alt

রাজনীতি

অনভিজ্ঞ সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরামর্শ দিতে চায় বিএনপি

মহসীন ইসলাম টুটুল : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি বলে মনে করছে বিএনপি। তাই সরকারকে নানা বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

তারা বলছেন, বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সুপরামর্শ দিতে পারবো। ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর রকমের ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তারা। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ যেকোনো সময় এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতারা আরও বলেন, আপনাকে এই ‘গদিতে’ বসার জন্য কেউ রক্ত দেয়নি। আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, যারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় এ সরকার অভিজ্ঞ নয়, পরামর্শ নিতে সমস্যা কোথায়?’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি অন্তর্বর্তী সরকার যাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞ নয়। তারা এনজিও নিয়ে কাজ করেছেন। আরেকজন আছেন শিক্ষক।’ কেউ কেউ হঠাৎ ঘুম থেকে উঠেও উপদেষ্টা হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলাল আরও বলেন, ‘আমরা বারংবার বলেছি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের সঙ্গে বসুন, ডাকুন। বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। আমরা অভিজ্ঞতার আলোকে সুপরামর্শ দিতে পারতাম। কিন্তু তারা শুনছেন না।’ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ডেঙ্গু সচেতনতারোধে রাজধানীর বাংলামোটরে জনসাধারণের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণকালে আলাল এসব কথা বলেন।

রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের অপর এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। ভারতে বসে শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করছে। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। এত শিশু-কিশোর হত্যার পরও তার মধ্যে কিন্তু কোনো অনুশোচনা নেই।’

রিজভী বলেন, ‘সালমান এফ রহমানের মতো বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

এ বিষয়ে আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন আজ অতিষ্ঠ। কিছুতেই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। প্রশাসনসহ নানা জায়গায় পতিত স্বৈরশাসকের সিন্ডিকেট এখনো বিদ্যমান। এসব সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে গণঅভ্যুত্থানের শতভাগ সফলতা আসবে না। এসব সমস্যা নিরসনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া জরুরি।’

গণতন্ত্র হরণকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এখনো সময় চলে যায়নি। নির্বাচনের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করুন। অনেকেই বাহানা করে আপনাকে বুঝাতে পারে, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবেন, সংসদে যাবেন। অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে। সেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন হবে, এটাই জনগণের চাওয়া আপনার কাছে।’ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, ‘আপনাকে এই গদিতে বসার জন্য কেউ রক্ত দেয়নি। আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে, যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, যারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য।’

‘সবাই বলে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিবে না’, ‘মুগ্ধের রক্ত বৃথা যেতে দিবে না’, তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্যই এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হচ্ছে? জনগণ কেন প্রশ্ন করবে? এখন চিনির দাম বাড়লো কেন? পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন? কাগজ যাওয়ার আগেই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করে কেন? এগুলো জনগণ জানতে চায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।

সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে দাবি করে ফারুক বলেন, ‘সংস্কারও চলবে, গ্রেপ্তারও চলবে এবং হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে। শেখ মুজিবের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, এই সুযোগ কেন আপনি দেবেন?’

বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের নামে, শেখ হাসিনার নামে, শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অনেকগুলো নামকরণ করা হয়েছে। অবিলম্বে এগুলো বাতিল করতে হবে। যারা আত্মাহুতি দিয়েছে (ছাত্রসমাজ) তাদের নামে নামকরণ করতে হবে।

ছবি

শমসের মবিন চৌধুরীর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে ডিবি

ছবি

পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ১৪৪ ধারা জারি

ছবি

শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা, আদালত অবমাননার অভিযোগ

ছবি

বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে না এ সরকার : উপদেষ্টা নাহিদ

ছবি

‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন

ছবি

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের দুই সমন্ময়ককে রংপুরে অবাঞ্চিত করার নেপথ্যে

ছবি

হাসনাত-সারজিসকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ছবি

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি: সরকারের উদাসীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ বিএনপির

ছবি

আওয়ামী লীগের তৈরি আইনেই তাদের বিচার করতে হবে: জামায়াতের আমির

ছবি

নারায়ণগঞ্জে দখল ও চাঁদাবাজি : ওসমানদের শুন্যস্থানে বিএনপির লোক

ছবি

আমি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই : এম এ মান্নান

ছবি

কারাগারে সাবেক এমপি বোমা মানিক

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা

ছবি

১০ দফা সংস্কার প্রস্তাবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়াত

সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী : রুমিন ফারহানা

ছবি

ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ও দখলদারত্বের বিচার হবে : মির্জা ফখরুল

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিল জামায়াত

ছবি

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র হিসেবে বিএনপির শাহাদাত হোসেনকে ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

পদত্যাগ করেছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী

ছবি

সাবেক মেয়র তাপস ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

সীমান্তে স্বর্ণা দাস হত্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিবাদ নেই কেন- প্রশ্ন রিজভীর

ছবি

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীতে রাজনীতি বন্ধ ও সামরিক আইন সংস্কারের দাবি

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের ১২ দফা দাবি

ছবি

নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ : জামায়াত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: ইসি গঠন ও ভোটের রোড ম্যাপ চেয়েছে বিএনপি

ছবি

বিরাজনীতিকরণ চাই না, উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই: ফখরুল

ছবি

সংলাপে কাদের সঙ্গে কখন বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

শহীদরা জাতির সম্পদ, দলীয় ভিত্তিতে তাদের ভাগ করতে চাই না

জনতা পার্টির নতুন চেয়ারম্যান হলেন হুমায়ূন কবীর আকন

শনিবার থেকে দলগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনা

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুনালে অভিযোগ

ছবি

প্রকাশ্যে এল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

ছবি

দুই মামলায় আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশে ৩৩ পুলিশ সুপারের নতুন স্থানে বদলি

tab

রাজনীতি

অনভিজ্ঞ সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরামর্শ দিতে চায় বিএনপি

মহসীন ইসলাম টুটুল

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি বলে মনে করছে বিএনপি। তাই সরকারকে নানা বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

তারা বলছেন, বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সুপরামর্শ দিতে পারবো। ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর রকমের ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তারা। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ যেকোনো সময় এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতারা আরও বলেন, আপনাকে এই ‘গদিতে’ বসার জন্য কেউ রক্ত দেয়নি। আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, যারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় এ সরকার অভিজ্ঞ নয়, পরামর্শ নিতে সমস্যা কোথায়?’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি অন্তর্বর্তী সরকার যাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞ নয়। তারা এনজিও নিয়ে কাজ করেছেন। আরেকজন আছেন শিক্ষক।’ কেউ কেউ হঠাৎ ঘুম থেকে উঠেও উপদেষ্টা হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলাল আরও বলেন, ‘আমরা বারংবার বলেছি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের সঙ্গে বসুন, ডাকুন। বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। আমরা অভিজ্ঞতার আলোকে সুপরামর্শ দিতে পারতাম। কিন্তু তারা শুনছেন না।’ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ডেঙ্গু সচেতনতারোধে রাজধানীর বাংলামোটরে জনসাধারণের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণকালে আলাল এসব কথা বলেন।

রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের অপর এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। ভারতে বসে শেখ হাসিনা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করছে। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। এত শিশু-কিশোর হত্যার পরও তার মধ্যে কিন্তু কোনো অনুশোচনা নেই।’

রিজভী বলেন, ‘সালমান এফ রহমানের মতো বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

এ বিষয়ে আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন আজ অতিষ্ঠ। কিছুতেই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। প্রশাসনসহ নানা জায়গায় পতিত স্বৈরশাসকের সিন্ডিকেট এখনো বিদ্যমান। এসব সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে গণঅভ্যুত্থানের শতভাগ সফলতা আসবে না। এসব সমস্যা নিরসনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া জরুরি।’

গণতন্ত্র হরণকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এখনো সময় চলে যায়নি। নির্বাচনের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করুন। অনেকেই বাহানা করে আপনাকে বুঝাতে পারে, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। কিন্তু সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবেন, সংসদে যাবেন। অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে। সেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন হবে, এটাই জনগণের চাওয়া আপনার কাছে।’ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, ‘আপনাকে এই গদিতে বসার জন্য কেউ রক্ত দেয়নি। আপনাকে সরকারে বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের মতো যারা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে, যারা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, যারা মায়ের বুক খালি করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য।’

‘সবাই বলে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিবে না’, ‘মুগ্ধের রক্ত বৃথা যেতে দিবে না’, তাদের মনের আশা পূরণ করার জন্যই এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু সেই আশা কি পূরণ হচ্ছে? জনগণ কেন প্রশ্ন করবে? এখন চিনির দাম বাড়লো কেন? পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন? কাগজ যাওয়ার আগেই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করে কেন? এগুলো জনগণ জানতে চায় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।

সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে দাবি করে ফারুক বলেন, ‘সংস্কারও চলবে, গ্রেপ্তারও চলবে এবং হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে। শেখ মুজিবের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, এই সুযোগ কেন আপনি দেবেন?’

বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের নামে, শেখ হাসিনার নামে, শেখ মুজিবুর রহমানের নামে অনেকগুলো নামকরণ করা হয়েছে। অবিলম্বে এগুলো বাতিল করতে হবে। যারা আত্মাহুতি দিয়েছে (ছাত্রসমাজ) তাদের নামে নামকরণ করতে হবে।

back to top