আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রাজধানীর শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় আমীর খসরুসহ পাঁচজনকে খালাস দেন। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা। সপ্তাহে দুই দিন কোর্টে সময় দিতে হত। আজ একটা মামলার রায় হয়েছে, বাকি আরও অনেক মামলা আছে। বাংলাদেশে শুধু আমি নই, বিএনপির ৬০ লাখেরও বেশি নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের কেউ গুম হয়েছেন, কেউ খুন হয়েছেন, অনেকেই জেল খেটেছেন বা চাকরি-ব্যবসা হারিয়েছেন।”
ক্ষতিপূরণ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এই মানুষগুলোর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? রাষ্ট্র কি তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে? যারা গণতন্ত্রের আন্দোলনের ভিত্তি রচনা করেছেন, তারা আজও অবহেলিত। এ বিষয়ে আমাদের সকলের ভাবা দরকার।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “আমরা মুক্ত ও স্বাধীন বিচার বিভাগ চাই। যেটার জন্য ১৫/১৬ বছর ধরে লড়ছি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র টিকতে পারে না। বিচার বিভাগের নিজস্ব সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে তা বাস্তবায়ন করব।”
এ মামলায় খালাস পাওয়া অপর চারজন হলেন- ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব এবং রবিউল ইসলাম রবি।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব বাসচাপায় নিহত হন। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
আন্দোলনের সময় আমীর খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত করার অভিযোগ ওঠে। এর জেরে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবি পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আদালত আসামিদের খালাস দেন।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রাজধানীর শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় আমীর খসরুসহ পাঁচজনকে খালাস দেন। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা। সপ্তাহে দুই দিন কোর্টে সময় দিতে হত। আজ একটা মামলার রায় হয়েছে, বাকি আরও অনেক মামলা আছে। বাংলাদেশে শুধু আমি নই, বিএনপির ৬০ লাখেরও বেশি নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের কেউ গুম হয়েছেন, কেউ খুন হয়েছেন, অনেকেই জেল খেটেছেন বা চাকরি-ব্যবসা হারিয়েছেন।”
ক্ষতিপূরণ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এই মানুষগুলোর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? রাষ্ট্র কি তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে? যারা গণতন্ত্রের আন্দোলনের ভিত্তি রচনা করেছেন, তারা আজও অবহেলিত। এ বিষয়ে আমাদের সকলের ভাবা দরকার।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “আমরা মুক্ত ও স্বাধীন বিচার বিভাগ চাই। যেটার জন্য ১৫/১৬ বছর ধরে লড়ছি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র টিকতে পারে না। বিচার বিভাগের নিজস্ব সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে তা বাস্তবায়ন করব।”
এ মামলায় খালাস পাওয়া অপর চারজন হলেন- ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব এবং রবিউল ইসলাম রবি।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব বাসচাপায় নিহত হন। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
আন্দোলনের সময় আমীর খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত করার অভিযোগ ওঠে। এর জেরে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবি পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আদালত আসামিদের খালাস দেন।