বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর জামাতের নায়েবে আমির ও আগামী সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো: হোসেন আলী। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে যেভাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। এ জন্য তিনি ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি মাঠে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কর্মী আবুল কাশেমের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আমরা আর কোন কাশেমের রক্ত দেখতে চাই না, লাশ দেখতে চাই না। মোজাম্মেলের বাড়িতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর যারা হামলা করেছে, তাদের প্রত্যেককে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবী জানান তিনি।
একই জানাজায় অংশ নিয়ে গাজীপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল করিমও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
জানাজার নামাজে গাজীপুর মহানগর জামাতের আমির অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মেহেদী হাসান এলিস, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সভাপতি বশির উদ্দিন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ আহমেদ তানভীর, হেফাজতে ইসলাম গাজীপুরের আমির নাসির উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক হাশেমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
জানাজার নামাজে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন আল রশিদ, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আর ডি সি) মো: রায়হানুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। খবর পেয়ে গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সেই বাড়ীতে যান। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় ১৭ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে তাজউদ্দীণ মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আহত একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল তিনটায় আবুল কাশেম মারা যান।
হামলার ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো: আব্দুল্লাহ আল মোহিত। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ মোল্লা নামের একজনকে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মন্ত্রীর ভাতিজা। এ মামলায় সর্বশেষ ১৩২ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, নিহত শিক্ষার্থীর ঘটনায় আগের মামলার সঙ্গে নতুন করে এটি হত্যা মামলা সংযুক্ত করা হবে। এ হামলায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর জামাতের নায়েবে আমির ও আগামী সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো: হোসেন আলী। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে যেভাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। এ জন্য তিনি ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি মাঠে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কর্মী আবুল কাশেমের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আমরা আর কোন কাশেমের রক্ত দেখতে চাই না, লাশ দেখতে চাই না। মোজাম্মেলের বাড়িতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর যারা হামলা করেছে, তাদের প্রত্যেককে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবী জানান তিনি।
একই জানাজায় অংশ নিয়ে গাজীপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল করিমও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
জানাজার নামাজে গাজীপুর মহানগর জামাতের আমির অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মেহেদী হাসান এলিস, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সভাপতি বশির উদ্দিন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ আহমেদ তানভীর, হেফাজতে ইসলাম গাজীপুরের আমির নাসির উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক হাশেমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
জানাজার নামাজে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন আল রশিদ, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আর ডি সি) মো: রায়হানুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। খবর পেয়ে গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সেই বাড়ীতে যান। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। হামলায় ১৭ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে তাজউদ্দীণ মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আহত একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল তিনটায় আবুল কাশেম মারা যান।
হামলার ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো: আব্দুল্লাহ আল মোহিত। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ মোল্লা নামের একজনকে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মন্ত্রীর ভাতিজা। এ মামলায় সর্বশেষ ১৩২ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, নিহত শিক্ষার্থীর ঘটনায় আগের মামলার সঙ্গে নতুন করে এটি হত্যা মামলা সংযুক্ত করা হবে। এ হামলায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।