দেশে সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে একমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব, যা সমাজে জবাবদিহি তৈরি করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সঠিক নির্বাচন ছাড়া দেশের কোনো সমস্যারই সমাধান সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি, তবে দেশের কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। ঝড়, তুফান, বন্যা, খরা, বৃষ্টি যা–ই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।” তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ এই পথে বাধা দেয়, তবে আমরা তাদের প্রতিহত করব।”
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আয়োজনে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও মেহেরপুর জেলার বিএনপির নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি তার বক্তব্য দেন। ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ওই চার জেলার নেতারা অংশ নেন। কর্মশালাটি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। কুষ্টিয়ার কর্মশালা হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে, মাগুরায় শহরের আসাদুজ্জামান মিলনায়তনে, এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের শাহেদ গার্ডেনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনই একমাত্র পথ, যেখানে থাকবে জবাবদিহি
তারেক রহমান বলেন, “আমরা যে নির্বাচন চাইছি, তা শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, নির্বাচন হতে হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে। তা ইউনিয়ন পরিষদ হোক, উপজেলা হোক, পৌরসভা হোক, বা ট্রেড পোলিং (ব্যবসায়ী সংগঠন) হোক। অর্থাৎ, যেখানে যেখানে নির্বাচনের বিধান আছে, প্রতিটি জায়গায় নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন হলেই ধীরে ধীরে একটি জবাবদিহি তৈরি হয়। যেসব দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল সবকিছুর মধ্যে একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স (ভারসাম্য) থাকে। যতই আইন করি, যতই পলিসি করি, নিয়মানুবর্তিতা করি, লাভ হবে না, যদি সমাজে ভারসাম্য বা জবাবদিহি না থাকে। এই জবাবদিহি ধীরে ধীরে সমাজের সব ক্ষেত্রে তৈরি করা সম্ভব হবে, যদি আমরা যেকোনো মূল্যে একটি নির্বাচন করতে পারি। যে নির্বাচনে ভোটাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমরা যদি এই সিস্টেমটা নিশ্চিত করতে পারি, ধরে রাখতে পারি, তবেই সব ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় বসেছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার, নির্দিষ্ট তারিখ না জানলেও আমরা জানতাম, তাদের পতন হবে। সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা ৩১ দফা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি। স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করেছে, সেই দেশকে মেরামত করতে হবে। কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার করতে চাচ্ছে, তার সবই এই ৩১ দফায় রয়েছে। কারণ, বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। সরকার যে কমিশন করেছে, যেসব বিষয়ে জমা দিয়েছে রিপোর্ট, কমবেশি আমাদের কথা। মূল বিষয়, তারা আমাদের বাইরে যেতে পারছেন না।”
তারেক রহমান বলেন, “এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, দেশে যদি ভালো কিছু সম্ভব হয়, ইনশা আল্লাহ বিএনপি ভালো কিছু করবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হবে, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, আমরা জবাবদিহি নিশ্চিত করব, আমরা প্রশাসনের সংস্কার করব, প্রশাসন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য হবে—এ রকম ভালো ভালো কথা জনগণ শুনবে, আপনি বলবেন। বড় বড় গোলটেবিল হবে। দামি দামি জায়গায় গোলটেবিল-সমাবেশও হবে। দিন শেষে তো পাবলিক জিজ্ঞেস করবে, বুঝলাম সব কথা, তুমি আমার দ্রব্যমূল্যের কী করবা? ভোট তো পাবা, ভোট পাওয়ার পর তুমি আমার শিক্ষাব্যবস্থার কী করবা? স্বাস্থ্যের কী করবা? বুঝলাম স্বৈরাচার সব ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে, কিন্তু তুমি আমার কর্মসংস্থানের কী করবা? এমন প্রশ্নও তো আসবে, আসবে না? আমাদের সেটাতে মনোযোগী হতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। যেটা প্রয়োজন, সেটা আমরা বলব এবং সেটার বাস্তবায়নও আমরা করব। যেকোনো মূল্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।”
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খন্দকার আবদুল মজিদ প্রশ্ন করেন, “গঙ্গা-কপোতাক্ষ চুক্তির ফলে এই অঞ্চলে চারটি জেলা কৃষি স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ভারতের অসহযোগিতার ফলে খালগুলো পানিশূন্য, সেচ প্রকল্প অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী পদক্ষেপ নেবে?”
তারেক রহমান জবাবে বলেন, “এখানে একটা বিষয় আছে, ভারত বাঁধ দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং একই সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে যেতে হবে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গতবার যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন, তখন কিন্তু উনি ফারাক্কার বিষয়টি জাতিসংঘে তুলেছিলেন। একইভাবে আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আশ্রয় নিতে হবে, তাদের সহযোগিতা নিতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের অবশ্যই ভারতের সাথে নিজেদের ভেতর আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আপনারা জানেন, শহীদ জিয়ার সময় খাল কাটা হয়েছিল। এই খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে, অনেক জায়গায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যেকোনো মূল্যে আমাদের খালগুলোকে আবার কাটতে হবে।”
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, রাগীব রউফ চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ স্বাগত বক্তব্য দেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমানের উপস্থাপনায় কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। আলোচক হিসেবে অংশ নেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়া হালিমা আরলী, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মোছা. শাম্মী আক্তার, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।
দেশে সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে একমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব, যা সমাজে জবাবদিহি তৈরি করবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সঠিক নির্বাচন ছাড়া দেশের কোনো সমস্যারই সমাধান সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি, তবে দেশের কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। ঝড়, তুফান, বন্যা, খরা, বৃষ্টি যা–ই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।” তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ এই পথে বাধা দেয়, তবে আমরা তাদের প্রতিহত করব।”
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আয়োজনে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও মেহেরপুর জেলার বিএনপির নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি তার বক্তব্য দেন। ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ওই চার জেলার নেতারা অংশ নেন। কর্মশালাটি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। কুষ্টিয়ার কর্মশালা হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে, মাগুরায় শহরের আসাদুজ্জামান মিলনায়তনে, এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের শাহেদ গার্ডেনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনই একমাত্র পথ, যেখানে থাকবে জবাবদিহি
তারেক রহমান বলেন, “আমরা যে নির্বাচন চাইছি, তা শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, নির্বাচন হতে হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে। তা ইউনিয়ন পরিষদ হোক, উপজেলা হোক, পৌরসভা হোক, বা ট্রেড পোলিং (ব্যবসায়ী সংগঠন) হোক। অর্থাৎ, যেখানে যেখানে নির্বাচনের বিধান আছে, প্রতিটি জায়গায় নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন হলেই ধীরে ধীরে একটি জবাবদিহি তৈরি হয়। যেসব দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল সবকিছুর মধ্যে একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স (ভারসাম্য) থাকে। যতই আইন করি, যতই পলিসি করি, নিয়মানুবর্তিতা করি, লাভ হবে না, যদি সমাজে ভারসাম্য বা জবাবদিহি না থাকে। এই জবাবদিহি ধীরে ধীরে সমাজের সব ক্ষেত্রে তৈরি করা সম্ভব হবে, যদি আমরা যেকোনো মূল্যে একটি নির্বাচন করতে পারি। যে নির্বাচনে ভোটাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমরা যদি এই সিস্টেমটা নিশ্চিত করতে পারি, ধরে রাখতে পারি, তবেই সব ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় বসেছিল পতিত স্বৈরাচার সরকার, নির্দিষ্ট তারিখ না জানলেও আমরা জানতাম, তাদের পতন হবে। সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা ৩১ দফা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি। স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করেছে, সেই দেশকে মেরামত করতে হবে। কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার করতে চাচ্ছে, তার সবই এই ৩১ দফায় রয়েছে। কারণ, বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। সরকার যে কমিশন করেছে, যেসব বিষয়ে জমা দিয়েছে রিপোর্ট, কমবেশি আমাদের কথা। মূল বিষয়, তারা আমাদের বাইরে যেতে পারছেন না।”
তারেক রহমান বলেন, “এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে, দেশে যদি ভালো কিছু সম্ভব হয়, ইনশা আল্লাহ বিএনপি ভালো কিছু করবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হবে, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, আমরা জবাবদিহি নিশ্চিত করব, আমরা প্রশাসনের সংস্কার করব, প্রশাসন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য হবে—এ রকম ভালো ভালো কথা জনগণ শুনবে, আপনি বলবেন। বড় বড় গোলটেবিল হবে। দামি দামি জায়গায় গোলটেবিল-সমাবেশও হবে। দিন শেষে তো পাবলিক জিজ্ঞেস করবে, বুঝলাম সব কথা, তুমি আমার দ্রব্যমূল্যের কী করবা? ভোট তো পাবা, ভোট পাওয়ার পর তুমি আমার শিক্ষাব্যবস্থার কী করবা? স্বাস্থ্যের কী করবা? বুঝলাম স্বৈরাচার সব ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে, কিন্তু তুমি আমার কর্মসংস্থানের কী করবা? এমন প্রশ্নও তো আসবে, আসবে না? আমাদের সেটাতে মনোযোগী হতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। যেটা প্রয়োজন, সেটা আমরা বলব এবং সেটার বাস্তবায়নও আমরা করব। যেকোনো মূল্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।”
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খন্দকার আবদুল মজিদ প্রশ্ন করেন, “গঙ্গা-কপোতাক্ষ চুক্তির ফলে এই অঞ্চলে চারটি জেলা কৃষি স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ভারতের অসহযোগিতার ফলে খালগুলো পানিশূন্য, সেচ প্রকল্প অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী পদক্ষেপ নেবে?”
তারেক রহমান জবাবে বলেন, “এখানে একটা বিষয় আছে, ভারত বাঁধ দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং একই সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে যেতে হবে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গতবার যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন, তখন কিন্তু উনি ফারাক্কার বিষয়টি জাতিসংঘে তুলেছিলেন। একইভাবে আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আশ্রয় নিতে হবে, তাদের সহযোগিতা নিতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের অবশ্যই ভারতের সাথে নিজেদের ভেতর আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আপনারা জানেন, শহীদ জিয়ার সময় খাল কাটা হয়েছিল। এই খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে, অনেক জায়গায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যেকোনো মূল্যে আমাদের খালগুলোকে আবার কাটতে হবে।”
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, রাগীব রউফ চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ স্বাগত বক্তব্য দেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমানের উপস্থাপনায় কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। আলোচক হিসেবে অংশ নেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়া হালিমা আরলী, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মোছা. শাম্মী আক্তার, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।