দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ‘ভালো না’, রাজনীতিও ‘ভঙ্গুর’; ‘দ্রুত’ নির্বাচন হলে সব সংকট ‘দূর’ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চান তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হলে আমাদের যে শক্তি সেই শক্তি হবে বৃহৎ। সরকার থাকবে, পার্লামেন্ট থাকবে অনেক কিছু শক্তিশালী হবে। যে সংকটগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেছেন। সংস্কারের আগে বিএনপি নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছে, কারো কারো এমন মন্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা আগেই বলেছি, আবারও বলছি যে, আমরা সংস্কার চাই। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা একটা ভুল বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, আমরা সংস্কারের আগে নির্বাচন চাই। নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছি। বিষয়টা কিন্তু সেটা না।’
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ‘অতিপ্রয়োজনীয়’ সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের পরে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার করতে চাই, সবাই মিলে রাষ্ট্রের সব সমস্যার সমাধান আমরা করতে চাই। যারা আমাদের দলে আছেন, অন্যান্য যেসব দল আছেন তারা এটা ভাববেন, চিন্তা করবেন।’
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে এবং হঠকারিতা করে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুব ভালো না, রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভঙ্গুর অবস্থা হয়ে আছে। আমরা সবাই মিলে এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। সবাই মিলে এক সঙ্গে হয়ে আমরা সেই দানবকে, ফ্যাসিস্টকে সরাতে পেরেছি তাহলে আমরা কেনো পারব না আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে নতুন সম্ভাবনার একটা নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের কিছু মানুষ তারা আজকে বিভিন্নভাবে এই ঐক্যে কিছু ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন। আমি জানি, সেই চেষ্টা সফল হবে না।’
ঐক্যবদ্ধভাবে লক্ষ্য পৌঁছাতে সক্ষম হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা পরিবেশ এসেছে, যে পরিবেশে আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি, কথা বলছি। আমরা যেন এই পরিবেশটা, এই স্বপ্নটা নষ্ট করে না দিই।’
নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণের সিদ্ধান্তে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই, আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই, আমরা বাংলাদেশে সেই তরুণদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কয়েকটি দেশের কুটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলে দলটির জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময়ের কর্মকা-ের ওপর নির্মাণ করা প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহত ছাত্ররাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সেখানে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামানসহ নির্বাহী কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন নেতৃত্বকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল।
২০২০ সালের ২ মে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে এবি পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এবি পার্টির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশন হয়।
সেখানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন্দ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ।
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ‘ভালো না’, রাজনীতিও ‘ভঙ্গুর’; ‘দ্রুত’ নির্বাচন হলে সব সংকট ‘দূর’ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চান তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হলে আমাদের যে শক্তি সেই শক্তি হবে বৃহৎ। সরকার থাকবে, পার্লামেন্ট থাকবে অনেক কিছু শক্তিশালী হবে। যে সংকটগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেছেন। সংস্কারের আগে বিএনপি নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছে, কারো কারো এমন মন্তব্যের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কথা আগেই বলেছি, আবারও বলছি যে, আমরা সংস্কার চাই। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা একটা ভুল বুঝানোর চেষ্টা করেন যে, আমরা সংস্কারের আগে নির্বাচন চাই। নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছি। বিষয়টা কিন্তু সেটা না।’
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ‘অতিপ্রয়োজনীয়’ সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনের পরে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার করতে চাই, সবাই মিলে রাষ্ট্রের সব সমস্যার সমাধান আমরা করতে চাই। যারা আমাদের দলে আছেন, অন্যান্য যেসব দল আছেন তারা এটা ভাববেন, চিন্তা করবেন।’
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে এবং হঠকারিতা করে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুব ভালো না, রাজনৈতিক দিক দিয়ে ভঙ্গুর অবস্থা হয়ে আছে। আমরা সবাই মিলে এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। সবাই মিলে এক সঙ্গে হয়ে আমরা সেই দানবকে, ফ্যাসিস্টকে সরাতে পেরেছি তাহলে আমরা কেনো পারব না আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে নতুন সম্ভাবনার একটা নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে আমাদের কোনো বিভেদ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের কিছু মানুষ তারা আজকে বিভিন্নভাবে এই ঐক্যে কিছু ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন। আমি জানি, সেই চেষ্টা সফল হবে না।’
ঐক্যবদ্ধভাবে লক্ষ্য পৌঁছাতে সক্ষম হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা পরিবেশ এসেছে, যে পরিবেশে আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি, কথা বলছি। আমরা যেন এই পরিবেশটা, এই স্বপ্নটা নষ্ট করে না দিই।’
নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণের সিদ্ধান্তে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই, আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই, আমরা বাংলাদেশে সেই তরুণদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কয়েকটি দেশের কুটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলে দলটির জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময়ের কর্মকা-ের ওপর নির্মাণ করা প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহত ছাত্ররাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সেখানে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামানসহ নির্বাহী কমিটির নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন নেতৃত্বকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল।
২০২০ সালের ২ মে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে এবি পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এবি পার্টির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশন হয়।
সেখানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন্দ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ।