ভোটার তালিকা ও পর্যবেক্ষণ নীতিমালাসহ ১১ বিষয়ে আলোচনা
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণবিষয়ক আইনের বিদ্যমান জটিলতা দূর করতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী সভায় কমিটিকে তাদের প্রস্তুতি উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়, যার মধ্যে ভোটার তালিকা আইন ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালাও ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কয়েকটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
সানাউল্লাহ জানান, ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। তাই সংশ্লিষ্ট কমিটিকে পর্যালোচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ বলেন, “বর্তমান আইনে জনসংখ্যাকে প্রধান ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের শহরমুখী প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরাঞ্চলে আসন সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে কমছে। এতে সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সীমানা নির্ধারণ করতে চাই ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান ও সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। কিন্তু বর্তমান আইনের একটি উপধারায় ‘করণিক ত্রুটি’ রয়েছে, যার ফলে নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারছে না।”
ইসি এই সমস্যাগুলো তুলে ধরে সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানান সানাউল্লাহ।
সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে ইসিতে ইতিমধ্যে ৪১টি আসন থেকে ২৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে কমিশন।
এ বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, “সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা চাই, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।”
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ইসির আইন সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকেও ইনপুট দেওয়া হলে তা আরও সহায়ক হবে। এখানে কোনো বিরোধের সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে আছি। নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার জনগণের দাবির অংশ, আমরাও এর বাইরে নই।”
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধনসহ ভোটার তালিকা ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। দ্রুততম সময়ে সংশোধনী চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এছাড়া সীমানা নির্ধারণের আবেদনগুলোর নিষ্পত্তির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাতে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও প্রতিনিধিত্বমূলক আসন বিন্যাস নিশ্চিত করা যায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ভোটার তালিকা ও পর্যবেক্ষণ নীতিমালাসহ ১১ বিষয়ে আলোচনা
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণবিষয়ক আইনের বিদ্যমান জটিলতা দূর করতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী সভায় কমিটিকে তাদের প্রস্তুতি উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়, যার মধ্যে ভোটার তালিকা আইন ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালাও ছিল। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কয়েকটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
সানাউল্লাহ জানান, ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। তাই সংশ্লিষ্ট কমিটিকে পর্যালোচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ বলেন, “বর্তমান আইনে জনসংখ্যাকে প্রধান ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষের শহরমুখী প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরাঞ্চলে আসন সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে কমছে। এতে সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সীমানা নির্ধারণ করতে চাই ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান ও সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। কিন্তু বর্তমান আইনের একটি উপধারায় ‘করণিক ত্রুটি’ রয়েছে, যার ফলে নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারছে না।”
ইসি এই সমস্যাগুলো তুলে ধরে সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানান সানাউল্লাহ।
সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে ইসিতে ইতিমধ্যে ৪১টি আসন থেকে ২৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে কমিশন।
এ বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, “সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা চাই, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।”
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ইসির আইন সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকেও ইনপুট দেওয়া হলে তা আরও সহায়ক হবে। এখানে কোনো বিরোধের সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে আছি। নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার জনগণের দাবির অংশ, আমরাও এর বাইরে নই।”
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধনসহ ভোটার তালিকা ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। দ্রুততম সময়ে সংশোধনী চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এছাড়া সীমানা নির্ধারণের আবেদনগুলোর নিষ্পত্তির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যাতে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও প্রতিনিধিত্বমূলক আসন বিন্যাস নিশ্চিত করা যায়।