নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনে তাদের ১৭ দফা সুপারিশ জমা দিতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সোমবার নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
গণঅধিকার পরিষদ ২২টি রাজনৈতিক দলের মতোই ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আহ্বান পায়। কিন্তু নির্ধারিত শেষ দিনে কমিশনের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে না পেয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, “আজকে প্রস্তাবনা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু কাউকে এখানে পাইনি। যদি এটাই হয় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অবস্থা, তাহলে দুঃখের কোনো ভাষা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে কাউকে না পাওয়ায় আমরা এর কারণ জানতে চাই। কেন তারা আজকে নেই?”
পরে গণঅধিকার পরিষদ তাদের সুপারিশ ই-মেইলের মাধ্যমে কমিশনে পাঠায়।
১৭ দফা সুপারিশের মূল বিষয়সমূহ
গণঅধিকার পরিষদের ১৭ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে:
সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
বর্তমান বিধান বাতিল করে সার্চ কমিটি গঠনে আইন প্রণয়ন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য কমিশনে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি।
নির্বাচন কমিশনে আট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আটজন কমিশনারের নিয়োগ।
দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রণয়ন, যেখানে নিম্নকক্ষে ৩০০ এবং উচ্চকক্ষে ১০০ আসন নির্ধারণ।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদান এবং সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ।
ইভিএম ব্যবস্থার বিলোপ এবং স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
এছাড়াও সুপারিশগুলিতে নির্বাচন সংক্রান্ত অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় কঠোর শাস্তি প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জেল ও অর্থ জরিমানা। এছাড়া জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ বন্ধের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
রাশেদ খাঁন নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “এ কমিশন এখনও পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেনি। আমরা আশা করি, তারা একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবেন।”
গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের কাছে এ সুপারিশের বাস্তবায়ন প্রত্যাশা করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনে তাদের ১৭ দফা সুপারিশ জমা দিতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সোমবার নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
গণঅধিকার পরিষদ ২২টি রাজনৈতিক দলের মতোই ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আহ্বান পায়। কিন্তু নির্ধারিত শেষ দিনে কমিশনের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে না পেয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, “আজকে প্রস্তাবনা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু কাউকে এখানে পাইনি। যদি এটাই হয় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অবস্থা, তাহলে দুঃখের কোনো ভাষা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে কাউকে না পাওয়ায় আমরা এর কারণ জানতে চাই। কেন তারা আজকে নেই?”
পরে গণঅধিকার পরিষদ তাদের সুপারিশ ই-মেইলের মাধ্যমে কমিশনে পাঠায়।
১৭ দফা সুপারিশের মূল বিষয়সমূহ
গণঅধিকার পরিষদের ১৭ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে:
সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
বর্তমান বিধান বাতিল করে সার্চ কমিটি গঠনে আইন প্রণয়ন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনের জন্য কমিশনে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি।
নির্বাচন কমিশনে আট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আটজন কমিশনারের নিয়োগ।
দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রণয়ন, যেখানে নিম্নকক্ষে ৩০০ এবং উচ্চকক্ষে ১০০ আসন নির্ধারণ।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদান এবং সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ।
ইভিএম ব্যবস্থার বিলোপ এবং স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
এছাড়াও সুপারিশগুলিতে নির্বাচন সংক্রান্ত অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় কঠোর শাস্তি প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জেল ও অর্থ জরিমানা। এছাড়া জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ বন্ধের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
রাশেদ খাঁন নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, “এ কমিশন এখনও পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেনি। আমরা আশা করি, তারা একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবেন।”
গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের কাছে এ সুপারিশের বাস্তবায়ন প্রত্যাশা করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।