পদবঞ্চিতদের দাবির মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ১৬ গুণ বাড়িয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ২৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি সম্প্রসারণ করে ৪৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক এবং ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে ২০৪ জনকে যুগ্ম আহবায়ক এবং ২৪৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর ২৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পরপরই একাংশের নেতাকর্মীরা পদ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা তখন অভিযোগ করেন, কমিটিতে ‘মুরব্বি গ্রুপ’, ‘পকেট কমিটি’, ‘ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট’ কর্মী ও সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এরপর আর ওই কমিটির আহবায়ক ও সদস্যসচিব ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেননি।
২৪ ডিসেম্বর রাতে আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা
কমিটি ঘোষণার ৩২ দিন পর ২৬ জানুয়ারি জবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
পূর্বঘোষিত ২৭ জনের বিষয়ে পদবঞ্চিতরা যেসব অভিযোগ এনেছিলো সেবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল সংবাদকে বলেন, ‘সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কমিটিতে এই ২৭ জনের প্রত্যেকের নামই ছিলো। সেইসময়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সব ভিত্তিহীন।’
তবে এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন সংবাদকে বলেন, ‘পদবঞ্চিতরা ওই সময়ে যেসব অভিযোগ তুলেছিলো সেগুলো আমরা নোট করে রেখেছি। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সান্ধ্যকালীন কোর্সের কোনো শিক্ষার্থী এই কমিটিতে আসে নাই। পূর্বের ২৭ জনের কমিটিতে দু-একটা ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকেও অবহিত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এ ব্যপারগুলো নিয়ে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
আগে ২৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণার সময় বিজ্ঞপ্তিতে ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে’ উল্লেখ থাকলেও এবার সেই কথা উল্লেখ নেই কেন - এই প্রশ্নে সামসুল আরেফিন বলেন, ‘এই কমিটি আপাতত এ ভাবেই থাকবে, তাই আগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যে লেখাটা ছিলো সেই লেখাটা এবারে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পদবঞ্চিতদের দাবির মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ১৬ গুণ বাড়িয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ২৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি সম্প্রসারণ করে ৪৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক এবং ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে ২০৪ জনকে যুগ্ম আহবায়ক এবং ২৪৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর ২৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পরপরই একাংশের নেতাকর্মীরা পদ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা তখন অভিযোগ করেন, কমিটিতে ‘মুরব্বি গ্রুপ’, ‘পকেট কমিটি’, ‘ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট’ কর্মী ও সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এরপর আর ওই কমিটির আহবায়ক ও সদস্যসচিব ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেননি।
২৪ ডিসেম্বর রাতে আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা
কমিটি ঘোষণার ৩২ দিন পর ২৬ জানুয়ারি জবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
পূর্বঘোষিত ২৭ জনের বিষয়ে পদবঞ্চিতরা যেসব অভিযোগ এনেছিলো সেবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল সংবাদকে বলেন, ‘সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কমিটিতে এই ২৭ জনের প্রত্যেকের নামই ছিলো। সেইসময়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সব ভিত্তিহীন।’
তবে এবিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন সংবাদকে বলেন, ‘পদবঞ্চিতরা ওই সময়ে যেসব অভিযোগ তুলেছিলো সেগুলো আমরা নোট করে রেখেছি। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সান্ধ্যকালীন কোর্সের কোনো শিক্ষার্থী এই কমিটিতে আসে নাই। পূর্বের ২৭ জনের কমিটিতে দু-একটা ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকেও অবহিত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এ ব্যপারগুলো নিয়ে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
আগে ২৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণার সময় বিজ্ঞপ্তিতে ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে’ উল্লেখ থাকলেও এবার সেই কথা উল্লেখ নেই কেন - এই প্রশ্নে সামসুল আরেফিন বলেন, ‘এই কমিটি আপাতত এ ভাবেই থাকবে, তাই আগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যে লেখাটা ছিলো সেই লেখাটা এবারে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: