স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করতেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটি মনে করে, বর্তমানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই সরকার এই প্রক্রিয়া শুরু করে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন যুগপৎভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ। সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সংগঠনের অবস্থানও তুলে ধরেন আলাউদ্দিন মোহাম্মদ।
আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, "জন্মনিবন্ধন সনদ, মৃত্যুসনদসহ মৌলিক সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার কাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের সুষ্ঠু কার্যক্রম চালু করতে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি।"
সংগঠনটির মতে, সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনের আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন তাদের সক্ষমতার পরিচয় দেবে এবং স্থানীয় সরকারের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্ব বাছাই করবে। তিনি আরও বলেন, "স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে আলাদা বিবেচনায় করা উচিত, যা স্থানীয় সরকার কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর। গত বুধবার ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এরপর বৃহস্পতিবার সরকারের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি আয়োজন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।"
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, "সরকার আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের জন্য যুগপৎভাবে এই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।"
সংগঠনটির বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের কার্যক্রমে স্থবিরতা দূর করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন অপরিহার্য। তারা মনে করে, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার কাঠামো জাতীয় রাজনীতির ওপর চাপ কমাবে এবং স্থানীয় স্তরে উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করেছে। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফেরানো সম্ভব হবে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।"
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সরকারকে শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, সহ মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীনসহ আরও অনেকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করে জনগণের সেবাদান কার্যক্রম পুনরুদ্ধার সম্ভব। একইসঙ্গে, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।
স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করতেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটি মনে করে, বর্তমানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই সরকার এই প্রক্রিয়া শুরু করে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন যুগপৎভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ। সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সংগঠনের অবস্থানও তুলে ধরেন আলাউদ্দিন মোহাম্মদ।
আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, "জন্মনিবন্ধন সনদ, মৃত্যুসনদসহ মৌলিক সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার কাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের সুষ্ঠু কার্যক্রম চালু করতে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি।"
সংগঠনটির মতে, সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি রয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনের আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন তাদের সক্ষমতার পরিচয় দেবে এবং স্থানীয় সরকারের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্ব বাছাই করবে। তিনি আরও বলেন, "স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে আলাদা বিবেচনায় করা উচিত, যা স্থানীয় সরকার কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু হয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর। গত বুধবার ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এরপর বৃহস্পতিবার সরকারের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি আয়োজন করা হবে কি না, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।"
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, "সরকার আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের জন্য যুগপৎভাবে এই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।"
সংগঠনটির বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের কার্যক্রমে স্থবিরতা দূর করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন অপরিহার্য। তারা মনে করে, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার কাঠামো জাতীয় রাজনীতির ওপর চাপ কমাবে এবং স্থানীয় স্তরে উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করেছে। আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফেরানো সম্ভব হবে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।"
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সরকারকে শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, সহ মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীনসহ আরও অনেকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করে জনগণের সেবাদান কার্যক্রম পুনরুদ্ধার সম্ভব। একইসঙ্গে, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।