আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর দলটির সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
সোমবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর রাত ৮টার দিকে বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের নিচে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব দাবি তোলেন দলের নেতারা।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তারে পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গত ১৬ বছরে তারা যে সম্পদ বানিয়েছে, দেশের বাইরে পাচার করেছে—তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ পতনের পরও “তাদের প্রেতাত্মারা” এখনো সচিবালয়, শিক্ষা ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছে। তিনি তাদেরকে “জনগণের কাতারে ফিরে আসার” আহ্বান জানান।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে হলে মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।” তিনি বলেন, “কেবল সংবিধান সংশোধন নয়, চাই নতুন কাঠামো।”
তিনি আরও বলেন, “১৪ দলের নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সাথে জোট করে ভোট ডাকাতি, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।”
সংস্কৃতি অঙ্গনের কথাও উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। নাসিরউদ্দীন বলেন, “কলকাতা-দিল্লির কিছু ফ্যাসিস্ট গত ১৫ বছরে আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকে ইসলামপন্থীদের জঙ্গি বানিয়ে উপস্থাপন করেছে। তাদের বিচার করতে হবে।”
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে সতর্ক বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “সরকার যদি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে জনতা আবার রাজপথে নামবে।”
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসরদের হামলায় আমাদের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।”
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বলেন, “আজকের পদক্ষেপটি ফ্যাসিবাদ নির্মূলের প্রথম ধাপ মাত্র। এই কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলতে জনগণের সহযোগিতা দরকার।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতারা সালেহউদ্দিন সিফাত ও সাইফ মোস্তাফিজ।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর দলটির সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
সোমবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর রাত ৮টার দিকে বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের নিচে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব দাবি তোলেন দলের নেতারা।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তারে পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গত ১৬ বছরে তারা যে সম্পদ বানিয়েছে, দেশের বাইরে পাচার করেছে—তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ পতনের পরও “তাদের প্রেতাত্মারা” এখনো সচিবালয়, শিক্ষা ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছে। তিনি তাদেরকে “জনগণের কাতারে ফিরে আসার” আহ্বান জানান।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে হলে মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।” তিনি বলেন, “কেবল সংবিধান সংশোধন নয়, চাই নতুন কাঠামো।”
তিনি আরও বলেন, “১৪ দলের নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সাথে জোট করে ভোট ডাকাতি, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।”
সংস্কৃতি অঙ্গনের কথাও উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। নাসিরউদ্দীন বলেন, “কলকাতা-দিল্লির কিছু ফ্যাসিস্ট গত ১৫ বছরে আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকে ইসলামপন্থীদের জঙ্গি বানিয়ে উপস্থাপন করেছে। তাদের বিচার করতে হবে।”
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে সতর্ক বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “সরকার যদি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে জনতা আবার রাজপথে নামবে।”
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসরদের হামলায় আমাদের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।”
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বলেন, “আজকের পদক্ষেপটি ফ্যাসিবাদ নির্মূলের প্রথম ধাপ মাত্র। এই কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলতে জনগণের সহযোগিতা দরকার।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতারা সালেহউদ্দিন সিফাত ও সাইফ মোস্তাফিজ।