বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য আদালত এখন ‘সেকেন্ড হোম’ হয়ে গেছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমি সকাল ৯টায় কোর্টে গেছি; কোর্ট বসবে সাড়ে ১২টায়। পরে দেখা গেল, সাক্ষী এল না। তাই আমি এখানে এলাম। বলতে পারেন আমি কোর্টে গেলাম কেন? কোর্ট তো আমাদের ‘সেকেন্ড হোম’ হয়ে গেছে। আগেও যেতে হয়েছে, এখনো যেতে হয়।”
মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, “আজ যিনি দায়িত্বে আছেন; প্রধান উপদেষ্টা; মান্যবর; উনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এ ধরনের। কোর্টে গেলে যে ধরনের আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন, আমরা সবাই তার নিন্দা করেছি, প্রতিবাদ করেছি। উনি তো সব মামলায় অব্যাহতি নিয়া ফালাইলেন, শপথ নিয়া দেশের প্রধান উপদেষ্টা হইলেন। আমি গয়েশ্বর রায় কেন কোর্টে হাজিরা দেই? আমাদের কি কোনো অবদান নাই। আমরা মরি নাই, বেঁচে আছি- এটাই কি আমাদের সবার প্রাপ্তি।”
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট।
আলোচনায় দেশের নির্বাচন, ক্ষমতার পালাবদল ও নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গও তোলেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, “ক্ষমতার চেয়ারটার একটা মায়া আছে। একবার বসলে উঠতে মন চায় না, ছাড়তে মন চায় না। কেউ কেউ বলছেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি। ধরেন ৫ অগাস্ট যদি শেখ হাসিনা না পালাতেন, স্বাভাবিকভাবে যদি পদত্যাগ করতেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হত, তাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়ম আছে না। তাহলে নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করত।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মাত্র ৮০ দিনের মাথায় দায়িত্ব অর্পণ করে চলে আসলেন। পরে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে না? তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড়-দুই বছর সময় লাগছে কেন? তাদেরকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এটাই নিয়ম। তাহলে কীসের প্রস্তুতির জন্য এত সময়, আমি এটা তো বুঝতেছি না।”
আওয়ামী লীগের ‘দোসরদের’ বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।
‘সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। তাতে একটা সুবিধা আছে- বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু করলেও কিছু হয় না। সেই কারণে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা।”
তিনি বলেন, “যারা সোশ্যাল মিডিয়ায়, তারা স্বাধীন। আর যারা বিভিন্ন মিডিয়ায় কিংবা টেলিভিশনে কর্মরত, তারা যা দেখে, সব প্রকাশ করতে পারে না। যা শোনে, তা সব বলে না। কেন? কারণ যারাই ক্ষমতায় থাকে অপকর্মগুলো চাপা দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক মিডিয়ায় পয়সার অভাব নাই। গিয়ে দেখেন সাংবাদিকদের বেতন দেয় না। সেজন্য আমি বলব, আমাদের স্লোগানটা হোক সাংবাদিকদের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের মালিক সাংবাদিক নয়।”
বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য আদালত এখন ‘সেকেন্ড হোম’ হয়ে গেছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমি সকাল ৯টায় কোর্টে গেছি; কোর্ট বসবে সাড়ে ১২টায়। পরে দেখা গেল, সাক্ষী এল না। তাই আমি এখানে এলাম। বলতে পারেন আমি কোর্টে গেলাম কেন? কোর্ট তো আমাদের ‘সেকেন্ড হোম’ হয়ে গেছে। আগেও যেতে হয়েছে, এখনো যেতে হয়।”
মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, “আজ যিনি দায়িত্বে আছেন; প্রধান উপদেষ্টা; মান্যবর; উনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এ ধরনের। কোর্টে গেলে যে ধরনের আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন, আমরা সবাই তার নিন্দা করেছি, প্রতিবাদ করেছি। উনি তো সব মামলায় অব্যাহতি নিয়া ফালাইলেন, শপথ নিয়া দেশের প্রধান উপদেষ্টা হইলেন। আমি গয়েশ্বর রায় কেন কোর্টে হাজিরা দেই? আমাদের কি কোনো অবদান নাই। আমরা মরি নাই, বেঁচে আছি- এটাই কি আমাদের সবার প্রাপ্তি।”
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন’ শিরোনামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট।
আলোচনায় দেশের নির্বাচন, ক্ষমতার পালাবদল ও নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গও তোলেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, “ক্ষমতার চেয়ারটার একটা মায়া আছে। একবার বসলে উঠতে মন চায় না, ছাড়তে মন চায় না। কেউ কেউ বলছেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি। ধরেন ৫ অগাস্ট যদি শেখ হাসিনা না পালাতেন, স্বাভাবিকভাবে যদি পদত্যাগ করতেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হত, তাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়ম আছে না। তাহলে নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করত।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মাত্র ৮০ দিনের মাথায় দায়িত্ব অর্পণ করে চলে আসলেন। পরে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে না? তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড়-দুই বছর সময় লাগছে কেন? তাদেরকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এটাই নিয়ম। তাহলে কীসের প্রস্তুতির জন্য এত সময়, আমি এটা তো বুঝতেছি না।”
আওয়ামী লীগের ‘দোসরদের’ বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।
‘সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। তাতে একটা সুবিধা আছে- বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু করলেও কিছু হয় না। সেই কারণে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা।”
তিনি বলেন, “যারা সোশ্যাল মিডিয়ায়, তারা স্বাধীন। আর যারা বিভিন্ন মিডিয়ায় কিংবা টেলিভিশনে কর্মরত, তারা যা দেখে, সব প্রকাশ করতে পারে না। যা শোনে, তা সব বলে না। কেন? কারণ যারাই ক্ষমতায় থাকে অপকর্মগুলো চাপা দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক মিডিয়ায় পয়সার অভাব নাই। গিয়ে দেখেন সাংবাদিকদের বেতন দেয় না। সেজন্য আমি বলব, আমাদের স্লোগানটা হোক সাংবাদিকদের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের মালিক সাংবাদিক নয়।”
বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ।