাতে কী আমরাও ওর সঙ্গে লাফাব? তারা তাদেরটা বলুক। যুবলীগ যুবলীগের চিন্তা থেকে বলছে, আমরা যুবলীগ চাইলে তো একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না, বিষয়টা তো মূল দল আওয়ামী লীগ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।”