বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এক-এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস।
সম্প্রতি এক-এগারো পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র নেতৃত্বের কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বিএনপির বক্তব্যকে নতুন করে এক-এগারো আনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
এই প্রেক্ষাপটে সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র নেতৃত্বের বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি কখনো এক-এগারোর ষড়যন্ত্র করেনি, বরং এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৭ সালে এক-এগারোর যে ভয়াবহ পরিণতি, বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি। বিএনপির সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া পর্যন্ত এই নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।”
সরকারের নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি এ ধরনের কথাবার্তা বলা হয়, তাহলে দেশ কখনো গণতন্ত্রের চেহারা দেখবে না।”
বিএনপিকে আওয়ামী লীগের ‘শিবিরে ঠেলে দেওয়ার’ চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “ভারতের দোসর আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে সেই অবস্থানে নিতে যারা চায়, তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন।”
সম্প্রতি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নতুন দল হবে কি হবে না, তা তাদের ওপর নির্ভর করে। তবে বিএনপি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং গণতান্ত্রিক দলকে স্বাগত জানাবে।”
জিয়া পরিবারের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “এই পরিবারের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এক-এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বিএনপির চেয়ে কেউ বেশি ভোগ করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস।
সম্প্রতি এক-এগারো পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র নেতৃত্বের কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বিএনপির বক্তব্যকে নতুন করে এক-এগারো আনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
এই প্রেক্ষাপটে সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র নেতৃত্বের বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি কখনো এক-এগারোর ষড়যন্ত্র করেনি, বরং এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৭ সালে এক-এগারোর যে ভয়াবহ পরিণতি, বিএনপির চেয়ে বেশি কেউ ভোগ করেনি। বিএনপির সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া পর্যন্ত এই নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।”
সরকারের নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি এ ধরনের কথাবার্তা বলা হয়, তাহলে দেশ কখনো গণতন্ত্রের চেহারা দেখবে না।”
বিএনপিকে আওয়ামী লীগের ‘শিবিরে ঠেলে দেওয়ার’ চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “ভারতের দোসর আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে সেই অবস্থানে নিতে যারা চায়, তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন।”
সম্প্রতি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নতুন দল হবে কি হবে না, তা তাদের ওপর নির্ভর করে। তবে বিএনপি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং গণতান্ত্রিক দলকে স্বাগত জানাবে।”
জিয়া পরিবারের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “এই পরিবারের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।