কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, বিএনপি যখন থেকে তাদের কথা শোনা বন্ধ করেছে, তখন থেকেই তাদের পতন শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শাখা এ সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, “যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, তারা হারিয়ে যাবে, আজ হোক বা কাল হোক।” তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি।
বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত সরকার দাবি করে তিনি বলেন, “ড. ইউনুসকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তাকে রক্ত দিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাহলে ভোট গুরুত্বপূর্ণ, নাকি রক্ত গুরুত্বপূর্ণ?”
তিনি বলেন, “একাত্তরে আমরা বিপ্লব করিনি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তবে স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান জনঅভিপ্রায় বাস্তবায়ন করেননি এবং গণপরিষদের জন্য ভোট হয়নি। ফলে রাষ্ট্র গঠনও সম্ভব হয়নি। অথচ গণপরিষদ ভোট রাষ্ট্র গঠনের স্বীকৃত পদ্ধতি।”
বাহাত্তরের সংবিধান সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, “এটি কখনোই বাংলাদেশের জনগণের সংবিধান ছিল না। এটি মূলত পাকিস্তানের সংবিধান, কারণ যারা এটি প্রণয়ন করেছেন, তারা পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারা যুদ্ধের সময়ও উপস্থিত ছিলেন না। যে কজন ছিলেন, তারা দিল্লির সহযোগিতায় বাংলাদেশকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।”
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি আমরা একে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি, তাহলে এ পর্যায়ে রাষ্ট্র গঠন করতে না পারলে বাংলাদেশ আবার ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে। তাই ছাত্রদের গণপরিষদ ভোটের দাবি যথার্থ, যদিও তারা এটি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “সাম্য, মানবিকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে যে যুদ্ধ হয়েছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছেন মহান মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। তিনি নতুন ধরনের রাষ্ট্র গঠনের জন্য লড়াই করেছেন। এই তিন নীতি ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পরিবর্তে বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা ’৬৯-এর গণআন্দোলন বা অন্য কোনো আন্দোলনের সময় উচ্চারিত হয়নি।”
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী দিল্লির সহায়তায় আবার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চায়। ভুল করলে আবারও ফ্যাসিবাদ চেপে বসবে। আমরা কি আবার ৫০ বছর পিছিয়ে যেতে চাই?”
সভায় সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শাখার আহ্বায়ক রাশেদ খান। আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা লেখক ও গবেষক বেনজীন খান, ‘ভাববৈঠকি’র প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মাদ রোমেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, যশোরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ফাহিম আল ফাত্তাহ ও মারুফ কবীর এবং যশোর নাগরিক কমিটির নেতা আশালতা।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, বিএনপি যখন থেকে তাদের কথা শোনা বন্ধ করেছে, তখন থেকেই তাদের পতন শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শাখা এ সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, “যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, তারা হারিয়ে যাবে, আজ হোক বা কাল হোক।” তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি।
বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত সরকার দাবি করে তিনি বলেন, “ড. ইউনুসকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তাকে রক্ত দিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাহলে ভোট গুরুত্বপূর্ণ, নাকি রক্ত গুরুত্বপূর্ণ?”
তিনি বলেন, “একাত্তরে আমরা বিপ্লব করিনি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তবে স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান জনঅভিপ্রায় বাস্তবায়ন করেননি এবং গণপরিষদের জন্য ভোট হয়নি। ফলে রাষ্ট্র গঠনও সম্ভব হয়নি। অথচ গণপরিষদ ভোট রাষ্ট্র গঠনের স্বীকৃত পদ্ধতি।”
বাহাত্তরের সংবিধান সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, “এটি কখনোই বাংলাদেশের জনগণের সংবিধান ছিল না। এটি মূলত পাকিস্তানের সংবিধান, কারণ যারা এটি প্রণয়ন করেছেন, তারা পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারা যুদ্ধের সময়ও উপস্থিত ছিলেন না। যে কজন ছিলেন, তারা দিল্লির সহযোগিতায় বাংলাদেশকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।”
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি আমরা একে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি, তাহলে এ পর্যায়ে রাষ্ট্র গঠন করতে না পারলে বাংলাদেশ আবার ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে। তাই ছাত্রদের গণপরিষদ ভোটের দাবি যথার্থ, যদিও তারা এটি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “সাম্য, মানবিকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে যে যুদ্ধ হয়েছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছেন মহান মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। তিনি নতুন ধরনের রাষ্ট্র গঠনের জন্য লড়াই করেছেন। এই তিন নীতি ইসলামের মর্মবাণীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পরিবর্তে বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা ’৬৯-এর গণআন্দোলন বা অন্য কোনো আন্দোলনের সময় উচ্চারিত হয়নি।”
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী দিল্লির সহায়তায় আবার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চায়। ভুল করলে আবারও ফ্যাসিবাদ চেপে বসবে। আমরা কি আবার ৫০ বছর পিছিয়ে যেতে চাই?”
সভায় সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শাখার আহ্বায়ক রাশেদ খান। আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা লেখক ও গবেষক বেনজীন খান, ‘ভাববৈঠকি’র প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মাদ রোমেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, যশোরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ফাহিম আল ফাত্তাহ ও মারুফ কবীর এবং যশোর নাগরিক কমিটির নেতা আশালতা।