‘গণঅধিকার পরিষদ’ থেকে ‘আমজনতার দল’ – নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তির প্রচেষ্টা
আগ্রাসনবিরোধী লড়াইকে আরও শক্তিশালী এবং সুসংহত করতে, মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসান নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ তাদের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনে প্রীতম জামান টাওয়ারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন দলের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান।
গণঅধিকার পরিষদ ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর বিভিন্ন কারণে দলের মধ্যে সংঘর্ষ এবং মতভেদ সৃষ্টি হয়, যার ফলস্বরূপ ২০২৩ সালে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন নুরুল হক নুর এবং রাশেদ খান, অপরপক্ষে আছেন মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসান।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে যান রেজা কিবরিয়া, এবং এরপর দুটি অংশের মধ্যে বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নূরের নেতৃত্বাধীন অংশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে, তবে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন অংশের জন্য নতুন নাম ‘আমজনতার দল’ রাখা হয়েছে।
নাম পরিবর্তন সম্পর্কে মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, "এই পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরও সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।" তিনি আরও বলেন, পূর্বে একই নাম থাকা কারণে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছিল, তাই নতুন নাম ‘আমজনতা দল’ রাখা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে দলের একতাবদ্ধ কার্যক্রমে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, "গণঅধিকার পরিষদ ২০২৩ সালের ২০ জুন একটি সাংগঠনিক বিভাজনের শিকার হয়, যার ফলে দুটি দলের মধ্যে মতপার্থক্য এবং অবাঞ্ছিত সংঘর্ষ তৈরি হয়। এই বিভাজন আমাদের পূর্বের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করেছিল। তাই নতুন নাম নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আরও শক্তিশালী করতে চাই।"
‘আমজনতার দল’ দলের মূলনীতি তিনটি নির্ধারণ করেছে, যা হলো: সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভরতা এবং সুশাসন। দলের স্লোগান হিসেবে "স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি" নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূলনীতি এবং স্লোগান দেশব্যাপী জনগণের প্রতি দলের অঙ্গীকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে।
মিয়া মশিউজ্জামান দলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এক নতুন পথ অনুসরণ করব। গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ‘আমজনতার দল’ এগিয়ে যাবে।"
এখন থেকে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসান নেতৃত্বাধীন এই দলটি ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে এবং আগামী দিনে তারা রাজনৈতিক মাঠে তাদের কার্যক্রম আরও সুসংহত করতে কাজ করবে।
‘গণঅধিকার পরিষদ’ থেকে ‘আমজনতার দল’ – নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তির প্রচেষ্টা
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
আগ্রাসনবিরোধী লড়াইকে আরও শক্তিশালী এবং সুসংহত করতে, মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসান নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ তাদের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনে প্রীতম জামান টাওয়ারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন দলের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান।
গণঅধিকার পরিষদ ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর বিভিন্ন কারণে দলের মধ্যে সংঘর্ষ এবং মতভেদ সৃষ্টি হয়, যার ফলস্বরূপ ২০২৩ সালে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন নুরুল হক নুর এবং রাশেদ খান, অপরপক্ষে আছেন মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসান।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে যান রেজা কিবরিয়া, এবং এরপর দুটি অংশের মধ্যে বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নূরের নেতৃত্বাধীন অংশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে, তবে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন অংশের জন্য নতুন নাম ‘আমজনতার দল’ রাখা হয়েছে।
নাম পরিবর্তন সম্পর্কে মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, "এই পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরও সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।" তিনি আরও বলেন, পূর্বে একই নাম থাকা কারণে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছিল, তাই নতুন নাম ‘আমজনতা দল’ রাখা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে দলের একতাবদ্ধ কার্যক্রমে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, "গণঅধিকার পরিষদ ২০২৩ সালের ২০ জুন একটি সাংগঠনিক বিভাজনের শিকার হয়, যার ফলে দুটি দলের মধ্যে মতপার্থক্য এবং অবাঞ্ছিত সংঘর্ষ তৈরি হয়। এই বিভাজন আমাদের পূর্বের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করেছিল। তাই নতুন নাম নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আরও শক্তিশালী করতে চাই।"
‘আমজনতার দল’ দলের মূলনীতি তিনটি নির্ধারণ করেছে, যা হলো: সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভরতা এবং সুশাসন। দলের স্লোগান হিসেবে "স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি" নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূলনীতি এবং স্লোগান দেশব্যাপী জনগণের প্রতি দলের অঙ্গীকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে।
মিয়া মশিউজ্জামান দলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এক নতুন পথ অনুসরণ করব। গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ‘আমজনতার দল’ এগিয়ে যাবে।"
এখন থেকে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসান নেতৃত্বাধীন এই দলটি ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে এবং আগামী দিনে তারা রাজনৈতিক মাঠে তাদের কার্যক্রম আরও সুসংহত করতে কাজ করবে।