বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয় ভারত মেনে নিতে পারেনি বলেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। ‘সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া’ তুলে উপমহাদেশে ভারত আধিপত্যবাদ সৃষ্টির পায়তারা করছে, এজন্য দেশটির সঙ্গে তাদের কোনো প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভালো না বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দেশীয় পণ্য ক্রয়ে উৎসাহীকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, ‘ভারত যদি তাদের আধিপত্যবাদের আচরণ পরিবর্তন না করে, তারা যদি বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়, তাহলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করবে কী না সেটাও ভাবা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের আগের সরকার ঘৃনিত সরকার। ক্ষমতায় থাকতে তারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে হত্যা-গুম করতো। কিন্তু তাদের পরাজয় ভারত মেনে নিতে পারেনি বলেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।’ ‘কট্টর হিন্দুবাদীদের’ উসকে দিয়ে ভারত বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার, অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশকে আপনারা চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। বাংলাদেশের জনগণ যে সরকার চায়, ভারত তাদের পছন্দ করে না। তারা মনে করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে। সঙ্গে তারা এও মনে করে, এসব পণ্য আমাদের দেশ উৎপাদন কিংবা অন্য দেশ থেকে আনতে পারবে না। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল।’ ভারতীয় পণ্য বর্জনে এ সময় আবারও আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মালিকানা দাবি করে সম্প্রতি রিপাবলিক টিভি যেসব বক্তব্য প্রচার করছে তা যদি ভারতের বক্তব্য হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আমরাও আমাদের নবাবের এলাকা, ওই বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দাবি করব, যেটা আমি আগেও বলেছি। এটা তো আমাদের ন্যায্য পাওনা। এই জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার হবে, যদিও এ কথাগুলো আমরা বলতে চাই না। অনেক সংগ্রাম, অনেক আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম এই উপমহাদেশে আমরা একসঙ্গে করেছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহেদুল কবির জাহিদ, ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর আউয়াল, ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয় ভারত মেনে নিতে পারেনি বলেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। ‘সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া’ তুলে উপমহাদেশে ভারত আধিপত্যবাদ সৃষ্টির পায়তারা করছে, এজন্য দেশটির সঙ্গে তাদের কোনো প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভালো না বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দেশীয় পণ্য ক্রয়ে উৎসাহীকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, ‘ভারত যদি তাদের আধিপত্যবাদের আচরণ পরিবর্তন না করে, তারা যদি বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়, তাহলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করবে কী না সেটাও ভাবা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্টের আগের সরকার ঘৃনিত সরকার। ক্ষমতায় থাকতে তারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে হত্যা-গুম করতো। কিন্তু তাদের পরাজয় ভারত মেনে নিতে পারেনি বলেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।’ ‘কট্টর হিন্দুবাদীদের’ উসকে দিয়ে ভারত বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার, অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশকে আপনারা চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দাবিয়ে রাখতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। বাংলাদেশের জনগণ যে সরকার চায়, ভারত তাদের পছন্দ করে না। তারা মনে করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে। সঙ্গে তারা এও মনে করে, এসব পণ্য আমাদের দেশ উৎপাদন কিংবা অন্য দেশ থেকে আনতে পারবে না। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল।’ ভারতীয় পণ্য বর্জনে এ সময় আবারও আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মালিকানা দাবি করে সম্প্রতি রিপাবলিক টিভি যেসব বক্তব্য প্রচার করছে তা যদি ভারতের বক্তব্য হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আমরাও আমাদের নবাবের এলাকা, ওই বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দাবি করব, যেটা আমি আগেও বলেছি। এটা তো আমাদের ন্যায্য পাওনা। এই জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার হবে, যদিও এ কথাগুলো আমরা বলতে চাই না। অনেক সংগ্রাম, অনেক আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম এই উপমহাদেশে আমরা একসঙ্গে করেছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহেদুল কবির জাহিদ, ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর আউয়াল, ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ প্রমুখ।