সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে ‘অসভ্য আচরণ’ এবং তাদের ওপর দায় চাপানোর ‘অপচেষ্টার’ প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি লিখেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংঘটিত এই ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নয়। কারণ, উদ্যানের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় বরং কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেটের অধীনে পরিচালিত হয়। উদ্যানজুড়ে থাকা মাদক সেবন, চাঁদাবাজি ও হেনস্তার পেছনে প্রশাসনের নয়, বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা গোষ্ঠীগুলোর হাত রয়েছে।
তার দাবি, উদ্যানের গেট ও অভ্যন্তরে ভাসমান দোকান বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বন্ধ করতে চাইলে বাধার মুখে পড়ে। এসব দোকানের পেছনে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা কিছু নেতাকর্মী রয়েছেন, যারা এ থেকে অর্থ আদায় করে।
সারজিস আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কেউ এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপকর্মে প্রশ্রয় দেয়। কেউ ভালো কিছু করতে চাইলে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের ক্যাফেটেরিয়া কার্যকর না রেখে প্রায় ৩০টি চা দোকান বসানো হয়েছে, যা বহিরাগতদের আড্ডার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এসব দোকান অপসারণে উদ্যোগ নিলেই এক শ্রেণির সুশীল ও উদারপন্থীরা প্রতিবাদে সরব হন।
তিনি বলেন, দোয়েল চত্বর, মেট্রোরেল স্টেশন ও শহিদ মিনার এলাকায়ও অবৈধ দোকান বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট ও চাঁদাবাজি চালানো হচ্ছে। এসবের পেছনে কারা রয়েছে তা প্রকাশ করা দরকার।
সারজিস আলম আরও বলেন, কেউ যদি সাম্যের মতো একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হন, তবে তার দায় প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে এ ধরনের দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে।
তিনি দাবি জানান, ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের সুলভ ব্যবস্থা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্যাফেটেরিয়া চালুর। সেই সঙ্গে যান চলাচল ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান।
সর্বশেষে তিনি বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কাউকে এমন পরিণতির শিকার না হতে হয়।
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে ‘অসভ্য আচরণ’ এবং তাদের ওপর দায় চাপানোর ‘অপচেষ্টার’ প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি লিখেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংঘটিত এই ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নয়। কারণ, উদ্যানের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় বরং কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেটের অধীনে পরিচালিত হয়। উদ্যানজুড়ে থাকা মাদক সেবন, চাঁদাবাজি ও হেনস্তার পেছনে প্রশাসনের নয়, বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা গোষ্ঠীগুলোর হাত রয়েছে।
তার দাবি, উদ্যানের গেট ও অভ্যন্তরে ভাসমান দোকান বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বন্ধ করতে চাইলে বাধার মুখে পড়ে। এসব দোকানের পেছনে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা কিছু নেতাকর্মী রয়েছেন, যারা এ থেকে অর্থ আদায় করে।
সারজিস আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কেউ এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপকর্মে প্রশ্রয় দেয়। কেউ ভালো কিছু করতে চাইলে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের ক্যাফেটেরিয়া কার্যকর না রেখে প্রায় ৩০টি চা দোকান বসানো হয়েছে, যা বহিরাগতদের আড্ডার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এসব দোকান অপসারণে উদ্যোগ নিলেই এক শ্রেণির সুশীল ও উদারপন্থীরা প্রতিবাদে সরব হন।
তিনি বলেন, দোয়েল চত্বর, মেট্রোরেল স্টেশন ও শহিদ মিনার এলাকায়ও অবৈধ দোকান বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট ও চাঁদাবাজি চালানো হচ্ছে। এসবের পেছনে কারা রয়েছে তা প্রকাশ করা দরকার।
সারজিস আলম আরও বলেন, কেউ যদি সাম্যের মতো একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হন, তবে তার দায় প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে এ ধরনের দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে।
তিনি দাবি জানান, ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের সুলভ ব্যবস্থা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্যাফেটেরিয়া চালুর। সেই সঙ্গে যান চলাচল ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান।
সর্বশেষে তিনি বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কাউকে এমন পরিণতির শিকার না হতে হয়।