গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের নাম সাইনবোর্ডে লেখা ও ক্লাবের তালা ভেঙে প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক
খুলনা নগরীতে একটি ক্লাবের কার্যালয় দখলে নিয়ে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার টানানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও, গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে যে, তারা শুধুমাত্র অনৈতিক কাজ থেকে এলাকার রক্ষা করতে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে নগরীর শান্তিধাম মোড় এলাকায় অবস্থিত পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র ক্লাবের কার্যালয়ে। ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্লাবের তালা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করে এবং ক্লাবের সাইনবোর্ডের স্থানে ‘গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।
এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলামের দাবি, "এটি দখল করা হয়নি, বরং শিক্ষার্থীরা সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন যাতে সেখানে কোনো অনৈতিক কাজ না হয়।" তিনি বলেন, "আমাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে, এখানে অবৈধ কার্যক্রম চলত।" রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ক্লাবের সদস্যরা বারবার অভিযোগগুলো শুনে তা উপেক্ষা করেছেন, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের মতে, ‘পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র’ এর কার্যক্রম যেই ভবনে পরিচালিত হত, সেটি ছিল একটি সরকারি ভবন। ১৪-১৫ বছর ধরে সেখানে ক্লাবের কার্যক্রম চলছিল, তবে ভবনের নিচতলায় অন্যান্য কার্যালয় ছিল। নাজমুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে বরাদ্দ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন, এবং সেখানে কোন অনৈতিক কার্যক্রম চলত না।
পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্রের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, "ছয় মাস ধরে ক্লাবটি তালাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল, এবং সেখানে যদি কোনো অনৈতিক কার্যক্রম চলত, তা সাধারণ মানুষ জানত।" তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম জানান, “গণপূর্ত ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভবনটি ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমাদের ব্যানার টানানোর উদ্দেশ্য ছিল ভবনটি কার কাছে ইজারা দেওয়া হবে এবং কে বা কারা এখানে যোগাযোগ করবেন, সেটা পরিষ্কার করা।”
এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। নাজমুল ইসলাম বলেন, "তালা ভেঙে প্রবেশ করা ঠিক হয়নি, এটা আমাদের কাজের ওপর আক্রমণ।" তবে রাশেদুল ইসলামের দাবি, বারবার কথা বলা সত্ত্বেও ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা খুলনায় রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, এবং এটি আরো জটিলতর হয়ে উঠতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সঠিক পদক্ষেপ না নেয়।
গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের নাম সাইনবোর্ডে লেখা ও ক্লাবের তালা ভেঙে প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
খুলনা নগরীতে একটি ক্লাবের কার্যালয় দখলে নিয়ে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার টানানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও, গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে যে, তারা শুধুমাত্র অনৈতিক কাজ থেকে এলাকার রক্ষা করতে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে নগরীর শান্তিধাম মোড় এলাকায় অবস্থিত পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র ক্লাবের কার্যালয়ে। ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্লাবের তালা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করে এবং ক্লাবের সাইনবোর্ডের স্থানে ‘গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।
এদিকে, গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলামের দাবি, "এটি দখল করা হয়নি, বরং শিক্ষার্থীরা সেখানে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন যাতে সেখানে কোনো অনৈতিক কাজ না হয়।" তিনি বলেন, "আমাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে, এখানে অবৈধ কার্যক্রম চলত।" রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ক্লাবের সদস্যরা বারবার অভিযোগগুলো শুনে তা উপেক্ষা করেছেন, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের মতে, ‘পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র’ এর কার্যক্রম যেই ভবনে পরিচালিত হত, সেটি ছিল একটি সরকারি ভবন। ১৪-১৫ বছর ধরে সেখানে ক্লাবের কার্যক্রম চলছিল, তবে ভবনের নিচতলায় অন্যান্য কার্যালয় ছিল। নাজমুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে বরাদ্দ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন, এবং সেখানে কোন অনৈতিক কার্যক্রম চলত না।
পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্রের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, "ছয় মাস ধরে ক্লাবটি তালাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল, এবং সেখানে যদি কোনো অনৈতিক কার্যক্রম চলত, তা সাধারণ মানুষ জানত।" তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।
অন্যদিকে, গণঅধিকার পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম জানান, “গণপূর্ত ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভবনটি ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমাদের ব্যানার টানানোর উদ্দেশ্য ছিল ভবনটি কার কাছে ইজারা দেওয়া হবে এবং কে বা কারা এখানে যোগাযোগ করবেন, সেটা পরিষ্কার করা।”
এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। নাজমুল ইসলাম বলেন, "তালা ভেঙে প্রবেশ করা ঠিক হয়নি, এটা আমাদের কাজের ওপর আক্রমণ।" তবে রাশেদুল ইসলামের দাবি, বারবার কথা বলা সত্ত্বেও ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা খুলনায় রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, এবং এটি আরো জটিলতর হয়ে উঠতে পারে যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সঠিক পদক্ষেপ না নেয়।