শীর্ষ নেতাদের নির্দ্দেশনা অবজ্ঞা করায়
আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কয়েকদফা নির্দ্দেশনা অবজ্ঞা করায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৬ থানা কমিটির অনুমোদন দেবার ক্ষমতা খর্ব করেছে দলের হাইকমান্ড। দলের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে কমিটি অনুমোদন দেবার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত ৩০ মার্চ্চ ঢাকায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তলব করে এই নির্দ্দেশনা দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্ত্ফার কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় এবং তিনি চতুর্থ হন। এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলেও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনি অবস্থায় রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। ডা, দেলোয়ার হোসেনকে আহবায়ক এবং আবুল কাশেমকে যুগ্ন আহবায়ক করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নয়া কমিটি ঘোষনা করা হয়।
কিন্তু নয়া আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের দলের নেতাদের না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম প্রকাশ্যই সমালোচনা শুরু করেন। এ নিয়ে মহানগর আহবায়ক কমিটির বৈঠকেও তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।
এদিকে বিলুপ্ত করা মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটির সময় রংপুর মহানগরীর নব গঠিত ৬টি থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও সেই কমিটি তারা অনুমোদন না দেয়ায় ৬ থানা কমিটির অনুমোদনের দেবার দায়িত্ব পড়ে আহবায়ক কমিটির উপর। কিন্তু অনুমোদন দেয়া নিয়ে আবারো আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের সাথে যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আহবায়ক তার পছন্দের ব্যাক্তিদের থানা কমিটিতে স্থান দেবার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ৬ থানার কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পানি অনেক দুর গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যুগ্ন আহবায়ক ড, হাসান মাহমুদ রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা শাহাজাহান খানের কাছেও অভিযোগ যায়।
দলের হাইকমান্ড মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক যুগ্ন আহবায়ককে ডেকে ২/৩ দফা ৬ থানা কমিটি অনুমোদন দেবার নির্দ্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনি অবস্থায় মহানগর আওয়ামী লীগে চরম স্থবিরতা দেখা দেয়। নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।
এমনি অবস্থায় গত ৩০ মার্চ্চ ঢাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ঢাকায় তলব করা হয়। সেখানে বিলুপ্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল মহানগর আহবায়ক ডা, দেলোয়ার ও যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম সভায় যোগ দেন। ওই সভায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৬ থানা কমিটি কেন অনুমোদন দেয়া হয়নি বিষয়টি সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা জানতে চাইলে যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম সরাসরি আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের বিরোধীতা করা এবং অনুমোদন পত্রে স্বাক্ষর না করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এ সময় এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির থানা কমিটি অনুমোদন দেবার ক্ষমতা খর্ব করে দেন। ঘোষনা দেয়া হয় আহবায়ক কমিটি আর মহানগরীর ৬ থানা কমিটি অনুমোদন দিতে পারবেনা। এ জন্য শাহাজাহান খান ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি কার্যকরী সদস্য হোসনে আরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা দ্রæততম সময়ের মধ্যে কমিটি অনুমোদন দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম গতিশীল করার নির্দ্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শাফিয়ার রহমান ও সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দুজনেই বলেন, ওই সভায় তারা উপস্থিত ছিলেন। দলের সাধারন সম্পাদক সহ সিনিয়র নেতারা আহবায়ক কমিটির ক্ষমতা কেড়ে নেবার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন দীর্ঘ দিন ধরে মহানগরীর ৬ থানা কমিটি অনুমোদন না দেবার ঘটনা দলের জন্য ক্ষতি হয়েছে, এটা ঠিক হয়নি বরং মহানগর আওয়ামী লীগের যে স্থবিরতা তৈরী হয়েছে এটা অস্বিকার করার কোন উপায় নেই।
অপরদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও তাদের ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন আহবায়কের কারনেই এটা হয়েছে।
অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের সাথে ফে ান করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করলেও কোন মন্তব্য করেননি।
শীর্ষ নেতাদের নির্দ্দেশনা অবজ্ঞা করায়
সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০২৪
আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কয়েকদফা নির্দ্দেশনা অবজ্ঞা করায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৬ থানা কমিটির অনুমোদন দেবার ক্ষমতা খর্ব করেছে দলের হাইকমান্ড। দলের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে কমিটি অনুমোদন দেবার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত ৩০ মার্চ্চ ঢাকায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তলব করে এই নির্দ্দেশনা দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্ত্ফার কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয় এবং তিনি চতুর্থ হন। এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলেও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনি অবস্থায় রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। ডা, দেলোয়ার হোসেনকে আহবায়ক এবং আবুল কাশেমকে যুগ্ন আহবায়ক করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নয়া কমিটি ঘোষনা করা হয়।
কিন্তু নয়া আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের দলের নেতাদের না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম প্রকাশ্যই সমালোচনা শুরু করেন। এ নিয়ে মহানগর আহবায়ক কমিটির বৈঠকেও তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।
এদিকে বিলুপ্ত করা মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটির সময় রংপুর মহানগরীর নব গঠিত ৬টি থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও সেই কমিটি তারা অনুমোদন না দেয়ায় ৬ থানা কমিটির অনুমোদনের দেবার দায়িত্ব পড়ে আহবায়ক কমিটির উপর। কিন্তু অনুমোদন দেয়া নিয়ে আবারো আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের সাথে যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেমের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আহবায়ক তার পছন্দের ব্যাক্তিদের থানা কমিটিতে স্থান দেবার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ৬ থানার কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পানি অনেক দুর গড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত দলের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যুগ্ন আহবায়ক ড, হাসান মাহমুদ রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা শাহাজাহান খানের কাছেও অভিযোগ যায়।
দলের হাইকমান্ড মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক যুগ্ন আহবায়ককে ডেকে ২/৩ দফা ৬ থানা কমিটি অনুমোদন দেবার নির্দ্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনি অবস্থায় মহানগর আওয়ামী লীগে চরম স্থবিরতা দেখা দেয়। নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।
এমনি অবস্থায় গত ৩০ মার্চ্চ ঢাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ঢাকায় তলব করা হয়। সেখানে বিলুপ্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল মহানগর আহবায়ক ডা, দেলোয়ার ও যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম সভায় যোগ দেন। ওই সভায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৬ থানা কমিটি কেন অনুমোদন দেয়া হয়নি বিষয়টি সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা জানতে চাইলে যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেম সরাসরি আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের বিরোধীতা করা এবং অনুমোদন পত্রে স্বাক্ষর না করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এ সময় এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির থানা কমিটি অনুমোদন দেবার ক্ষমতা খর্ব করে দেন। ঘোষনা দেয়া হয় আহবায়ক কমিটি আর মহানগরীর ৬ থানা কমিটি অনুমোদন দিতে পারবেনা। এ জন্য শাহাজাহান খান ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি কার্যকরী সদস্য হোসনে আরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা দ্রæততম সময়ের মধ্যে কমিটি অনুমোদন দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম গতিশীল করার নির্দ্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শাফিয়ার রহমান ও সাধারন সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দুজনেই বলেন, ওই সভায় তারা উপস্থিত ছিলেন। দলের সাধারন সম্পাদক সহ সিনিয়র নেতারা আহবায়ক কমিটির ক্ষমতা কেড়ে নেবার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন দীর্ঘ দিন ধরে মহানগরীর ৬ থানা কমিটি অনুমোদন না দেবার ঘটনা দলের জন্য ক্ষতি হয়েছে, এটা ঠিক হয়নি বরং মহানগর আওয়ামী লীগের যে স্থবিরতা তৈরী হয়েছে এটা অস্বিকার করার কোন উপায় নেই।
অপরদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও তাদের ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন আহবায়কের কারনেই এটা হয়েছে।
অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা, দেলোয়ার হোসেনের সাথে ফে ান করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করলেও কোন মন্তব্য করেননি।