নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট সময়সীমা না দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার চট্টগ্রামের আলমাস সিনেমা হল মোড়ে বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “এখনকার বয়ানে নির্বাচন কবে হবে, দেশের জনগণ কবে তাদের ভোটাধিকারের অধিকার পাবে, সেই বিষয়গুলো অনুপস্থিত। এ ধরনের অবস্থায় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের স্মরণে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে খসরু দাবি করেন যে সরকার যেসব বিষয়ে ‘সংস্কারের’ কথা বলছে, সেগুলো বিএনপি বহু আগেই প্রস্তাব করেছে। তিনি বলেন, “সংস্কারের প্রস্তাব আমরা জনগণের চাহিদা বুঝেই দিয়েছি, এবং সরকারের কথিত সংস্কারের বাইরেও আরও অনেক কিছু রয়েছে।”
সংবিধানে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা উল্লেখ থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। বরং সরকার একটি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে, যেখানে তাদের মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও, এই খসড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ না করার শর্ত রাখা হয়েছে।
‘গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই’
জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া কোনো সরকার দেশের মানুষের কষ্ট বুঝতে পারবে না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার জনগণের কষ্ট বুঝবে না। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না, দুবেলা খেতে পারছে না- এমন বাস্তবতা বুঝতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, জনগণের অধিকারকে বুঝে ও গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তিতে সরকার গঠন না হলে, দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করার দাবি জানান তিনি।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন
বিএনপির এই নেতা জানান, বর্তমান সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন তারেক রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। খালেদা জিয়া জনগণের পক্ষ নিয়ে লড়েছেন বলেই তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করে খসরু বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা শেখ হাসিনাকে পরাস্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আছি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ আন্দোলনে শামিল হতে হবে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, এবং চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়, যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট সময়সীমা না দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার চট্টগ্রামের আলমাস সিনেমা হল মোড়ে বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “এখনকার বয়ানে নির্বাচন কবে হবে, দেশের জনগণ কবে তাদের ভোটাধিকারের অধিকার পাবে, সেই বিষয়গুলো অনুপস্থিত। এ ধরনের অবস্থায় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের স্মরণে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে খসরু দাবি করেন যে সরকার যেসব বিষয়ে ‘সংস্কারের’ কথা বলছে, সেগুলো বিএনপি বহু আগেই প্রস্তাব করেছে। তিনি বলেন, “সংস্কারের প্রস্তাব আমরা জনগণের চাহিদা বুঝেই দিয়েছি, এবং সরকারের কথিত সংস্কারের বাইরেও আরও অনেক কিছু রয়েছে।”
সংবিধানে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা উল্লেখ থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। বরং সরকার একটি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে, যেখানে তাদের মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও, এই খসড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ না করার শর্ত রাখা হয়েছে।
‘গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই’
জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া কোনো সরকার দেশের মানুষের কষ্ট বুঝতে পারবে না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার জনগণের কষ্ট বুঝবে না। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না, দুবেলা খেতে পারছে না- এমন বাস্তবতা বুঝতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, জনগণের অধিকারকে বুঝে ও গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তিতে সরকার গঠন না হলে, দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করার দাবি জানান তিনি।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন
বিএনপির এই নেতা জানান, বর্তমান সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন তারেক রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। খালেদা জিয়া জনগণের পক্ষ নিয়ে লড়েছেন বলেই তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করে খসরু বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা শেখ হাসিনাকে পরাস্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আছি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ আন্দোলনে শামিল হতে হবে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, এবং চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়, যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।