alt

রাজনীতি

গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে সবার প্রতি আহ্বান সাইফুল হকের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনপরিসরে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তা পূরণে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

তিনি বলেছেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের বিশাল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তা যেন হতাশায় পরিণত না হয়, দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, আমরা সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করছি।

“আমরা এমন একটি সংবিধান দেখতে চাই- যেখানে মানুষের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, মতাদর্শ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে রাষ্ট্র নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।”

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, “আমরা পুরনো জামানায় ফিরতে চাই না- যে ব্যবস্থায় একটা দলকে চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী দলে পরিণত করে; দলের নেতৃত্বকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী দুঃশাসককে পরিণত করে।

“এবারকার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট হচ্ছে- সেই জামানা থেকে পার হয়ে একটি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করব; মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করব। ১৬ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, এবারকার সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”

কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমন একটা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেখতে চাই- যেখানে কোনো ব্যক্তি বা দল ইচ্ছা করলে ক্ষমতাকে যা কিছু করবার লাইসেন্স মনে করবে না। ক্ষমতার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাংবিধানিক এবং আইনগত গ্যারান্টি নিশ্চিত দেখতে চাই।

“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, বিশেষ কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই- তাই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে তারা সঞ্চালক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। আমরা কোথায় দাঁড়াব? যেখানে নূন্যতম জাতীয় ঐক্যের জায়গা সেখানে। এটা নিয়ে বেশি টানাটানি না করি। বেশি টানতে গেলে অনেক সময় দঁড়ি ছিড়ে যায়। সে কাজটা না করি।”

রাষ্ট্র সংস্কার প্রসঙ্গে সাইফুল বলেন, “যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জনপরিসরে কমিন্টমেন্ট আছে, জনগণের কাছে অঙ্গীকার আছে। সে কারণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যদি প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারে, আগামী জুনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি, ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে একমত হব। এটিই হবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক অর্জন।”

সাইফুল হকের নেতৃত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ।

“আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের উপর নির্ভর করবে- আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়- যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার ও দায় হচ্ছে- যেন সুযোগকে হাতছাড়া না করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।”

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্যের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম, বিশেষ করে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত রকম সম্ভাবনাকে প্রায় তিরোহিত করে দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যতম অংশীদার থেকেছে। সেই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া কমিশনের লক্ষ্য।”

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “সকলে মিলে আমরা একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। এটা কেবল ঐকমত্য কমিশনের আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়, এটি কেবল সরকারের বিষয় নয়।

“আজক আমরা যে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলে মিলে, সকলে একত্রে বসে কথা বলতে পারছি। পথ খুঁজবার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হয়েছে কমপক্ষে ১৪০০ মানুষের রক্তপাত ও প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে।”

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২০টি দলের সঙ্গে ইতোমধ্যে সংলাপ হয়েছে। একবিংশতম দল হিসেবে এখন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ করছে কমিশন।

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, শাহবাগে যান চলাচলে বিঘ্ন

ছবি

মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ মোড় দখলে নিয়েছে ছাত্রদল

ছবি

দেড় দশক পর শেখ হাসিনার দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগে শুনানির দিন নির্ধারণ

ছবি

দুদকের সাবেক চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে খালেদা-তারেককে জড়িয়ে মামলা করার অভিযোগ

ছবি

আমি বাংলাদেশি নাগরিক, অধিকার ভোগে প্রস্তুত’ — জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ছবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি—জামায়াত নেতা তাহের

পরিস্থিতি ‘অযথা ঘোলাটে’ না করে নির্বাচনের তারিখ দিন: সরকারকে তারেক রহমান

ছবি

ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

ছবি

‘বুলেট’-এর নামে চিঠি, আখতার হোসেন ও পরিবারকে খুনের হুমকি

ছবি

নির্বাচনের জন্য যমুনা ঘেরাও হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ

ছবি

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখানোর আহ্বান আমীর খসরুর

ছবি

সচিবালয় অভিমুখে বাধা, প্রেস ক্লাব ঘুরে নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকরা

ছবি

জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের রাতভর সড়কে অবস্থান,আজ জুমার পর থেকে গণঅনশনের ডাক

ছবি

‘দালাল মহল’ আখ্যা দিয়ে রওশন এরশাদের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধীদের হামলা

ছবি

ইশরাকের মেয়র হওয়ার গেজেট প্রকাশ হলেও শপথ হয়নি, দায়িত্ব দিতে নগর ভবনে বিক্ষোভ

ছবি

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের তারিখ ১ জুন

ছবি

সোহরাওয়ার্দী হত্যাকাণ্ডে ‘দ্বিচারিতার’ প্রতিবাদ জানালেন এনসিপি নেতা

ছবি

জাকির হত্যা: লাশ খালে ফেলতে গিয়ে দুই যুবক গণপিটুনির শিকার, একজন হাসপাতালে

নিষেধাজ্ঞার মুখে আওয়ামী লীগ, অবাধ নির্বাচনের আহ্বান ভারতের

ছবি

রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবারো আদালতে জামায়াত

ছবি

সাবেক এমপি মমতাজের রিমান্ড শুনানিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আদালত

ছবি

সাগর হত্যা মামলা: গ্রেপ্তার সাবেক এমপি মমতাজ, ব্যাংক হিসাবও জব্দ

ছবি

আওয়ামী লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি এনসিপির, সহযোগী দলগুলোকেও নিষিদ্ধ করার আহ্বান

ছবি

চোখের চিকিৎসায় থাইল্যান্ড গেলেন মির্জা ফখরুল

ছবি

‘আবেগ নয়, দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিন’—অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী

ছবি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত, নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ

সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, বিএনপির সমর্থন, বাসদের প্রশ্ন

ছবি

আন্দোলনকালীন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আইভী, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্তে বসেছে ইসি, অপেক্ষায় গেজেট

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ

ছবি

সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন ঘটছে দেশে’ — মির্জা আব্বাসের অভিযোগ

ছবি

‘গোলাম আজমের বাংলায়’ স্লোগান নিয়ে বিতর্কে এনসিপি: দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষকেই

ছবি

দ্বাদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির অসীম ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেওয়া হয়েছিল: আলী রীয়াজ

ছবি

সংবিধান সংস্কারে কমিশন গঠনের দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের অনুষ্ঠানে

ছবি

আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি—সালাহউদ্দিন

tab

রাজনীতি

গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে সবার প্রতি আহ্বান সাইফুল হকের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনপরিসরে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তা পূরণে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

তিনি বলেছেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের বিশাল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তা যেন হতাশায় পরিণত না হয়, দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, আমরা সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করছি।

“আমরা এমন একটি সংবিধান দেখতে চাই- যেখানে মানুষের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, মতাদর্শ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে রাষ্ট্র নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।”

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, “আমরা পুরনো জামানায় ফিরতে চাই না- যে ব্যবস্থায় একটা দলকে চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী দলে পরিণত করে; দলের নেতৃত্বকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী দুঃশাসককে পরিণত করে।

“এবারকার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট হচ্ছে- সেই জামানা থেকে পার হয়ে একটি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করব; মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করব। ১৬ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, এবারকার সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”

কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমন একটা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেখতে চাই- যেখানে কোনো ব্যক্তি বা দল ইচ্ছা করলে ক্ষমতাকে যা কিছু করবার লাইসেন্স মনে করবে না। ক্ষমতার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাংবিধানিক এবং আইনগত গ্যারান্টি নিশ্চিত দেখতে চাই।

“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, বিশেষ কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই- তাই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে তারা সঞ্চালক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। আমরা কোথায় দাঁড়াব? যেখানে নূন্যতম জাতীয় ঐক্যের জায়গা সেখানে। এটা নিয়ে বেশি টানাটানি না করি। বেশি টানতে গেলে অনেক সময় দঁড়ি ছিড়ে যায়। সে কাজটা না করি।”

রাষ্ট্র সংস্কার প্রসঙ্গে সাইফুল বলেন, “যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জনপরিসরে কমিন্টমেন্ট আছে, জনগণের কাছে অঙ্গীকার আছে। সে কারণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যদি প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারে, আগামী জুনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি, ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে একমত হব। এটিই হবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক অর্জন।”

সাইফুল হকের নেতৃত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ।

“আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের উপর নির্ভর করবে- আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই, দেশের মানুষ চায়- যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার ও দায় হচ্ছে- যেন সুযোগকে হাতছাড়া না করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।”

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্যের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম, বিশেষ করে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্ত রকম সম্ভাবনাকে প্রায় তিরোহিত করে দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো লড়াই করেছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যতম অংশীদার থেকেছে। সেই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া কমিশনের লক্ষ্য।”

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “সকলে মিলে আমরা একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। এটা কেবল ঐকমত্য কমিশনের আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়, এটি কেবল সরকারের বিষয় নয়।

“আজক আমরা যে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলে মিলে, সকলে একত্রে বসে কথা বলতে পারছি। পথ খুঁজবার চেষ্টা করছি। সেটা সম্ভব হয়েছে কমপক্ষে ১৪০০ মানুষের রক্তপাত ও প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে।”

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২০টি দলের সঙ্গে ইতোমধ্যে সংলাপ হয়েছে। একবিংশতম দল হিসেবে এখন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ করছে কমিশন।

back to top