হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
রোববার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়ার) শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না বলে গভীর রাতে হসপিটালে এনে ভর্তি করাতে হয়েছে। এখন সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা করছেন।’
হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার মধ্যরাতের পর ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা রাতেই গুলশানের বাসভবনে গিয়ে স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন থেকে পরদিন তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর খালেদা জিয়াকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে সাময়িক এই মুক্তি দেওয়া হয়।
তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।
রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪
হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
রোববার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়ার) শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না বলে গভীর রাতে হসপিটালে এনে ভর্তি করাতে হয়েছে। এখন সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা করছেন।’
হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার মধ্যরাতের পর ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা রাতেই গুলশানের বাসভবনে গিয়ে স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিন থেকে পরদিন তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর খালেদা জিয়াকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে সাময়িক এই মুক্তি দেওয়া হয়।
তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।